শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ একজন সন্ত্রাসী আটক Logo মহেশখালীতে কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গোলা-বারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদিসহ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারিগর আটক: Logo সাতক্ষীরা-০২ এ ধানের শীষের জয়ে নতুন অধ্যায়—বিএনপির একতাবদ্ধ ঘোষণা Logo বুটেক্স অ্যালামনাই ইউএসএ-এর আত্মপ্রকাশ: যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের মিলনমেলা ও কমিটি গঠন Logo বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন আগামী ২৭ ডিসেম্বর Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা

চিপ বা কার্ড নয়, এবার ডেটা রাখবে জিন !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:৫৬:৫৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৬ মার্চ ২০১৭
  • ৭৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ছবি, গান, তথ্য ও আরও অজস্র যত ডেটা আমরা তৈরি করে চলেছি, কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভে তা এঁটে উঠছে না। ফলে কত কম জায়গায় কত বেশি ডেটা রাখা যায়, তা নিয়ে বিজ্ঞানী-প্রযুক্তিবিদদের ভাবনার অন্ত নেই। চলছে নিত্য নতুন গবেষণা।

অথচ আমাদের জিনের মধ্যেই কত না তথ্য জমিয়ে রাখা আছে। যুগ যুগ ধরে এক প্রজন্ম থেকে পরের প্রজন্মে যা আমরা বয়ে নিয়ে চলেছি। ডিএনএ-তে ভরা ওই সব তথ্যই ঠিক করে দিচ্ছে কেমন হবে কার চেহারা ও বৈশিষ্ট্য।

এবার এই ডিএনএ-এর মধ্যেই এবার ডিজিটাল তথ্য রাখার ব্যবস্থা করে ফেলেছেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বিজ্ঞানী ইয়ানিভ এরলিখ ও ডিনা জিএলিস্কি এবং নিউ ইয়র্ক জিনোম সেন্টারের বিজ্ঞানীরা। মাত্র এক গ্রাম ডিএনএ-র মধ্যেই তারা রেখে দিতে পেরেছেন একটি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম ও একটি ভাইরাস প্রোগ্রাম, ৮ এমএম-এর একটি গোটা ফিল্ম, একটি সংস্থার ডিজিটাল গিফট কার্ড, আরও বেশ কিছু ডেটা। মোট ২১৫ পেটাবাইট। অর্থাৎ ১ গ্রাম ডিএনএ-তে ২১.৫ কোটি জিবি ডেটা!

ডিএনএ-তে তথ্য রাখার চেষ্টা অবশ্য আগেও হয়েছে এবং এখন তা চলছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। তফাৎ এটাই যে সেই ডিএনএ থেকে যখন ওই সব ডিজিটাল ডেটা ফেরত নেওয়া হয়েছে, দেখা গিয়েছে সবটা ফিরে পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু কিছু অংশ বাদ থেকে যাচ্ছে বা বিচ্যুতি আসছে।

ইয়ানিভরা জানাচ্ছেন, “তথ্য ভরা ডিএনএ তাঁরা এনজাইমের মাধ্যমে বারবার ‘কপি’ করেছেন। নিখুঁত ডেটা ফেরত পেয়েছেন মোট ন’বার কপি করার পরেও! এটা আগে ঘটেনি। ”

তবে জিনের জোগান অঢেল হলেও এই প্রক্রিয়াটির খরচ যথেষ্ট। ডেটা রাখতে ৭ হাজার ডলার ও তা ফেরত পেতে আরও ২ হাজার ডলার  খরচ পড়েছে ইয়ানিভদের।

তবে গবেষকরা বলছেন, তথ্য রাখার পক্ষে ডিএনএ হচ্ছে প্রকতির তৈরি আদর্শ পাত্র। যাতে সব চেয়ে কম জায়গায় সব চেয়ে বেশি তথ্য থাকে। কয়েক হাজার বছর সংরক্ষণ করা যায়। অল্প জায়গায় বিপুল ডেটা রাখা শুধু নয়, বারবার তা নিখুঁত ভাবে ফেরত পাওয়াটাও জরুরি।

ইয়ানিভরা সেই সমস্যার সমাধান করেছেন ডিএনএ-কে ‘পড়ার’ আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে। ইয়ানিভের বলেন, ‘‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাসেট বা সিডি-তে রাখা তথ্যের যে ক্ষয় হয়, ডিএনএ-তে তা হয় না। ক্যাসেট-সিডি-র মতো অচল হয়ে পড়ারও সম্ভাবনাও নেই এর। ’’

ডিএনএ-ও যদি অচল হয়ে পড়ে এমন প্রশ্নের জবাবে ইয়ানিভের মন্তব্য, ‘‘ডেটা রাখার চেয়ে সেটা আমাদের কাছে ঢের বড় বিপদ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

চিপ বা কার্ড নয়, এবার ডেটা রাখবে জিন !

