শনিবার | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo মনোহরদীতে বিএজেএসএম মডেল কলেজে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ Logo মতলব দক্ষিণ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা Logo হাদীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট ও বার্মিজ লুঙ্গিসহ ২২ জন পাচারকারী আটক Logo কচুয়ায় র‍্যাবের অভিযানে ৫ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া Logo জাতীয় ছাত্রশক্তি জাবি শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা Logo জাবিতে ইলিয়াস ও পিনাকীর কুশপুত্তলিকা দাহন Logo পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ Logo সাতক্ষীরা-কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ

প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করছেন মানুষ ঝিনাইদহের মহাসড়ক যেন মৃত্যু ফাঁদ!

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১০:৪০:২২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ৭৯০ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ 

ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সড়ক মহাসড়ক মৃত্যু ফাঁদে পরণিত হয়েছে। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করছে। শহরে প্রতিদিনই দেখা দিচ্ছে যানজট ও দুর্ঘটনা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ইজিবাইক শহরের প্রধান প্রধান সড়ক দখল করে রাখছে। যেখানে-সেখানে ইচ্ছামতো থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করানো হচ্ছে। ফলে একদিকে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে ঘটছে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা। পৌর কর্তৃপক্ষ, ট্রাফিক পুলিশ ও জেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে। তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। প্রতিদিন নতুন নতুন ইজিবাইক রাস্তায় নামছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ২/১ মাসের মধ্যে শহর ও প্রধান প্রধান সড়কে চলাচল করা মুশকিল হয়ে যাবে। শহরবাসীর অভিযোগ, অতিরিক্ত ইজিবাইক ছাড়াও উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ভটভটি, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত গাড়ি ও নছিমন-করিমন অবৈধভাবে প্রধান সড়কগুলোতে চলাচল করছে। শহরেও এ সব অবৈধ যান প্রকেশ করছে। সরেজমিন দেখা গেছে, পুরানো ডিসি কোর্টের সামনে, থানা পাশে, জামে মসজিদের সামনে, পায়রা চত্বর, পোষ্ট অফিস মোড়, পাগলাকানাই মোড়, চুয়াডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ট, আরাপপুর, সিটি মোড়, পৌরসভার সামনে, কলেজ রোড, মুন্সি মার্কেট মোড়সহ শহরের একাধিক স্থানে গড়ে উঠেছে ইজিবাইকের পার্কিং। শহরের যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই যেন ইজিবাইকের ছড়াছড়ি। এসব গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। অবাধে এসব গাড়ি চলাচল করায় শহর ও শহরা লের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া ইজিবাইক চালকরা রাস্তার উপর দাড়িয়ে যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠানামা করছে। ব্যস্ততম রাস্তায় কোনো সিগন্যাল ছাড়া হঠাৎ গাড়ি ঘুরিয়ে ফেলেন। এতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনা ঘটছে। কলেজ ছাত্র হারুন অর রশিদ জানান, কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই যে যার মতো যখন-তখন ক্রয় করে নতুন ইজিবাইক ও মিশুক রাস্তায় নামাচ্ছে। আগে ইজিবাইক চায়না থেকে আমদানি করা হতো। যশোর খুলনায় তৈরী হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার অটো গ্যারেজগুলোতে তৈরি হচ্ছে এসব যানবাহন। পথচারী নজরুল ইসলাম বলেন, ঘর থেকে রাস্তায় বের হলেই ইজিবাইকের বেপরোয়া চলাচল দেখে ভয় করে। এসব গাড়ির বেপরোয়া চলাচলের কারণে শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটে চলছে। এদিকে একাধিক চালকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এটা চালাতে কোনো ট্রেনিং লাগে না। যিনি রিকশা চালাতে পারেন, তিনি ইজিবাইক সহজেই চালাতে পারেন। এ ছাড়া ইজিবাইক চালাতে লাইসেন্স বা ট্যাক্স কিছুই প্রয়োজন হয় না। কিছু জায়গায় টাকা দিলেই তারা ভাল থাকে। এ কারণে ইজিবাইকের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ঝিনাইদহের ট্রফিক পরিদর্শক সালাহউদ্দীন জানান, ইজিবাইকের কারণে যানজট নিরসন করতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। এখন শহরের বিভিন্ন স্থানে ইজিবাইক ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন সাদা বা লাল রং করে ইজিবাইক একদিন পর পর চালানোর দির্দেশনা দিলে নতুন করে আর কেউ ইজিবাইক কিনতে উৎসাহ দেখাবে না। এতে সহজে যানজট কমে আসবে। ইজবাইক চালকরাও পরিবার বা সংসারের কাজ করতে পারবে। তিনি বলেন ঝিনাইদহ জেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু ধোপে টেকেনি। যশোর বা বড় বড় শহরে বিভিন্ন রং করে একদিন পর পর চালানো হলে ঝিনাইদহে সম্ভব নয় কেন প্রশ্ন রাখেন ওই ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা।

 

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মনোহরদীতে বিএজেএসএম মডেল কলেজে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করছেন মানুষ ঝিনাইদহের মহাসড়ক যেন মৃত্যু ফাঁদ!

