নিউজ ডেস্ক:
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা সেবায় দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ’র আয়া মা আসমাউল হুসনা কোয়ারেন্টাইনের শর্ত মেনে ২১ দিন পরপর বাড়ি ফেরার সুযোগ পান। করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে এবার নিজেই আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে তার ছোট্ট মেয়ে তাসনিম, মায়ের অপেক্ষায় বিষণ্ণতা আর ছলছলে চোখেই পুরোদিন কাটায়। তাকে মানাতে, কখনো খেলনা কখনো কার্টুন ছবি দিয়ে মন ভোলানোর চেষ্টায় থাকে পরিবার। আসমাউল হুসনার সেবায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ’র আয়া আসমাউল হুসনা বলেন, কালকে বাচ্চাকে দেখছিলাম। একটু দূর থেকে বাচ্চাকে দেখলাম। দূর থেকে আমার বাচ্চা কোলে আসতে ছটফট করছে আম্মু বলে। এক ফোঁটা কাছে যেতে পারিনি।
করোনায় আক্রান্ত এ আয়ার উন্নত ব্যবস্থায় চিকিৎসা ও পুষ্টিকর খাবার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম।
আইসিইউ’তে কাজের আট বছরের অভিজ্ঞতা থাকায় করোনাকালের শুরু থেকেই আক্রান্ত রোগীদের সেবায় কাজ করছেন মজুরি ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পাওয়া আয়া আসমাউল হুসনা।
সুত্র : ডেইলি বাংলাদেশ