শিরোনাম :
Logo ঝিকুট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মালখানগর ঐক্যতান সমাজকল্যাণ সংগঠনের শুভেচ্ছা Logo চাঁদপুরে ২১ তম জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo রাবিতে প্রো-ভিসি’র ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবি জিয়া পরিষদের নিন্দা Logo উৎসবমুখর  পরিবেশে কয়রায় পালিত হতে যাচ্ছে  শারদীয় দুর্গা উৎসব Logo কচুয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর Logo চাঁদপুরে জুলাই শহিদ পরিবার ও যোদ্ধাদের মানববন্ধন Logo ইবিতে বৃক্ষ বিতরণ কর্মসূচিতে সম্প্রীতির বার্তা Logo বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইবিতে নবীনবরণ সম্পন্ন Logo যুবকদের কর্মসংস্থানে নতুন সম্ভাবনা-কয়রায় প্রশিক্ষণ সংলাপ  Logo

বন্ধ হতে পারে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:২২:২৯ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৩০ বার পড়া হয়েছে

ভারতের কলকাতার রাস্তায় বন্ধ হতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী। রাজ্য সরকার ১৫০ বছরের পুরনো ট্রাম পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৮৭৩ সালে শহরটিতে প্রথম ট্রাম চালু হয়। ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কলকাতার বাসিন্দারা ট্রামে চলাচল করছেন।

শুধু শহরের ময়দান থেকে এসপ্লানেড এলাকা পর্যন্ত একটি ঐতিহ্যবাহী রুটে এটি চলবে। রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এই কথা জানিয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী গতকাল সোমবার জানিয়েছেন, ট্রামের কারণে কলকাতায় জ্যামের সৃষ্টি হয়। কারণ এটি যোগাযোগের অন্যান্য বাহনের তুলনায় অনেকটাই ধীরগতির। এজন্য এটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তবে কলকাতায় বেড়াতে আসা মানুষরা ট্রাম দেখতে এবং ভ্রমণ করতে পারবেন। সেই উদ্দেশ্যে ময়দান থেকে এসপ্লান্ডে পর্যন্ত ট্রাম চলবে বলে জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী।

পরিবহনমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর কলকাতার ট্রাম প্রেমীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের মতে, পুরো ভারতে শুধুমাত্র কলকাতায় ট্রাম রয়েছে। তাই এই ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে।

ট্রাম নিয়ে কলকাতার হাইকোর্টে একটি রিট চলছে। গত বছরের ডিসেম্বরে আদালত নির্দেশ দেন কলকাতায় ট্রাম বন্ধ করা যাবে না। এটি সংস্কার করে চালু রাখতে হবে।
আদালতে চলা এই রিটের নতুন শুনানিতে ট্রাফিক জ্যামের বিষয় এবং একটি রুটে ট্রাম চলাচল চালু রাখার বিষয়টি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী।

কলকাতা শহরটিতে রাস্তার সংখ্যা মাত্র ছয় সতাংশ। যা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলেছে। তা সত্ত্বেও মানুষ যেন ঠিক সময়ে অফিসে-কাজে যেতে পারেন সেজন্য ট্রাফিক পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কিন্তু ট্রামের কারণে পুলিশের এ চেষ্টা ব্যহত হচ্ছে।

বর্তমানে কলকাতায় তিনটি রুটে ট্রাম চলাচল করে। যদি পরিবহনমন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয় তাহলে মাত্র একটি রুটে দেখা যাবে ট্রাম।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিকুট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মালখানগর ঐক্যতান সমাজকল্যাণ সংগঠনের শুভেচ্ছা

বন্ধ হতে পারে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম

আপডেট সময় : ০৮:২২:২৯ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতের কলকাতার রাস্তায় বন্ধ হতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী। রাজ্য সরকার ১৫০ বছরের পুরনো ট্রাম পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৮৭৩ সালে শহরটিতে প্রথম ট্রাম চালু হয়। ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কলকাতার বাসিন্দারা ট্রামে চলাচল করছেন।

শুধু শহরের ময়দান থেকে এসপ্লানেড এলাকা পর্যন্ত একটি ঐতিহ্যবাহী রুটে এটি চলবে। রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এই কথা জানিয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী গতকাল সোমবার জানিয়েছেন, ট্রামের কারণে কলকাতায় জ্যামের সৃষ্টি হয়। কারণ এটি যোগাযোগের অন্যান্য বাহনের তুলনায় অনেকটাই ধীরগতির। এজন্য এটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তবে কলকাতায় বেড়াতে আসা মানুষরা ট্রাম দেখতে এবং ভ্রমণ করতে পারবেন। সেই উদ্দেশ্যে ময়দান থেকে এসপ্লান্ডে পর্যন্ত ট্রাম চলবে বলে জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী।

পরিবহনমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর কলকাতার ট্রাম প্রেমীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের মতে, পুরো ভারতে শুধুমাত্র কলকাতায় ট্রাম রয়েছে। তাই এই ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে।

ট্রাম নিয়ে কলকাতার হাইকোর্টে একটি রিট চলছে। গত বছরের ডিসেম্বরে আদালত নির্দেশ দেন কলকাতায় ট্রাম বন্ধ করা যাবে না। এটি সংস্কার করে চালু রাখতে হবে।
আদালতে চলা এই রিটের নতুন শুনানিতে ট্রাফিক জ্যামের বিষয় এবং একটি রুটে ট্রাম চলাচল চালু রাখার বিষয়টি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী।

কলকাতা শহরটিতে রাস্তার সংখ্যা মাত্র ছয় সতাংশ। যা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলেছে। তা সত্ত্বেও মানুষ যেন ঠিক সময়ে অফিসে-কাজে যেতে পারেন সেজন্য ট্রাফিক পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কিন্তু ট্রামের কারণে পুলিশের এ চেষ্টা ব্যহত হচ্ছে।

বর্তমানে কলকাতায় তিনটি রুটে ট্রাম চলাচল করে। যদি পরিবহনমন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয় তাহলে মাত্র একটি রুটে দেখা যাবে ট্রাম।