শনিবার | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo মনোহরদীতে বিএজেএসএম মডেল কলেজে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ Logo মতলব দক্ষিণ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা Logo হাদীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট ও বার্মিজ লুঙ্গিসহ ২২ জন পাচারকারী আটক Logo কচুয়ায় র‍্যাবের অভিযানে ৫ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া Logo জাতীয় ছাত্রশক্তি জাবি শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা Logo জাবিতে ইলিয়াস ও পিনাকীর কুশপুত্তলিকা দাহন Logo পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ Logo সাতক্ষীরা-কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ

চুয়াডাঙ্গায় বিকাশ প্রতারক চক্রের মাগুরার শিপন গ্রেপ্তার

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১১:২৪:৩৩ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ৭৭১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার এলাকা থেকে বিকাশ প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানার পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে বড় বাজার রিচার্জ পয়েন্ট নামক একটি বিকাশের দোকান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ওই বিকাশ রিচার্জ পয়েন্ট দোকানের মালিক বাদী হয়ে সদর থানায় একটি প্রতারণার মামলা করেছেন।

গ্রেপ্তার হওয়া বিকাশ প্রতারক মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার সরদার কালীনগর গ্রামের বেলায়েত আলী মোল্লার ছেলে শিপন হোসেন (২৭)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার এলাকার রিচার্জ পয়েন্ট নামে একটি বিকাশের দোকান থেকে লোকজন টাকা পাঠালেই বিকাশ প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েন গ্রাহকেরা। প্রতারকরা রিচার্জ পয়েন্টের মালিক সেজে গ্রাহকদের কাছে ফোন দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। পরপর কয়েকটি প্রতারণার ঘটনা ঘটলে দোকানদার আরও সতর্ক হয়ে যান।

একপর্যায়ে গ্রেপ্তার হওয়া শিপন হোসেন নামে এই ছেলেটির প্রতি সন্দেহ হয় দোকানদারের। তিনি প্রায়ই ওই দোকান থেকে তাঁর মোবাইলে সেন্ড মানি করতেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরের দিকে শিপন নামে ওই প্রতারক দোকানে এসে তাঁর নম্বরে সেন্ড মানি করাসহ দোকানের বিকাশের ক্যাশ ইন খাতার ছবি তুলে চলে যান। কিছু সময় পর দোকানদার জানতে পারেন তাঁর দোকান থেকে ১৫ হাজার টাকা পাঠানো সনি নামের এক গ্রাহক প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে আবারও প্রতারক শিপন হোসেন রিচার্জ পয়েন্ট নামক ওই দোকানে আসলে দোকান মালিকসহ স্থানীয়রা তাঁকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে নেন। এ ঘটনায় ওই দোকানদার আবু সালেহ আল মিজবা বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত প্রায় ৪৩ হাজার টাকা প্রতারণা করে উঠিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক চক্রটি।

এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শামিম হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার বিষয়টি শিকার করেছেন গ্রেপ্তার শিপন হোসেন। তিনি আরও বলেন, প্রতারক শিপনের কাজ ছিল বিকাশের বিভিন্ন দোকান থেকে ক্যাশ ইন করা খাতার ছবি তুলে প্রতারণার মূল হোতাদের কাছে সরবরাহ করা। ওইদিক থেকে প্রতারণার মাস্টার মাইন্ডরা দোকান মালিক সেজে গ্রাহককে ফোন দিয়ে পাঠানো টাকার সঠিক পরিমাণটা উল্লেখ করে গ্রাহকের বিশ্বস্ততা অর্জন করে কৌশলে পিন নম্বর নিয়ে প্রতারণা করছিল। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মনোহরদীতে বিএজেএসএম মডেল কলেজে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

চুয়াডাঙ্গায় বিকাশ প্রতারক চক্রের মাগুরার শিপন গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ১১:২৪:৩৩ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার এলাকা থেকে বিকাশ প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানার পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে বড় বাজার রিচার্জ পয়েন্ট নামক একটি বিকাশের দোকান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ওই বিকাশ রিচার্জ পয়েন্ট দোকানের মালিক বাদী হয়ে সদর থানায় একটি প্রতারণার মামলা করেছেন।

গ্রেপ্তার হওয়া বিকাশ প্রতারক মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার সরদার কালীনগর গ্রামের বেলায়েত আলী মোল্লার ছেলে শিপন হোসেন (২৭)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার এলাকার রিচার্জ পয়েন্ট নামে একটি বিকাশের দোকান থেকে লোকজন টাকা পাঠালেই বিকাশ প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েন গ্রাহকেরা। প্রতারকরা রিচার্জ পয়েন্টের মালিক সেজে গ্রাহকদের কাছে ফোন দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। পরপর কয়েকটি প্রতারণার ঘটনা ঘটলে দোকানদার আরও সতর্ক হয়ে যান।

একপর্যায়ে গ্রেপ্তার হওয়া শিপন হোসেন নামে এই ছেলেটির প্রতি সন্দেহ হয় দোকানদারের। তিনি প্রায়ই ওই দোকান থেকে তাঁর মোবাইলে সেন্ড মানি করতেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরের দিকে শিপন নামে ওই প্রতারক দোকানে এসে তাঁর নম্বরে সেন্ড মানি করাসহ দোকানের বিকাশের ক্যাশ ইন খাতার ছবি তুলে চলে যান। কিছু সময় পর দোকানদার জানতে পারেন তাঁর দোকান থেকে ১৫ হাজার টাকা পাঠানো সনি নামের এক গ্রাহক প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে আবারও প্রতারক শিপন হোসেন রিচার্জ পয়েন্ট নামক ওই দোকানে আসলে দোকান মালিকসহ স্থানীয়রা তাঁকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে নেন। এ ঘটনায় ওই দোকানদার আবু সালেহ আল মিজবা বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত প্রায় ৪৩ হাজার টাকা প্রতারণা করে উঠিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক চক্রটি।

এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শামিম হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার বিষয়টি শিকার করেছেন গ্রেপ্তার শিপন হোসেন। তিনি আরও বলেন, প্রতারক শিপনের কাজ ছিল বিকাশের বিভিন্ন দোকান থেকে ক্যাশ ইন করা খাতার ছবি তুলে প্রতারণার মূল হোতাদের কাছে সরবরাহ করা। ওইদিক থেকে প্রতারণার মাস্টার মাইন্ডরা দোকান মালিক সেজে গ্রাহককে ফোন দিয়ে পাঠানো টাকার সঠিক পরিমাণটা উল্লেখ করে গ্রাহকের বিশ্বস্ততা অর্জন করে কৌশলে পিন নম্বর নিয়ে প্রতারণা করছিল। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।