শিরোনাম :
Logo ঘাতকের বুলেটে সাভারের রাজপথে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন শিক্ষার্থী ইয়ামিন Logo পলাশবাড়ীতে ধানের শীর্ষ প্রতিকের পক্ষে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত Logo হাবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী ব্র‍্যাকনেট প্রেজেন্টস আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি সামার সিম্পোজিয়াম ২০২৫ Logo সাজিদের মৃত্যু ‘অস্বাভাবিক’ দাবি করে ইবি শিক্ষার্থীদের প্রেস কনফারেন্স Logo শেরপুরে ‘রূপসী শেরপুর’-এর মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন Logo জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত Logo খাগড়াছড়ির ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন Logo সাজিদের জানাজা সম্পন্ন, মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তদন্তের ঘোষণা Logo ঊচত এর দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

দর্শনা পৌরসভার ১৭ লাখ টাকা উত্তোলন ও আত্মসাতের অভিযোগ

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০২:৫১:৩৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ৭৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:দর্শনা পৌরসভার হিসাবরক্ষক এস এম রুমি আলম পলাশের বিরুদ্ধে জাল স্বাক্ষর করে ব্যাংক থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা উত্তোলন ও আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে পৌর কর্তৃপক্ষ হিসাবরক্ষক পলাশকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। সেই সঙ্গে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

জানা গেছে, দর্শনা পৌরসভার ২০১৯-২০২০ চলতি অর্থ বছরের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ শুরু হয় গত আগস্ট মাসের প্রথম দিকে। হিসাবরক্ষকের আয়-ব্যয়ের হিসাবে ব্যাপক গড়মিল পাওয়ায় বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরে আসে। নবাগত সচিব মনিরুজ্জামান সিকদার ও পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের সুদক্ষতায় প্রথমেই জনতা ব্যাংক (দর্শনা শাখা) থেকে সহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সামাদের যোগসাজসে পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের স্বাক্ষর জাল করে ১৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা উত্তোলন ও আত্মসাতের বিষয়টি উঠে আসে।

বিষয়টি পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ আরও তথ্য সংগ্রহ করার লক্ষে গোপনে গত ২৩ আগস্ট পৌরসভার হিসাবরক্ষক এস এম রুমি আলম পলাশকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এছাড়া হিসাবরক্ষকের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কেউ জড়িত আছে কি না এবং বিস্তার পরিসরে সুষ্টু তদন্তের জন্য পৌর সচিব মনিরুজ্জামান সিকদার, পৌর কর্মচারী সরোয়ার হোসেন ও ইউনুচ আলীকে নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এ বিষয়ে দর্শনা পৌরসভার সচিব মনিরুজ্জামান সিকদার বলেন, একটি অভিযোগে দর্শনা পৌরসভার হিসাবরক্ষক এস এম রুমি আলম পলাশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কী বিষয়ে বরখাস্ত করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তদন্তের সার্থে আমরা এখন কিছুই বলতে পার পারব না। তবে তদন্ত শেষে বিষয়টি আপনাদের জানাতে পারব।’ এ বিষয়ে দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের একটি বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে জানাতে পারব।

এদিকে একটি সূত্রে জানা যায়, দর্শনা পৌরসভার নানা অভিযোগে আলোচিত হিসাবরক্ষক পলাশের দৌরত্ম্য ছিল লক্ষণীয়। তিনি ইতোমধ্যে পৌরসভার টাকা আত্মসাৎ করে হঠাৎ করে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। পৌরসভার তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারী হয়ে জীবনযাপনের মান নিয়েও এখন উঠছে নানা প্রশ্ন। দর্শনার সবচেয়ে বড় খড়ির ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি এখন জনমনে উঠে আসছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঘাতকের বুলেটে সাভারের রাজপথে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন শিক্ষার্থী ইয়ামিন

দর্শনা পৌরসভার ১৭ লাখ টাকা উত্তোলন ও আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০২:৫১:৩৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০

নিউজ ডেস্ক:দর্শনা পৌরসভার হিসাবরক্ষক এস এম রুমি আলম পলাশের বিরুদ্ধে জাল স্বাক্ষর করে ব্যাংক থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা উত্তোলন ও আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে পৌর কর্তৃপক্ষ হিসাবরক্ষক পলাশকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। সেই সঙ্গে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

জানা গেছে, দর্শনা পৌরসভার ২০১৯-২০২০ চলতি অর্থ বছরের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ শুরু হয় গত আগস্ট মাসের প্রথম দিকে। হিসাবরক্ষকের আয়-ব্যয়ের হিসাবে ব্যাপক গড়মিল পাওয়ায় বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরে আসে। নবাগত সচিব মনিরুজ্জামান সিকদার ও পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের সুদক্ষতায় প্রথমেই জনতা ব্যাংক (দর্শনা শাখা) থেকে সহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সামাদের যোগসাজসে পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের স্বাক্ষর জাল করে ১৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা উত্তোলন ও আত্মসাতের বিষয়টি উঠে আসে।

বিষয়টি পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ আরও তথ্য সংগ্রহ করার লক্ষে গোপনে গত ২৩ আগস্ট পৌরসভার হিসাবরক্ষক এস এম রুমি আলম পলাশকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এছাড়া হিসাবরক্ষকের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কেউ জড়িত আছে কি না এবং বিস্তার পরিসরে সুষ্টু তদন্তের জন্য পৌর সচিব মনিরুজ্জামান সিকদার, পৌর কর্মচারী সরোয়ার হোসেন ও ইউনুচ আলীকে নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এ বিষয়ে দর্শনা পৌরসভার সচিব মনিরুজ্জামান সিকদার বলেন, একটি অভিযোগে দর্শনা পৌরসভার হিসাবরক্ষক এস এম রুমি আলম পলাশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কী বিষয়ে বরখাস্ত করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তদন্তের সার্থে আমরা এখন কিছুই বলতে পার পারব না। তবে তদন্ত শেষে বিষয়টি আপনাদের জানাতে পারব।’ এ বিষয়ে দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের একটি বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে জানাতে পারব।

এদিকে একটি সূত্রে জানা যায়, দর্শনা পৌরসভার নানা অভিযোগে আলোচিত হিসাবরক্ষক পলাশের দৌরত্ম্য ছিল লক্ষণীয়। তিনি ইতোমধ্যে পৌরসভার টাকা আত্মসাৎ করে হঠাৎ করে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। পৌরসভার তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারী হয়ে জীবনযাপনের মান নিয়েও এখন উঠছে নানা প্রশ্ন। দর্শনার সবচেয়ে বড় খড়ির ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি এখন জনমনে উঠে আসছে।