বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের ডাকাতিয়া গ্রামের মৃত আহম্মেদ আলীর ছেলে। যুদ্ধকালীন আফসার বাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী রণাঙ্গনে বহু সম্মুুখ সমরে অংশ গ্রহণসহ যুদ্ধকালীন আফসার বাহিনীর মূখপত্র ‘জাগ্রত বাংলা’ প্রকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম ওমর আলী প্রথম সারির ছাত্রনেতা হিসেবে ১৯৬৯ এর গণআন্দোলনে নেতৃত্বদেন সম্মুখ ভাগে থেকে। তিনি ডাকাতিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, ভালুকা থানা ছাত্রলীগের সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সদস্য, ময়মনসিংহ পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ছাত্র সংসদের সাহিত্য ও ম্যাগাজিন সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম ওমর আলী মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণের স্বীকৃতি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কর্নেল এমএজি ওসমানী প্রদত্ত সার্টিফিকেট অর্জন করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম ওমর আলী ১৯৬৯ সালে তৎকালীন সরকার কর্তৃক একাধিক রাজনৈতিক মামলায় কারাভোগ করেন। ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির জনকের নির্মম হত্যাকান্ডের পর একাধিক রাজনৈতিক মামলার আসামি হন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম ওমর আলী ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে এলাকায় একাধিক মসজিদ মাদরাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও হাইস্কুল প্রতিষ্ঠার সঙ্গে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ত। ২০০৭ সালে পরিবারের অনুরোধে স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে পারিবারিক ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব করছেন। বর্তমানে তিনি মনো হ্যাচারি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও মনো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের উপদেষ্ঠার দায়িত্বে রয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম ওমর আলী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাচাই কমিটির চেয়ারম্যান মেজর (অব.) ওয়াকার হাসানসহ কমিটির সব সদস্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছর পর আমি আমার কাজের স্বীকৃতি পেয়েছি। আমি অত্যন্ত খুশি। একই সঙ্গে তার সহযোদ্ধাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।