শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

মাদারীপুরের বন্যা ও ভাঙন কবলিত ৩৪টি ইউপিতে বন্যা ও নদী ভাঙনের কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

  • আপডেট সময় : ০৮:১৭:২৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১ আগস্ট ২০২০
  • ৭৮০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মাদারীপুরের বন্যা ও ভাঙন কবলিত ৩৪টি ইউপিতে বন্যা ও নদী ভাঙনের কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় ঈদুল আজহার আনন্দ মলিন হয়ে গেছে সবার।

একদিকে করোনা পরিস্থিতি আরেক দিকে চারপাশে বন্যার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মহীন হয়ে পড়ে অনেকেই খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে ঠায় পেয়েছেন তাদেরও ঈদের আমেজ নেই। এরই পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানির সংকটও দেখা দিয়েছে। তাই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন এসব এলাকার অনেক বাসিন্দা।

রাজৈরের আনসার আলী বলেন, পদ্মার ভাঙনে সবই হারিয়ে ফেলেছি। এখন বসতবাড়ি, জমি-জিরাত সবই শেষ। এখন নি:স্ব হয়ে পড়েছি। তবুও যতটুকু ঠায় পাওয়ার মতো ছিলো সবই হারিয়ে ফেললাম পদ্মার ভাঙনের কবলে। এখন আর কারো সহযোগিতা ছাড়া বাঁচার উপায় নেই। আমার মতো আরো অনেকেই আছেন যাদের কিছুই নেই।

সরেজমিনে মাদারীপুরের রাজৈর, সদর, কালকিনি ও শিবচর উপজেলায় বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। গত দুই দিন ধরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বসতবাড়ি থেকে এখনো পানি নামেনি। ঈদুল আজহায়ও এসব এলাকার মানুষের যেনো দুর্ভোগের শেষ নেই।

সদর উপজেলার তাল্লুক গ্রামের জাফর ঘরামী বলেন, দিনমজুরের কাজ করি। কিন্তু করোনার কারণে আর কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। কাজ নেই, একেবারেই বেকার কয়েকমাস ধরে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চারদিকেই ঘিরে ধরেছে বন্যা। কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। সংসারে আছেন ১৩ জন সদস্য। খুবই কষ্টে দিনকাল যাচ্ছে।

কালিকিনি উপজেলায়ও ঈদের আনন্দ নেই। পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে আলীনগর এলাকার চরহোগলপাতিয়া গ্রামের অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি। ভয়ে আর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পদ্মপাড়ের পাঁচ গ্রামের মানুষ।

অনেকেই বলছেন, একদিকে ছিলো করোনা পরিস্থিতি। কোনো কাজ ছিলো না। সংসারের খরচাপাতি চালিয়েছি ধারদেনা করে। সবকিছু ভালোই চলছিলো। এখন দেখছি আর বাঁচার উপায় নেই। একদিকে বন্য আরেকদিকে বেড়েছে পদ্মার ভাঙন। ঈদের আনন্দ বুঝতেই এখন কষ্ট হচ্ছে।

মাদারীপুরের ডিসি ড. রহিমা খাতুন বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বন্যা ও নদী ভাঙনের কবলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট

মাদারীপুরের বন্যা ও ভাঙন কবলিত ৩৪টি ইউপিতে বন্যা ও নদী ভাঙনের কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

আপডেট সময় : ০৮:১৭:২৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

মাদারীপুরের বন্যা ও ভাঙন কবলিত ৩৪টি ইউপিতে বন্যা ও নদী ভাঙনের কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় ঈদুল আজহার আনন্দ মলিন হয়ে গেছে সবার।

একদিকে করোনা পরিস্থিতি আরেক দিকে চারপাশে বন্যার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মহীন হয়ে পড়ে অনেকেই খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে ঠায় পেয়েছেন তাদেরও ঈদের আমেজ নেই। এরই পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানির সংকটও দেখা দিয়েছে। তাই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন এসব এলাকার অনেক বাসিন্দা।

রাজৈরের আনসার আলী বলেন, পদ্মার ভাঙনে সবই হারিয়ে ফেলেছি। এখন বসতবাড়ি, জমি-জিরাত সবই শেষ। এখন নি:স্ব হয়ে পড়েছি। তবুও যতটুকু ঠায় পাওয়ার মতো ছিলো সবই হারিয়ে ফেললাম পদ্মার ভাঙনের কবলে। এখন আর কারো সহযোগিতা ছাড়া বাঁচার উপায় নেই। আমার মতো আরো অনেকেই আছেন যাদের কিছুই নেই।

সরেজমিনে মাদারীপুরের রাজৈর, সদর, কালকিনি ও শিবচর উপজেলায় বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। গত দুই দিন ধরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বসতবাড়ি থেকে এখনো পানি নামেনি। ঈদুল আজহায়ও এসব এলাকার মানুষের যেনো দুর্ভোগের শেষ নেই।

সদর উপজেলার তাল্লুক গ্রামের জাফর ঘরামী বলেন, দিনমজুরের কাজ করি। কিন্তু করোনার কারণে আর কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। কাজ নেই, একেবারেই বেকার কয়েকমাস ধরে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চারদিকেই ঘিরে ধরেছে বন্যা। কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। সংসারে আছেন ১৩ জন সদস্য। খুবই কষ্টে দিনকাল যাচ্ছে।

কালিকিনি উপজেলায়ও ঈদের আনন্দ নেই। পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে আলীনগর এলাকার চরহোগলপাতিয়া গ্রামের অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি। ভয়ে আর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পদ্মপাড়ের পাঁচ গ্রামের মানুষ।

অনেকেই বলছেন, একদিকে ছিলো করোনা পরিস্থিতি। কোনো কাজ ছিলো না। সংসারের খরচাপাতি চালিয়েছি ধারদেনা করে। সবকিছু ভালোই চলছিলো। এখন দেখছি আর বাঁচার উপায় নেই। একদিকে বন্য আরেকদিকে বেড়েছে পদ্মার ভাঙন। ঈদের আনন্দ বুঝতেই এখন কষ্ট হচ্ছে।

মাদারীপুরের ডিসি ড. রহিমা খাতুন বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বন্যা ও নদী ভাঙনের কবলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।