শিরোনাম :
Logo ঢাকাবাসীর প্রতি ছাত্রদলের অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ Logo শার্শায় হতদরিদ্রের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক-২ Logo পুলিশে সুমাইয়া জাফরিন নামে কোনো নারী কর্মকর্তা নেই: পুলিশ সদর দপ্তর Logo খুবিতে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠায় কলা ও মানবিকীবিদ্যা’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু Logo আওয়ামী লীগ অপকর্ম করতে চাইলে কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo ইসলাম ও স্বাধীনতার দুশমনদের এদেশে রাজনীত করার কোনো অধিকার নেই : আল্লামা মামুনুল হক …….. আল্লামা মামুনুল হক Logo পলাশবাড়ীতে চেকপোস্টে ফেন্সিডিল ও নগদ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার মাদককারবারি Logo ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে চাঁদপুর প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের দুই দিনব্যাপী সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ Logo সাজিদ মৃত্যুর তদন্ত ও নিরাপদ ক্যাম্পাস দাবিতে ইবিতে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ Logo সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম খান গণমানুষের হৃদয়ে মানবিক নেত্রী

ইন্টারনেটের এমনিই স্লো হয়ে গেছে: পাকমন্ত্রী

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:৩১:১১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • ৭২৯ বার পড়া হয়েছে

ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। এরমধ্যে দেশটিতে ইন্টারনেটে ধীরগতির আসার কারণে অনেকেই দুষছেন সরকারকে। তবে দেশটির তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ফাতিমা খাজা বলেছেন এর সঙ্গে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সংশ্লিষ্টতা নেই।

এসময় ফাতিমা খাজা বলেছেন, ভিপিএনের অতিরিক্ত ব্যবহার ইন্টারনেটের গতিকে প্রভাবিত করেছে। রোববার (১৮ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী ফাতিমা খাজা আরও বলেন, ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ বা ইচ্ছাকৃতভাবে ধীরগতির করা হয়নি। বরং ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কের (ভিপিএন) ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ইন্টারনেটের গতি প্রভাবিত হয়েছে। যখন নির্দিষ্ট অ্যাপের পরিষেবা ব্লক করা হয়েছিলো, ব্যবহারকারীরা তখন ভিপিএন ব্যবহার করতে শুরু করে। এটি (ভিপিএন) স্থানীয় ইন্টারনেট পরিষেবাগুলোকে বাইপাস করে গতি কমায়। ভিপিএন করলে মোবাইল ইন্টারনেটের গতিও কমে।

তবে বিশেষজ্ঞরা তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তারা মনে করেন, সরকার একটি ফায়ারওয়াল পরীক্ষা করছে। এটি এমন এক নিরাপত্তা ব্যবস্থা যা নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিকের ওপর নজর রাখতে এবং অনলাইনে মানুষের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেও ব্যবহার করা যায়।

এই বিষয়ে পাকিস্তানের আইটি বিশেষজ্ঞ মালিক মুদাসসার বলেছেন, ভিপিএনের ব্যবহার শুধু ১০ থেকে ১৫ শতাংশ স্বতন্ত্র ব্যবহারকারীর সংযোগকে কমাতে পারে, যা কোনোভাবেই দেশব্যাপী ইন্টারনেট সমস্যা সৃষ্টি করে না। এআরওয়াই নিউজকে তিনি জানান, সরকার একটি জাতীয় ফায়ারওয়াল এবং কন্টেন্ট ফিল্টারিং সিস্টেম স্থাপনের কারণে ইন্টারনেটের গতি কমেছে।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে তাকে মুক্তি দিতে সরকারকে আলটিমেটামও দিয়েছেন তারা। এদিকে বিক্ষোভরত ছাত্রদের দমাতে নানা কৌশল অবলম্বনের চেষ্টা করছে দেশটির ক্ষমতাসীন বর্তমান সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেটের গতি কমানো বা ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের ওপর নজর রাখতে সরকার গোয়েন্দা সফটওয়্যার ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকাবাসীর প্রতি ছাত্রদলের অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ

ইন্টারনেটের এমনিই স্লো হয়ে গেছে: পাকমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১২:৩১:১১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০২৪

ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। এরমধ্যে দেশটিতে ইন্টারনেটে ধীরগতির আসার কারণে অনেকেই দুষছেন সরকারকে। তবে দেশটির তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ফাতিমা খাজা বলেছেন এর সঙ্গে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সংশ্লিষ্টতা নেই।

এসময় ফাতিমা খাজা বলেছেন, ভিপিএনের অতিরিক্ত ব্যবহার ইন্টারনেটের গতিকে প্রভাবিত করেছে। রোববার (১৮ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী ফাতিমা খাজা আরও বলেন, ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ বা ইচ্ছাকৃতভাবে ধীরগতির করা হয়নি। বরং ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কের (ভিপিএন) ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ইন্টারনেটের গতি প্রভাবিত হয়েছে। যখন নির্দিষ্ট অ্যাপের পরিষেবা ব্লক করা হয়েছিলো, ব্যবহারকারীরা তখন ভিপিএন ব্যবহার করতে শুরু করে। এটি (ভিপিএন) স্থানীয় ইন্টারনেট পরিষেবাগুলোকে বাইপাস করে গতি কমায়। ভিপিএন করলে মোবাইল ইন্টারনেটের গতিও কমে।

তবে বিশেষজ্ঞরা তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তারা মনে করেন, সরকার একটি ফায়ারওয়াল পরীক্ষা করছে। এটি এমন এক নিরাপত্তা ব্যবস্থা যা নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিকের ওপর নজর রাখতে এবং অনলাইনে মানুষের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেও ব্যবহার করা যায়।

এই বিষয়ে পাকিস্তানের আইটি বিশেষজ্ঞ মালিক মুদাসসার বলেছেন, ভিপিএনের ব্যবহার শুধু ১০ থেকে ১৫ শতাংশ স্বতন্ত্র ব্যবহারকারীর সংযোগকে কমাতে পারে, যা কোনোভাবেই দেশব্যাপী ইন্টারনেট সমস্যা সৃষ্টি করে না। এআরওয়াই নিউজকে তিনি জানান, সরকার একটি জাতীয় ফায়ারওয়াল এবং কন্টেন্ট ফিল্টারিং সিস্টেম স্থাপনের কারণে ইন্টারনেটের গতি কমেছে।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে তাকে মুক্তি দিতে সরকারকে আলটিমেটামও দিয়েছেন তারা। এদিকে বিক্ষোভরত ছাত্রদের দমাতে নানা কৌশল অবলম্বনের চেষ্টা করছে দেশটির ক্ষমতাসীন বর্তমান সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেটের গতি কমানো বা ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের ওপর নজর রাখতে সরকার গোয়েন্দা সফটওয়্যার ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।