শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

প্রেমিকার চিঠিটিতে ১০০ তে ৬১ নম্বর দিয়েছেন প্রেমিক !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৩৩:০৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৮০৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রেমিকার চিঠিটিতে ১০০ তে ৬১ নম্বর দিয়েছেন এক প্রেমিক! আমেরিকায় এক কলেজ-ছাত্রের সাবেক প্রেমিকা তাদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর দুঃখ প্রকাশ করে তার কাছে চার পাতার একটি চিঠি লিখেছিলেন। ছেলেটি তখন লাল কালি দিয়ে পরীক্ষার খাতা দেখার মতো করে ওই চিঠির কিছু ‘ভুল-ত্রুটি’ চিহ্নিত করে সেটি ফেরত পাঠিয়েছেন তার সাবেক প্রেমিকার কাছে। শুধু ‘ভুল ত্রুটি’ চিহ্নিত করেই তিনি ক্ষান্ত হননি, ওই চিঠির জন্যে তিনি তাকে নম্বরও দিয়েছেন।

জানা যায়, চিঠিটি পাওয়ার পর নিক লুটজ নামের ছেলেটি সেটি ছুঁড়ে ফেলেননি। বরং লাল কালির একটি মার্কার দিয়ে তিনি সেটিকে সমালোচনার চোখে দেখার সিদ্ধান্ত নেন- চিঠির বিভিন্ন জায়গায় দাগ দেন এবং নানা রকমের মন্তব্য করেন। চিঠিটির জন্যে ছেলেটি ১০০তে ৬১ নম্বর দিয়েছেন মেয়েটিকে। এবং মেয়েটির চেষ্টার জন্যে তাকে দিয়েছেন ডি গ্রেড। চার পাতার চিঠির শেষে ছেলেটি লাল কালি দিয়ে মন্তব্য করেছেন, দীর্ঘ ভূমিকা। ছোট উপসংহার, জোরালো যুক্তিতর্ক কিন্তু সেসব প্রমাণ করার জন্যে কিছু নেই। বিস্তারিত লেখা গুরুত্বপূর্ণ।

চিঠির একেবারে শুরুতেই ছেলেটি লিখেছেন যে ভূমিকা খুব বেশি লম্বা হয়ে গেছে এবং সেখানে বহু পুনরাবৃত্তিও ঘটেছে। মেয়েটি চিঠির এক জায়গায় ব্যাখ্যা করেছেন কেন এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। সেই জায়গায় লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করে নিক লিখেছেন যে তার সাবেক বান্ধবীর উচিত ছিল এর পেছনে কারণ তুলে ধরা। ছেলেটি আরো লিখেছেন, “এসব কথা প্রমাণ করার দরকার ছিল। যেমন তিনি বলতে পারতেন যে তিনি কখনোই তার সঙ্গে প্রতারণা করেননি। ” চিঠির অনেক জায়গায় ভুল বানানকেও তিনি দাগ দিয়ে চিহ্নিত করেছেন।

সাবেক প্রেমিকা এক জায়গায় লিখেছেন, “কিছু লুকানোর বা মিথ্যা বলার কোনো কারণ নেই। ” সেখানে ছেলেটি মার্জিনের একপাশে মন্তব্য করেছেন, “মিথ্যা বলার যদি কোনো কারণ না থাকে তাহলে কেন সত্যটা বলা হচ্ছে না?” চিঠির শেষের দিকের হাতের লেখারও সমালোচনা করেছেন তিনি। লিখেছেন, “মনে হয় ক্লান্ত হাতে লেখা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

প্রেমিকার চিঠিটিতে ১০০ তে ৬১ নম্বর দিয়েছেন প্রেমিক !

আপডেট সময় : ১২:৩৩:০৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

প্রেমিকার চিঠিটিতে ১০০ তে ৬১ নম্বর দিয়েছেন এক প্রেমিক! আমেরিকায় এক কলেজ-ছাত্রের সাবেক প্রেমিকা তাদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর দুঃখ প্রকাশ করে তার কাছে চার পাতার একটি চিঠি লিখেছিলেন। ছেলেটি তখন লাল কালি দিয়ে পরীক্ষার খাতা দেখার মতো করে ওই চিঠির কিছু ‘ভুল-ত্রুটি’ চিহ্নিত করে সেটি ফেরত পাঠিয়েছেন তার সাবেক প্রেমিকার কাছে। শুধু ‘ভুল ত্রুটি’ চিহ্নিত করেই তিনি ক্ষান্ত হননি, ওই চিঠির জন্যে তিনি তাকে নম্বরও দিয়েছেন।

জানা যায়, চিঠিটি পাওয়ার পর নিক লুটজ নামের ছেলেটি সেটি ছুঁড়ে ফেলেননি। বরং লাল কালির একটি মার্কার দিয়ে তিনি সেটিকে সমালোচনার চোখে দেখার সিদ্ধান্ত নেন- চিঠির বিভিন্ন জায়গায় দাগ দেন এবং নানা রকমের মন্তব্য করেন। চিঠিটির জন্যে ছেলেটি ১০০তে ৬১ নম্বর দিয়েছেন মেয়েটিকে। এবং মেয়েটির চেষ্টার জন্যে তাকে দিয়েছেন ডি গ্রেড। চার পাতার চিঠির শেষে ছেলেটি লাল কালি দিয়ে মন্তব্য করেছেন, দীর্ঘ ভূমিকা। ছোট উপসংহার, জোরালো যুক্তিতর্ক কিন্তু সেসব প্রমাণ করার জন্যে কিছু নেই। বিস্তারিত লেখা গুরুত্বপূর্ণ।

চিঠির একেবারে শুরুতেই ছেলেটি লিখেছেন যে ভূমিকা খুব বেশি লম্বা হয়ে গেছে এবং সেখানে বহু পুনরাবৃত্তিও ঘটেছে। মেয়েটি চিঠির এক জায়গায় ব্যাখ্যা করেছেন কেন এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। সেই জায়গায় লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করে নিক লিখেছেন যে তার সাবেক বান্ধবীর উচিত ছিল এর পেছনে কারণ তুলে ধরা। ছেলেটি আরো লিখেছেন, “এসব কথা প্রমাণ করার দরকার ছিল। যেমন তিনি বলতে পারতেন যে তিনি কখনোই তার সঙ্গে প্রতারণা করেননি। ” চিঠির অনেক জায়গায় ভুল বানানকেও তিনি দাগ দিয়ে চিহ্নিত করেছেন।

সাবেক প্রেমিকা এক জায়গায় লিখেছেন, “কিছু লুকানোর বা মিথ্যা বলার কোনো কারণ নেই। ” সেখানে ছেলেটি মার্জিনের একপাশে মন্তব্য করেছেন, “মিথ্যা বলার যদি কোনো কারণ না থাকে তাহলে কেন সত্যটা বলা হচ্ছে না?” চিঠির শেষের দিকের হাতের লেখারও সমালোচনা করেছেন তিনি। লিখেছেন, “মনে হয় ক্লান্ত হাতে লেখা।