শিরোনাম :
Logo জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা Logo দৈনিক কালের কন্ঠের সম্পাদকের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ! Logo গল্লামারী মৎস্য খামার হস্তান্তরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে খুবি শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি Logo ইবিতে হিন্দু ধর্ম অবমাননার অভিযোগে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি Logo খুবির আবাসন সংকট ও ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ নিরসনে বাধা গল্লামারী মৎস্য খামার Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল সোসাইটির সভাপতি নিতু, সাধারণ সম্পাদক রিদয় Logo ডাঃ আব্দুল হাই ফাউন্ডেশনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: ৯৩ কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তি সনদ ও নগদ সহায়তা প্রদান Logo সিরাজগঞ্জে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফাটল! প্রশাসনের তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ Logo আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: জবির ফিন্যান্স ১৭তম ব্যাচের সহপাঠীদের বিবৃতি

বন্ধ হতে পারে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:২২:২৯ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭২৫ বার পড়া হয়েছে

ভারতের কলকাতার রাস্তায় বন্ধ হতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী। রাজ্য সরকার ১৫০ বছরের পুরনো ট্রাম পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৮৭৩ সালে শহরটিতে প্রথম ট্রাম চালু হয়। ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কলকাতার বাসিন্দারা ট্রামে চলাচল করছেন।

শুধু শহরের ময়দান থেকে এসপ্লানেড এলাকা পর্যন্ত একটি ঐতিহ্যবাহী রুটে এটি চলবে। রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এই কথা জানিয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী গতকাল সোমবার জানিয়েছেন, ট্রামের কারণে কলকাতায় জ্যামের সৃষ্টি হয়। কারণ এটি যোগাযোগের অন্যান্য বাহনের তুলনায় অনেকটাই ধীরগতির। এজন্য এটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তবে কলকাতায় বেড়াতে আসা মানুষরা ট্রাম দেখতে এবং ভ্রমণ করতে পারবেন। সেই উদ্দেশ্যে ময়দান থেকে এসপ্লান্ডে পর্যন্ত ট্রাম চলবে বলে জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী।

পরিবহনমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর কলকাতার ট্রাম প্রেমীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের মতে, পুরো ভারতে শুধুমাত্র কলকাতায় ট্রাম রয়েছে। তাই এই ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে।

ট্রাম নিয়ে কলকাতার হাইকোর্টে একটি রিট চলছে। গত বছরের ডিসেম্বরে আদালত নির্দেশ দেন কলকাতায় ট্রাম বন্ধ করা যাবে না। এটি সংস্কার করে চালু রাখতে হবে।
আদালতে চলা এই রিটের নতুন শুনানিতে ট্রাফিক জ্যামের বিষয় এবং একটি রুটে ট্রাম চলাচল চালু রাখার বিষয়টি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী।

কলকাতা শহরটিতে রাস্তার সংখ্যা মাত্র ছয় সতাংশ। যা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলেছে। তা সত্ত্বেও মানুষ যেন ঠিক সময়ে অফিসে-কাজে যেতে পারেন সেজন্য ট্রাফিক পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কিন্তু ট্রামের কারণে পুলিশের এ চেষ্টা ব্যহত হচ্ছে।

বর্তমানে কলকাতায় তিনটি রুটে ট্রাম চলাচল করে। যদি পরিবহনমন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয় তাহলে মাত্র একটি রুটে দেখা যাবে ট্রাম।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা

বন্ধ হতে পারে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম

আপডেট সময় : ০৮:২২:২৯ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতের কলকাতার রাস্তায় বন্ধ হতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী। রাজ্য সরকার ১৫০ বছরের পুরনো ট্রাম পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৮৭৩ সালে শহরটিতে প্রথম ট্রাম চালু হয়। ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কলকাতার বাসিন্দারা ট্রামে চলাচল করছেন।

শুধু শহরের ময়দান থেকে এসপ্লানেড এলাকা পর্যন্ত একটি ঐতিহ্যবাহী রুটে এটি চলবে। রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এই কথা জানিয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী গতকাল সোমবার জানিয়েছেন, ট্রামের কারণে কলকাতায় জ্যামের সৃষ্টি হয়। কারণ এটি যোগাযোগের অন্যান্য বাহনের তুলনায় অনেকটাই ধীরগতির। এজন্য এটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তবে কলকাতায় বেড়াতে আসা মানুষরা ট্রাম দেখতে এবং ভ্রমণ করতে পারবেন। সেই উদ্দেশ্যে ময়দান থেকে এসপ্লান্ডে পর্যন্ত ট্রাম চলবে বলে জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী।

পরিবহনমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর কলকাতার ট্রাম প্রেমীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের মতে, পুরো ভারতে শুধুমাত্র কলকাতায় ট্রাম রয়েছে। তাই এই ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে।

ট্রাম নিয়ে কলকাতার হাইকোর্টে একটি রিট চলছে। গত বছরের ডিসেম্বরে আদালত নির্দেশ দেন কলকাতায় ট্রাম বন্ধ করা যাবে না। এটি সংস্কার করে চালু রাখতে হবে।
আদালতে চলা এই রিটের নতুন শুনানিতে ট্রাফিক জ্যামের বিষয় এবং একটি রুটে ট্রাম চলাচল চালু রাখার বিষয়টি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী।

কলকাতা শহরটিতে রাস্তার সংখ্যা মাত্র ছয় সতাংশ। যা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলেছে। তা সত্ত্বেও মানুষ যেন ঠিক সময়ে অফিসে-কাজে যেতে পারেন সেজন্য ট্রাফিক পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কিন্তু ট্রামের কারণে পুলিশের এ চেষ্টা ব্যহত হচ্ছে।

বর্তমানে কলকাতায় তিনটি রুটে ট্রাম চলাচল করে। যদি পরিবহনমন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয় তাহলে মাত্র একটি রুটে দেখা যাবে ট্রাম।