বেশ কিছুদিন ধরেই রাশিয়ার অভ্যন্তরে দূরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আসছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু ন্যাটো মিত্রদের কাছ থেকে তেমন কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি তাকে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাম্প্রতিক সময়ে চলমান যুদ্ধ বিষয়ে কথা বলেছেন। মনে করা হয়েছিল এ আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন, রাশিয়ার অভ্যন্তরে দূরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পেতে পারে।
তবে আলোচনা শেষে এমন কোনো সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত দেননি দুই দেশের প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি গাজায় চলমান যুদ্ধ, উত্তর কোরিয়া ও ইরানের পারমানবিক অস্ত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি- বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। হোয়াইট হাউস বলেছে, তারা ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার রাশিয়াকে প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করেছিলেন ইউক্রেনকে রাশিয়ায় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে না দিতে। ন্যাটো দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে পুতিন বলেছিলেন, মস্কো এটাকে (পশ্চিমা অস্ত্রের ব্যবহার) ইউক্রেনের যুদ্ধে ন্যাটো দেশগুলোর সরাসরি অংশগ্রহণ হিসেবে দেখবে। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমের এই আচরণ সংঘাতের প্রকৃতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন করবে।
তবে যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিব স্যার বেন ওয়ালেস বলেছেন, পুতিনের হুমকি সত্ত্বেও ন্যাটোর উচিত ইউক্রেনকে রাশিয়ায় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে দেওয়া। তিনি আরও যোগ করেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি শুধুমাত্র রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের উপকার করছে।
এদিকে, সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, “আমি পুতিনকে নিয়ে খুব একটা ভাবি না। ”
সেই সঙ্গেই ডেমোক্র্যাট নেতার দাবি, যুক্তরাষ্ট্র যেমন ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে, সেভাবেই দাঁড়াবে আগামী দিনেও। তার মতে, পুতিন এই যুদ্ধ জিততে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ৫৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্য করেছে। সূত্র: বিবিসি