বৃহস্পতিবার | ২৭ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

৪৭ ইসরাইলি বন্দীর ছবি প্রকাশ করে যে সতর্কবার্তা দিলো হামাস

গাজা সিটিকে উদ্দেশ্য করে ইসরাইলি চূড়ান্ত আঘাত হানার পর ৪৭ জন ইসরাইলি বন্দীর ছবি প্রকাশ করেছে হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেডস। এরপর ইসরাইলকে সতর্ক করে তারা বলেছে, ইসরাইল যদি এই অভিযান চালিয়ে যায়, তাহলে এদেরকে এমনভাবে নিখোঁজ করা হবে যে আর কখনো এদের কোনো সন্ধান পাওয়া যাবে না।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে টেলিগ্রামের এক পোস্টে ওই ছবি শেয়ার করে এই সতর্কবার্তা জারি করে সংস্থাটি।

ছবিতে বন্দীদেরকে রোড আরাদ নামে অভিহিত করে প্রত্যেককে ক্রমিক নম্বর দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে গাজা সিটি দখলের উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহু ও ইসরাইলি সেনাপ্রধান যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, এটি যদি অব্যাহত রাখা হয়, তাহলে এসব বন্দীকে ইসরাইলের বিখ্যাত পাইলট রোন আরাদের পরিণতি ভোগ করতে হবে।

আল কাসসাম ব্রিগেডসের শেয়ার করা ছবিতে হিব্রু ও আরবি ভাষায় লেখা ছিল- নেতানিয়াহুর একগুঁয়েমি ও তার প্রতি সেনাপ্রধান জামিরের আত্মসমর্পণের কারণে চিরবিদায় নিতে যাওয়া বন্দীদের ছবি।

গত বৃহস্পতিবার দেয়া হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, যদি ইসরাইল গাজা সিটিতে এই হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রাখে, তাহলে বন্দী ইসরাইলিদের পরিণতি পাইলট রোন আরাদের মতোই হবে। আল কাসসাম ব্রিগেডস সতর্ক করে বলেছে, ইসরাইলি বন্দীরা এখন গাজা সিটিরই বিভিন্ন এলাকায় হেফাজতে রয়েছে। এখন ইসরাইলি বাহিনী যদি তাদের অভিযান চালিয়ে যেতে থাকে, তাহলে হামাস বন্দীদের রক্ষার জন্য আর ঝুঁকি নিতে রাজী নয়।

রোন আরাদ কে?

ইসরাইলি পাইলট রোন আরাদ ১৯৫৮ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলনের যোদ্ধাদের উপর হামলা চালাতে গিয়ে নিখোঁজ হন। জানা যায়, তিনি প্রথমে আমাল আন্দোলন এরপর হিজবুল্লাহর হাতে বন্দী হন। কিন্তু এরপর এখন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

এই নিয়ে ইসরাইল একাধিক বার তদন্তে করেছে। কিন্তু একেক তদন্তে একেক রকম ফলাফল সামনে এসেছে। তবে সবগুলো তদন্ত মোটামুটি নিশ্চিত যে তিনি মারা গেছেন। তবে কবে মারা গেছেন, এটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সূত্র : আল জাজিরা

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

৪৭ ইসরাইলি বন্দীর ছবি প্রকাশ করে যে সতর্কবার্তা দিলো হামাস

আপডেট সময় : ০৭:০৭:১৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গাজা সিটিকে উদ্দেশ্য করে ইসরাইলি চূড়ান্ত আঘাত হানার পর ৪৭ জন ইসরাইলি বন্দীর ছবি প্রকাশ করেছে হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেডস। এরপর ইসরাইলকে সতর্ক করে তারা বলেছে, ইসরাইল যদি এই অভিযান চালিয়ে যায়, তাহলে এদেরকে এমনভাবে নিখোঁজ করা হবে যে আর কখনো এদের কোনো সন্ধান পাওয়া যাবে না।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে টেলিগ্রামের এক পোস্টে ওই ছবি শেয়ার করে এই সতর্কবার্তা জারি করে সংস্থাটি।

ছবিতে বন্দীদেরকে রোড আরাদ নামে অভিহিত করে প্রত্যেককে ক্রমিক নম্বর দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে গাজা সিটি দখলের উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহু ও ইসরাইলি সেনাপ্রধান যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, এটি যদি অব্যাহত রাখা হয়, তাহলে এসব বন্দীকে ইসরাইলের বিখ্যাত পাইলট রোন আরাদের পরিণতি ভোগ করতে হবে।

আল কাসসাম ব্রিগেডসের শেয়ার করা ছবিতে হিব্রু ও আরবি ভাষায় লেখা ছিল- নেতানিয়াহুর একগুঁয়েমি ও তার প্রতি সেনাপ্রধান জামিরের আত্মসমর্পণের কারণে চিরবিদায় নিতে যাওয়া বন্দীদের ছবি।

গত বৃহস্পতিবার দেয়া হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, যদি ইসরাইল গাজা সিটিতে এই হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রাখে, তাহলে বন্দী ইসরাইলিদের পরিণতি পাইলট রোন আরাদের মতোই হবে। আল কাসসাম ব্রিগেডস সতর্ক করে বলেছে, ইসরাইলি বন্দীরা এখন গাজা সিটিরই বিভিন্ন এলাকায় হেফাজতে রয়েছে। এখন ইসরাইলি বাহিনী যদি তাদের অভিযান চালিয়ে যেতে থাকে, তাহলে হামাস বন্দীদের রক্ষার জন্য আর ঝুঁকি নিতে রাজী নয়।

রোন আরাদ কে?

ইসরাইলি পাইলট রোন আরাদ ১৯৫৮ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলনের যোদ্ধাদের উপর হামলা চালাতে গিয়ে নিখোঁজ হন। জানা যায়, তিনি প্রথমে আমাল আন্দোলন এরপর হিজবুল্লাহর হাতে বন্দী হন। কিন্তু এরপর এখন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

এই নিয়ে ইসরাইল একাধিক বার তদন্তে করেছে। কিন্তু একেক তদন্তে একেক রকম ফলাফল সামনে এসেছে। তবে সবগুলো তদন্ত মোটামুটি নিশ্চিত যে তিনি মারা গেছেন। তবে কবে মারা গেছেন, এটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সূত্র : আল জাজিরা