তিনি অভিযোগ করেন হৃতিকের প্রেমিকা হওয়ার কাজ পাচ্ছেন না। হৃতিকের সঙ্গে সম্পর্কে তৈরি হওয়ার আগে থেকেই প্রায় এক দশক ধরে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ করতেন। একাধিক বিজ্ঞাপনেও ভয়েস ওভার দিয়েছেন। এছাড়াও সঙ্গীত শিল্পী হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তার। বেশ কিছু ছবিতেও অভিনয় করেছেন।
তবে হৃতিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পরই নাকি তার হাতে কাজ কমে গিয়েছে। এক পরিচালক নাকি সাবাকে বলেছেন, নামী তারকার প্রেমিকা এখন তিনি, তাই তার আর কাজের কি প্রয়োজন! এই কথা শুনেই গর্জে উঠেছেন সাবা।
নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তিনি লেখেন, গত এক দশক ধরে যে কাজ করে নিজের বাড়ি ভাড়া দিয়েছে, অন্ন সংস্থান করেছি এখন সেই কাজ পেতেই কষ্ট পেতে হচ্ছে। কোনও খ্যাতনামা মানুষের কিংবা সফল ব্যক্তির প্রেমিকা মানেই তার নিজস্ব উপার্জনের প্রয়োজন নেই এমন মানসিকতা থেকে ঠিক কবে নিষ্কৃতি পাব আমরা।
সাবা প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, আমরা কোন অন্ধকার যুগে বাস করছি। একজন নারী তার উপার্জনের মাধ্যমে যে সম্মান অর্জন করে সেটাকে হেয় করা হচ্ছে। আমি স্পষ্ট বলছি, এখনও পর্যন্ত আমি নিজের টাকায় জীবন যাপন করছি। নিজের ক্যারিয়ারকে ভালোবাসি। যে কাজটা করি সেটা পছন্দের। যদিও লোকে ভাবে আমরা সেসবের প্রয়োজন নেই। আসলে মানুষের চিন্তাভাবনা বদলাবে না।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সুজান খানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় হৃতিকের। তারপর বহুদিন সঙ্গীহীন ছিলেন বলিউডের ‘গ্রিক গড’। পরে কঙ্গনা রানাওয়াতের সঙ্গে তার নাম জড়ায়। আর তাতে বিস্তর বিতর্ক হয়। অবশ্য সে সব এখন অতীত। এখন সাবার সঙ্গে ভালো আছেন হৃতিক। অভিনেতার পরিবারের পাশাপাশি তার প্রথম স্ত্রী সুজানের সঙ্গেও সাবার ভালো সম্পর্ক।