নির্বাচন নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আরব মার্কিনীরা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:১৪:০৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭১৯ বার পড়া হয়েছে

গাজা ও লেবাননে চলমান যুদ্ধের শোক আর ক্ষোভ নিয়ে আগামী মার্কিন নির্বাচনের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আরব-আমেরিকানরা। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে গিয়ে তারা ক্রমাগত দ্বিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

মিশিগানের গুরুত্বপূর্ণ আরব আমেরিকান সম্প্রদায়ে এই মুহূর্তে চলছে হতাশা আর ক্ষোভের ঝড়। এই সম্প্রদায়ের নেত্রী লায়লা এলাবেদ বলেন, ‘আমরা শোকাহত, ক্ষুব্ধ। আমাদের হৃদয় ভাঙা। আমাদেরকে এমন পরিস্থিতিতে ভোট দেয়ার জন্য বলা হচ্ছে, যেখানে কোনো প্রার্থীরই ইসরায়েল যে বোমাবর্ষণ করছে, তা বন্ধের পরিকল্পনা নেই।’

লায়লা এলাবেদ দীর্ঘদিন ধরে ‘আনকমিটেড মুভমেন্ট’-এর নেত্রী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন বন্ধ করতে চাপ দিয়ে আসছেন। তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের ভোটটি তিনি ফাঁকা রাখবেন। ‘আমি ভোট দিবো না, কারণ যারা স্পষ্ট করে বলেননি যে বোমা বর্ষণ বন্ধ হবে, তাদের জন্য আমার সমর্থন নেই।’

অনেক আরব-আমেরিকান যদিও কমলাকে সমর্থন করছেন, কারণ তারা মনে করেন অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক নীতিতে তিনি ট্রাম্পের চেয়ে ভালো। তবুও ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাবার তার প্রতিশ্রুতির জন্য অনেকেই আবার তাকে সমর্থন দিতে দ্বিধাগ্রস্ত। অন্যদিকে, কিছু আরব আমেরিকান ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত এবং যুদ্ধবিরোধী অবস্থানকে আশার আলো হিসেবে দেখছেন এবং ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে বেরিয়ে এসে কমলাকে শাস্তি দেয়ার জন্য ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন।

আরব আমেরিকানদের আরেকটি দল কোনো প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়ার পক্ষে। এমনকি কেউ কেউ গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইনের জন্যও প্রচারণা চালাচ্ছেন।

ভোটের প্রচারণায় আরব আমেরিকান সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো উত্তেজনা না থাকা এটাই প্রমাণ করছে যে, কৌশলগতভাবে তারা এখনো ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেননি।

লেবানিজ আমেরিকান আলিসা হাকিম বলেন, ‘ভোট নিয়ে আমার কোন আশাই নেই।’ ২০২০ সালে তিনি বাইডেনকে ভোট দিয়েছিলেন, কিন্তু চার বছরের অভিজ্ঞতায় এখন তিনি ‘কম খারাপ’ পছন্দের ধারণাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এদিকে, মিশিগানের ডিয়ারবর্ন শহর, যেখানে আরব আমেরিকানদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য, সেখানে কমলার প্রতি সমর্থন অনেক কমে গেছে। ২০২০ সালে বাইডেন ডিয়ারবর্নে ৮০ শতাংশেরও বেশি আরব ভোট পেয়েছিলেন, কিন্তু এবার কমলার প্রচারণা সেখানে প্রত্যাশিত ফলাফল পাচ্ছে না। তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আরব মার্কিনীরা

আপডেট সময় : ০৯:১৪:০৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

গাজা ও লেবাননে চলমান যুদ্ধের শোক আর ক্ষোভ নিয়ে আগামী মার্কিন নির্বাচনের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আরব-আমেরিকানরা। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে গিয়ে তারা ক্রমাগত দ্বিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

মিশিগানের গুরুত্বপূর্ণ আরব আমেরিকান সম্প্রদায়ে এই মুহূর্তে চলছে হতাশা আর ক্ষোভের ঝড়। এই সম্প্রদায়ের নেত্রী লায়লা এলাবেদ বলেন, ‘আমরা শোকাহত, ক্ষুব্ধ। আমাদের হৃদয় ভাঙা। আমাদেরকে এমন পরিস্থিতিতে ভোট দেয়ার জন্য বলা হচ্ছে, যেখানে কোনো প্রার্থীরই ইসরায়েল যে বোমাবর্ষণ করছে, তা বন্ধের পরিকল্পনা নেই।’

লায়লা এলাবেদ দীর্ঘদিন ধরে ‘আনকমিটেড মুভমেন্ট’-এর নেত্রী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন বন্ধ করতে চাপ দিয়ে আসছেন। তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের ভোটটি তিনি ফাঁকা রাখবেন। ‘আমি ভোট দিবো না, কারণ যারা স্পষ্ট করে বলেননি যে বোমা বর্ষণ বন্ধ হবে, তাদের জন্য আমার সমর্থন নেই।’

অনেক আরব-আমেরিকান যদিও কমলাকে সমর্থন করছেন, কারণ তারা মনে করেন অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক নীতিতে তিনি ট্রাম্পের চেয়ে ভালো। তবুও ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাবার তার প্রতিশ্রুতির জন্য অনেকেই আবার তাকে সমর্থন দিতে দ্বিধাগ্রস্ত। অন্যদিকে, কিছু আরব আমেরিকান ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত এবং যুদ্ধবিরোধী অবস্থানকে আশার আলো হিসেবে দেখছেন এবং ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে বেরিয়ে এসে কমলাকে শাস্তি দেয়ার জন্য ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন।

আরব আমেরিকানদের আরেকটি দল কোনো প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়ার পক্ষে। এমনকি কেউ কেউ গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইনের জন্যও প্রচারণা চালাচ্ছেন।

ভোটের প্রচারণায় আরব আমেরিকান সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো উত্তেজনা না থাকা এটাই প্রমাণ করছে যে, কৌশলগতভাবে তারা এখনো ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেননি।

লেবানিজ আমেরিকান আলিসা হাকিম বলেন, ‘ভোট নিয়ে আমার কোন আশাই নেই।’ ২০২০ সালে তিনি বাইডেনকে ভোট দিয়েছিলেন, কিন্তু চার বছরের অভিজ্ঞতায় এখন তিনি ‘কম খারাপ’ পছন্দের ধারণাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এদিকে, মিশিগানের ডিয়ারবর্ন শহর, যেখানে আরব আমেরিকানদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য, সেখানে কমলার প্রতি সমর্থন অনেক কমে গেছে। ২০২০ সালে বাইডেন ডিয়ারবর্নে ৮০ শতাংশেরও বেশি আরব ভোট পেয়েছিলেন, কিন্তু এবার কমলার প্রচারণা সেখানে প্রত্যাশিত ফলাফল পাচ্ছে না। তথ্যসূত্র: আল জাজিরা