শিরোনাম :
Logo জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা Logo দৈনিক কালের কন্ঠের সম্পাদকের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ! Logo গল্লামারী মৎস্য খামার হস্তান্তরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে খুবি শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি Logo ইবিতে হিন্দু ধর্ম অবমাননার অভিযোগে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি Logo খুবির আবাসন সংকট ও ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ নিরসনে বাধা গল্লামারী মৎস্য খামার Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল সোসাইটির সভাপতি নিতু, সাধারণ সম্পাদক রিদয় Logo ডাঃ আব্দুল হাই ফাউন্ডেশনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: ৯৩ কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তি সনদ ও নগদ সহায়তা প্রদান Logo সিরাজগঞ্জে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফাটল! প্রশাসনের তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ Logo আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: জবির ফিন্যান্স ১৭তম ব্যাচের সহপাঠীদের বিবৃতি

বিভেদের রাজনীতি করেছে বিএনপি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে !

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৪:৩০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২ আগস্ট ২০২০
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে রাজনীতিতে বিভেদের দেয়াল সৃষ্টি করেছে বিএনপি।

ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায়, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলো বিএনপি। তাদের বিদেশে পালিয়ে যেতে সুযোগ করে দিয়েছিলো। দূতাবাসে চাকরি দেয়াসহ ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বন্ধ করেছিলো বিএনপি। সেখান থেকেই রাজনীতিতে বিভেদের দেয়াল সৃষ্টি হয়েছিলো।

তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এই ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান সেসময় সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী থাকলেও এ অধ্যাদেশ তিনি বাতিল করেননি। বরং কর্নেল ফারুক, কর্নেল রশিদের মতো বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ ও পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, জিয়াউর রহমান জামায়াতকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রথম পুনর্বাসিত করেছিলেন। আর খালেদা জিয়া শুরু করেন পুরোপুরি জামায়াত নির্ভর রাজনীতি।

তারা বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে একাত্তরের রাজাকার-আলবদরদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন খালেদা জিয়া। সেই থেকে জামায়াত-বিএনপি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। ফলে দেশের তরুণ সমাজ, সেক্যুলার সমাজ, মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী সমাজের আস্থাও হারিয়ে ফেলে বিএনপি।

দেশে সন্ত্রাস প্রতিপালন ও প্রতিপক্ষকে নির্মূলের রাজনীতি চালু করেছিলো বিএনপি উল্লেখ করে এসব রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি সবচেয়ে বড় বিভাজন রেখাটি তৈরি করেছিলো ২০০৪ সালে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে। যার মাধ্যমে দলটি নিজেই সবচেয়ে বড় সংকটের মধ্যে পড়েছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালের পর বিএনপি প্রথম বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভাজন সৃষ্টি করে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়া, তাদের পুনর্বাসন করাসহ রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ দেয় বিএনপি।

রাজনীতিতে আজ সৌজন্যবোধ নেই মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, দেশে রাজনীতিতে খুবই খারাপ সময় চলছে। রাজনীতি ক্রমেই পক্ষপাতিত্ব হয়ে যাচ্ছে। বিরোধীরা অসুস্থ রাজনীতির জন্ম দিচ্ছে। ক্ষমতাসীন সরকারের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে লিপ্ত হচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা

বিভেদের রাজনীতি করেছে বিএনপি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে !

আপডেট সময় : ০৯:৩৪:৩০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে রাজনীতিতে বিভেদের দেয়াল সৃষ্টি করেছে বিএনপি।

ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায়, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলো বিএনপি। তাদের বিদেশে পালিয়ে যেতে সুযোগ করে দিয়েছিলো। দূতাবাসে চাকরি দেয়াসহ ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বন্ধ করেছিলো বিএনপি। সেখান থেকেই রাজনীতিতে বিভেদের দেয়াল সৃষ্টি হয়েছিলো।

তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এই ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান সেসময় সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী থাকলেও এ অধ্যাদেশ তিনি বাতিল করেননি। বরং কর্নেল ফারুক, কর্নেল রশিদের মতো বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ ও পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, জিয়াউর রহমান জামায়াতকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রথম পুনর্বাসিত করেছিলেন। আর খালেদা জিয়া শুরু করেন পুরোপুরি জামায়াত নির্ভর রাজনীতি।

তারা বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে একাত্তরের রাজাকার-আলবদরদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন খালেদা জিয়া। সেই থেকে জামায়াত-বিএনপি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। ফলে দেশের তরুণ সমাজ, সেক্যুলার সমাজ, মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী সমাজের আস্থাও হারিয়ে ফেলে বিএনপি।

দেশে সন্ত্রাস প্রতিপালন ও প্রতিপক্ষকে নির্মূলের রাজনীতি চালু করেছিলো বিএনপি উল্লেখ করে এসব রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি সবচেয়ে বড় বিভাজন রেখাটি তৈরি করেছিলো ২০০৪ সালে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে। যার মাধ্যমে দলটি নিজেই সবচেয়ে বড় সংকটের মধ্যে পড়েছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালের পর বিএনপি প্রথম বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভাজন সৃষ্টি করে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়া, তাদের পুনর্বাসন করাসহ রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ দেয় বিএনপি।

রাজনীতিতে আজ সৌজন্যবোধ নেই মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, দেশে রাজনীতিতে খুবই খারাপ সময় চলছে। রাজনীতি ক্রমেই পক্ষপাতিত্ব হয়ে যাচ্ছে। বিরোধীরা অসুস্থ রাজনীতির জন্ম দিচ্ছে। ক্ষমতাসীন সরকারের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে লিপ্ত হচ্ছে।