আপডেট সময় : ১০:৪০:২২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ 

ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সড়ক মহাসড়ক মৃত্যু ফাঁদে পরণিত হয়েছে। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করছে। শহরে প্রতিদিনই দেখা দিচ্ছে যানজট ও দুর্ঘটনা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ইজিবাইক শহরের প্রধান প্রধান সড়ক দখল করে রাখছে। যেখানে-সেখানে ইচ্ছামতো থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করানো হচ্ছে। ফলে একদিকে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে ঘটছে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা। পৌর কর্তৃপক্ষ, ট্রাফিক পুলিশ ও জেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে। তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। প্রতিদিন নতুন নতুন ইজিবাইক রাস্তায় নামছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ২/১ মাসের মধ্যে শহর ও প্রধান প্রধান সড়কে চলাচল করা মুশকিল হয়ে যাবে। শহরবাসীর অভিযোগ, অতিরিক্ত ইজিবাইক ছাড়াও উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ভটভটি, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত গাড়ি ও নছিমন-করিমন অবৈধভাবে প্রধান সড়কগুলোতে চলাচল করছে। শহরেও এ সব অবৈধ যান প্রকেশ করছে। সরেজমিন দেখা গেছে, পুরানো ডিসি কোর্টের সামনে, থানা পাশে, জামে মসজিদের সামনে, পায়রা চত্বর, পোষ্ট অফিস মোড়, পাগলাকানাই মোড়, চুয়াডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ট, আরাপপুর, সিটি মোড়, পৌরসভার সামনে, কলেজ রোড, মুন্সি মার্কেট মোড়সহ শহরের একাধিক স্থানে গড়ে উঠেছে ইজিবাইকের পার্কিং। শহরের যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই যেন ইজিবাইকের ছড়াছড়ি। এসব গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। অবাধে এসব গাড়ি চলাচল করায় শহর ও শহরা লের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া ইজিবাইক চালকরা রাস্তার উপর দাড়িয়ে যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠানামা করছে। ব্যস্ততম রাস্তায় কোনো সিগন্যাল ছাড়া হঠাৎ গাড়ি ঘুরিয়ে ফেলেন। এতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনা ঘটছে। কলেজ ছাত্র হারুন অর রশিদ জানান, কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই যে যার মতো যখন-তখন ক্রয় করে নতুন ইজিবাইক ও মিশুক রাস্তায় নামাচ্ছে। আগে ইজিবাইক চায়না থেকে আমদানি করা হতো। যশোর খুলনায় তৈরী হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার অটো গ্যারেজগুলোতে তৈরি হচ্ছে এসব যানবাহন। পথচারী নজরুল ইসলাম বলেন, ঘর থেকে রাস্তায় বের হলেই ইজিবাইকের বেপরোয়া চলাচল দেখে ভয় করে। এসব গাড়ির বেপরোয়া চলাচলের কারণে শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটে চলছে। এদিকে একাধিক চালকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এটা চালাতে কোনো ট্রেনিং লাগে না। যিনি রিকশা চালাতে পারেন, তিনি ইজিবাইক সহজেই চালাতে পারেন। এ ছাড়া ইজিবাইক চালাতে লাইসেন্স বা ট্যাক্স কিছুই প্রয়োজন হয় না। কিছু জায়গায় টাকা দিলেই তারা ভাল থাকে। এ কারণে ইজিবাইকের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ঝিনাইদহের ট্রফিক পরিদর্শক সালাহউদ্দীন জানান, ইজিবাইকের কারণে যানজট নিরসন করতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। এখন শহরের বিভিন্ন স্থানে ইজিবাইক ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন সাদা বা লাল রং করে ইজিবাইক একদিন পর পর চালানোর দির্দেশনা দিলে নতুন করে আর কেউ ইজিবাইক কিনতে উৎসাহ দেখাবে না। এতে সহজে যানজট কমে আসবে। ইজবাইক চালকরাও পরিবার বা সংসারের কাজ করতে পারবে। তিনি বলেন ঝিনাইদহ জেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু ধোপে টেকেনি। যশোর বা বড় বড় শহরে বিভিন্ন রং করে একদিন পর পর চালানো হলে ঝিনাইদহে সম্ভব নয় কেন প্রশ্ন রাখেন ওই ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা।