শনিবার | ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ভোমরায় বিশাল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে কাতার Logo জীবননগর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন সভাপতি মানিক, সম্পাদক রিপন Logo শিবির নেতার বিরুদ্ধে নোবিপ্রবি ছাত্রদলের অভিযোগ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া Logo নোবিপ্রবির মেগা প্রকল্প সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী Logo খুবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৯৭ পরিক্ষার্থী  Logo টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার Logo খুবিতে ইউনেস্কো ও ইউজিসির উদ্যোগে পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন Logo সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ

নির্বাচন নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আরব মার্কিনীরা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:১৪:০৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

গাজা ও লেবাননে চলমান যুদ্ধের শোক আর ক্ষোভ নিয়ে আগামী মার্কিন নির্বাচনের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আরব-আমেরিকানরা। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে গিয়ে তারা ক্রমাগত দ্বিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

মিশিগানের গুরুত্বপূর্ণ আরব আমেরিকান সম্প্রদায়ে এই মুহূর্তে চলছে হতাশা আর ক্ষোভের ঝড়। এই সম্প্রদায়ের নেত্রী লায়লা এলাবেদ বলেন, ‘আমরা শোকাহত, ক্ষুব্ধ। আমাদের হৃদয় ভাঙা। আমাদেরকে এমন পরিস্থিতিতে ভোট দেয়ার জন্য বলা হচ্ছে, যেখানে কোনো প্রার্থীরই ইসরায়েল যে বোমাবর্ষণ করছে, তা বন্ধের পরিকল্পনা নেই।’

লায়লা এলাবেদ দীর্ঘদিন ধরে ‘আনকমিটেড মুভমেন্ট’-এর নেত্রী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন বন্ধ করতে চাপ দিয়ে আসছেন। তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের ভোটটি তিনি ফাঁকা রাখবেন। ‘আমি ভোট দিবো না, কারণ যারা স্পষ্ট করে বলেননি যে বোমা বর্ষণ বন্ধ হবে, তাদের জন্য আমার সমর্থন নেই।’

অনেক আরব-আমেরিকান যদিও কমলাকে সমর্থন করছেন, কারণ তারা মনে করেন অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক নীতিতে তিনি ট্রাম্পের চেয়ে ভালো। তবুও ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাবার তার প্রতিশ্রুতির জন্য অনেকেই আবার তাকে সমর্থন দিতে দ্বিধাগ্রস্ত। অন্যদিকে, কিছু আরব আমেরিকান ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত এবং যুদ্ধবিরোধী অবস্থানকে আশার আলো হিসেবে দেখছেন এবং ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে বেরিয়ে এসে কমলাকে শাস্তি দেয়ার জন্য ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন।

আরব আমেরিকানদের আরেকটি দল কোনো প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়ার পক্ষে। এমনকি কেউ কেউ গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইনের জন্যও প্রচারণা চালাচ্ছেন।

ভোটের প্রচারণায় আরব আমেরিকান সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো উত্তেজনা না থাকা এটাই প্রমাণ করছে যে, কৌশলগতভাবে তারা এখনো ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেননি।

লেবানিজ আমেরিকান আলিসা হাকিম বলেন, ‘ভোট নিয়ে আমার কোন আশাই নেই।’ ২০২০ সালে তিনি বাইডেনকে ভোট দিয়েছিলেন, কিন্তু চার বছরের অভিজ্ঞতায় এখন তিনি ‘কম খারাপ’ পছন্দের ধারণাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এদিকে, মিশিগানের ডিয়ারবর্ন শহর, যেখানে আরব আমেরিকানদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য, সেখানে কমলার প্রতি সমর্থন অনেক কমে গেছে। ২০২০ সালে বাইডেন ডিয়ারবর্নে ৮০ শতাংশেরও বেশি আরব ভোট পেয়েছিলেন, কিন্তু এবার কমলার প্রচারণা সেখানে প্রত্যাশিত ফলাফল পাচ্ছে না। তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ভোমরায় বিশাল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

নির্বাচন নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আরব মার্কিনীরা

আপডেট সময় : ০৯:১৪:০৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

গাজা ও লেবাননে চলমান যুদ্ধের শোক আর ক্ষোভ নিয়ে আগামী মার্কিন নির্বাচনের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আরব-আমেরিকানরা। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে গিয়ে তারা ক্রমাগত দ্বিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

মিশিগানের গুরুত্বপূর্ণ আরব আমেরিকান সম্প্রদায়ে এই মুহূর্তে চলছে হতাশা আর ক্ষোভের ঝড়। এই সম্প্রদায়ের নেত্রী লায়লা এলাবেদ বলেন, ‘আমরা শোকাহত, ক্ষুব্ধ। আমাদের হৃদয় ভাঙা। আমাদেরকে এমন পরিস্থিতিতে ভোট দেয়ার জন্য বলা হচ্ছে, যেখানে কোনো প্রার্থীরই ইসরায়েল যে বোমাবর্ষণ করছে, তা বন্ধের পরিকল্পনা নেই।’

লায়লা এলাবেদ দীর্ঘদিন ধরে ‘আনকমিটেড মুভমেন্ট’-এর নেত্রী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন বন্ধ করতে চাপ দিয়ে আসছেন। তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের ভোটটি তিনি ফাঁকা রাখবেন। ‘আমি ভোট দিবো না, কারণ যারা স্পষ্ট করে বলেননি যে বোমা বর্ষণ বন্ধ হবে, তাদের জন্য আমার সমর্থন নেই।’

অনেক আরব-আমেরিকান যদিও কমলাকে সমর্থন করছেন, কারণ তারা মনে করেন অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক নীতিতে তিনি ট্রাম্পের চেয়ে ভালো। তবুও ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাবার তার প্রতিশ্রুতির জন্য অনেকেই আবার তাকে সমর্থন দিতে দ্বিধাগ্রস্ত। অন্যদিকে, কিছু আরব আমেরিকান ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত এবং যুদ্ধবিরোধী অবস্থানকে আশার আলো হিসেবে দেখছেন এবং ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে বেরিয়ে এসে কমলাকে শাস্তি দেয়ার জন্য ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন।

আরব আমেরিকানদের আরেকটি দল কোনো প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়ার পক্ষে। এমনকি কেউ কেউ গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইনের জন্যও প্রচারণা চালাচ্ছেন।

ভোটের প্রচারণায় আরব আমেরিকান সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো উত্তেজনা না থাকা এটাই প্রমাণ করছে যে, কৌশলগতভাবে তারা এখনো ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেননি।

লেবানিজ আমেরিকান আলিসা হাকিম বলেন, ‘ভোট নিয়ে আমার কোন আশাই নেই।’ ২০২০ সালে তিনি বাইডেনকে ভোট দিয়েছিলেন, কিন্তু চার বছরের অভিজ্ঞতায় এখন তিনি ‘কম খারাপ’ পছন্দের ধারণাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এদিকে, মিশিগানের ডিয়ারবর্ন শহর, যেখানে আরব আমেরিকানদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য, সেখানে কমলার প্রতি সমর্থন অনেক কমে গেছে। ২০২০ সালে বাইডেন ডিয়ারবর্নে ৮০ শতাংশেরও বেশি আরব ভোট পেয়েছিলেন, কিন্তু এবার কমলার প্রচারণা সেখানে প্রত্যাশিত ফলাফল পাচ্ছে না। তথ্যসূত্র: আল জাজিরা