জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ
রাজধানীর সাথে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যমঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা-কালিগঞ্জ মহাসড়কের কোটচাঁদপুর একটি অংশ। এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত দূরপাল্লার পরিবহনসহ ভারী যানবাহন চলাচল করে। গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর মেইন বাসস্ট্যান্ড মহাসড়কের পাশে বেশ কয়েক স্থানে ছোট বড় গর্ত তৈরি হয়েছে গেছে।
কোটচাঁদপুর উপজেলার মেইন বাসস্ট্যান্ড চত্বরে ও জামে মসজিদের সামনে মহাসড়কের পাশে নানা রকম ছোট বড় গর্ত হওয়ায় ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় যানবাহন চলাচল করছে। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে প্রানহানির মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সরেজমিনে দেখা গেছে, মেইল বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের সামনে মহাসড়কের পশ্চিমে বৃষ্টির পানির কারণে নানা রকম গর্ত তৈরি হয়েছে। ওইসব গর্তের পাশ দিয়ে ঢাকাগামী দূরপাল্লার পরিবহনসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন বিভিন্ন জেলার যাচ্ছে।
অনেক সময় একটির পাশ দিয়ে আরেকটি পরিবহন যাতায়াত কালে সেখানে ভয়ংকর অবস্থা তৈরি হয়। যেকোনো মুহূর্তে অসাবধানতায় গর্তে চাকা পড়তে পারে ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্থানীয়রা জানায়, প্রতি বর্ষার সময় এই অবস্থা হয় এই মহাসড়কের পাশে। এমন অবস্থায় পৌরসভা কতৃপক্ষের থেকে ইট সুরকি দিয়ে ঠিক করলে কিছুদিন ভাল থাকার পর আবার বৃষ্টি হলে আগের অবস্থায় ফিরে যাই। প্রথমে সামান্য গর্ত ছিল। ধীরে ধীরে ওই স্থান দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় এখন অনেক বড় আকার ধারণ করেছে।
শিগগিরই গর্ত ভরাট করাসহ মহাসড়কের পাশ সংস্কার করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।’গত কয়েক মাস আগে মহাসড়ক সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু এখন কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে মহাসড়কের পাশে গর্ত তৈরি হয়েছে। যেকোনো সময় গর্তে গাড়ি পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে রাতে পরিস্থিতি ভয়ংকর থাকে।’ঢাকাগামী পণ্যবাহী এক গাড়ি চালক বলেন, ‘দীর্ঘদিন লকডাউনের কারণে মহাসড়কের কোথায় কী অবস্থা হয়েছে তা অনেকটা অজানা রয়ে গেছে।
গত সপ্তাহে মধ্যরাতের দিকে দ্রুত গতিতে গাগি চালিয়ে যাওয়ার সময় সড়কের পাশেই দেখি ছোট বড় গর্ত। অল্পের জন্য দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যাই। এমতাবস্থায় স্থানীয় সুধীজন ও গণপরিবহনের শ্রমিকরা ঊর্ধ্বতন প্রমাসনের হস্তক্ষেপ কামনার জন্য জোর দাবি জানাই