আপডেট সময় : ০১:৫৬:৫৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৬ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ছবি, গান, তথ্য ও আরও অজস্র যত ডেটা আমরা তৈরি করে চলেছি, কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভে তা এঁটে উঠছে না। ফলে কত কম জায়গায় কত বেশি ডেটা রাখা যায়, তা নিয়ে বিজ্ঞানী-প্রযুক্তিবিদদের ভাবনার অন্ত নেই। চলছে নিত্য নতুন গবেষণা।

অথচ আমাদের জিনের মধ্যেই কত না তথ্য জমিয়ে রাখা আছে। যুগ যুগ ধরে এক প্রজন্ম থেকে পরের প্রজন্মে যা আমরা বয়ে নিয়ে চলেছি। ডিএনএ-তে ভরা ওই সব তথ্যই ঠিক করে দিচ্ছে কেমন হবে কার চেহারা ও বৈশিষ্ট্য।

এবার এই ডিএনএ-এর মধ্যেই এবার ডিজিটাল তথ্য রাখার ব্যবস্থা করে ফেলেছেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বিজ্ঞানী ইয়ানিভ এরলিখ ও ডিনা জিএলিস্কি এবং নিউ ইয়র্ক জিনোম সেন্টারের বিজ্ঞানীরা। মাত্র এক গ্রাম ডিএনএ-র মধ্যেই তারা রেখে দিতে পেরেছেন একটি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম ও একটি ভাইরাস প্রোগ্রাম, ৮ এমএম-এর একটি গোটা ফিল্ম, একটি সংস্থার ডিজিটাল গিফট কার্ড, আরও বেশ কিছু ডেটা। মোট ২১৫ পেটাবাইট। অর্থাৎ ১ গ্রাম ডিএনএ-তে ২১.৫ কোটি জিবি ডেটা!

ডিএনএ-তে তথ্য রাখার চেষ্টা অবশ্য আগেও হয়েছে এবং এখন তা চলছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। তফাৎ এটাই যে সেই ডিএনএ থেকে যখন ওই সব ডিজিটাল ডেটা ফেরত নেওয়া হয়েছে, দেখা গিয়েছে সবটা ফিরে পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু কিছু অংশ বাদ থেকে যাচ্ছে বা বিচ্যুতি আসছে।

ইয়ানিভরা জানাচ্ছেন, “তথ্য ভরা ডিএনএ তাঁরা এনজাইমের মাধ্যমে বারবার ‘কপি’ করেছেন। নিখুঁত ডেটা ফেরত পেয়েছেন মোট ন’বার কপি করার পরেও! এটা আগে ঘটেনি। ”

তবে জিনের জোগান অঢেল হলেও এই প্রক্রিয়াটির খরচ যথেষ্ট। ডেটা রাখতে ৭ হাজার ডলার ও তা ফেরত পেতে আরও ২ হাজার ডলার  খরচ পড়েছে ইয়ানিভদের।

তবে গবেষকরা বলছেন, তথ্য রাখার পক্ষে ডিএনএ হচ্ছে প্রকতির তৈরি আদর্শ পাত্র। যাতে সব চেয়ে কম জায়গায় সব চেয়ে বেশি তথ্য থাকে। কয়েক হাজার বছর সংরক্ষণ করা যায়। অল্প জায়গায় বিপুল ডেটা রাখা শুধু নয়, বারবার তা নিখুঁত ভাবে ফেরত পাওয়াটাও জরুরি।

ইয়ানিভরা সেই সমস্যার সমাধান করেছেন ডিএনএ-কে ‘পড়ার’ আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে। ইয়ানিভের বলেন, ‘‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাসেট বা সিডি-তে রাখা তথ্যের যে ক্ষয় হয়, ডিএনএ-তে তা হয় না। ক্যাসেট-সিডি-র মতো অচল হয়ে পড়ারও সম্ভাবনাও নেই এর। ’’

ডিএনএ-ও যদি অচল হয়ে পড়ে এমন প্রশ্নের জবাবে ইয়ানিভের মন্তব্য, ‘‘ডেটা রাখার চেয়ে সেটা আমাদের কাছে ঢের বড় বিপদ।