শিরোনাম :
Logo ঝালকাঠিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী দিবস উপলক্ষ্যে জেএসডির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ স্ত্রী, অতিষ্ঠ হয়ে জীবন্ত কবর দেয়ার চেষ্টা স্বামীর Logo গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ! Logo আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান ‘চিরকালের জন্য’ যুদ্ধ বন্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ট্রাম্প Logo ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন : সিইসি Logo সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আনম এহসানুল হক শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে Logo পলাশবাড়ীতে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। Logo কচুয়ায় অবৈধ রিং জাল উদ্ধার ও পুড়িয়ে ধ্বংস Logo বীরগঞ্জে উপজেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo বীরগঞ্জে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃ-ত্যু

শশুড়, শাশুড়ি থেকে আলাদা হতে চাইলে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে পারবে স্বামী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১২:৫২:৪৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২ জুন ২০১৯
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:বাবা-মায়ের থেকে ছেলেকে আলাদা করতে চাইলে স্ত্রী’কে ডিভোর্স দিতে পারবেন হাজব্যান্ড। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের হিন্দু বিবাহ আইনে এই বিধান জারি করা হয়। বৃহস্পতিবার একটি ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জাস্টিস অনিল দাভে এবং জাস্টিস এল নাগেশ্বর বলেন, বৃদ্ধ এবং ছেলের ওপর নির্ভরশীল বাবা-মায়ের থেকে স্বামীকে নিয়ে আলাদাভাবে বসবাস করতে জোর করলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করতে পারেন স্বামী। ১৪ পাতার রায়ে বিচারপতিদ্বয় বলেন, ‘পশ্চিমা সভ্যতার সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং রাজনীতির বিস্তর ফারাক রয়েছে। সেখানকার নিয়ম এখানে চলতে পারে না। বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখা ছেলের কর্তব্য বলেই ধরা হয়। বিয়ের পর স্বামীর পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠেন স্ত্রী। যদি বিশেষ ক্ষেত্র না হয় তবে স্বামীকে অভিভাবকদের থেকে পৃথক করার জন্য মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করলে বিচ্ছেদের মামলা করতে পারেন স্বামী।’ বায়ে আরো বলা হয়, ‘অতীতে দেখা গিয়েছে স্বামীকে চাপ দিতে স্ত্রী আত্মহত্যার হুমকি বা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। যদি কোনো ক্ষেত্রে তিনি মারা যান তবে আইনি সমস্যায় জর্জরিত হতে হয় সেই ব্যক্তিকে। তার ক্যারিয়ার, পরিবার, সামাজিক সম্মান সব কিছু ছারখার হয়ে যায়। এ সব কিছুর কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত চাপের কাছে নতি করে নেন অনেকে। আর যাতে এই রকম ঘটনা না ঘটে তার জন্যই এই রায়ের বিধান করা হয়েছে।’ভারতের সুপ্রিম কোর্ট হল ভারতেরসর্বোচ্চ বিচারবিভাগীয় অধিকরণ ও ভারতের সংবিধানের অধীনে সর্বোচ্চ আপিল আদালত এবং সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত। ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় সাংবিধানিক পর্যালোচনার অধিকারপ্রাপ্ত।ভারতের প্রধান বিচারপতি ও অপর ৩০ জন বিচারপতিকে নিয়ে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় গঠিত। এটির মৌলিক, আপিল ও উপদেষ্টা এক্তিয়ার রয়েছে।দেশের সর্বোচ্চ আপিল আদালত হিসেবে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় প্রাথমিকভাবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির উচ্চ ন্যায়ালয় ও অন্যান্য আদালত ও ট্রাইবুন্যালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করে। ভারতের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য প্রসারিত মৌলিক এক্তিয়ার সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের রয়েছে। ভারতের বিভিন্ন সরকারগুলির অভ্যন্তরীণ বিবাদ নিরসণের জন্যও এই আদালত কাজ করে। উপদেষ্টা আদালত হিসেবে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বিশেষত সংবিধানের অধীনস্থ বিষয়গুলির শুনানি গ্রহণ করে। আবার কেউ এই আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ না করলেও, এটি নিজে থেকে বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ (বা ‘সুয়ো মোটো’) করতে পারে। কলকাতায় বিচারবিভাগীয় প্রশাসন পরিচালনার জন্য প্রথম এই আদালত গঠিত হয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক ঘোষিত আইন ভারতের সকল আদালত মেনে চলতে বাধ্য।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝালকাঠিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী দিবস উপলক্ষ্যে জেএসডির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

শশুড়, শাশুড়ি থেকে আলাদা হতে চাইলে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে পারবে স্বামী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

আপডেট সময় : ১২:৫২:৪৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২ জুন ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:বাবা-মায়ের থেকে ছেলেকে আলাদা করতে চাইলে স্ত্রী’কে ডিভোর্স দিতে পারবেন হাজব্যান্ড। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের হিন্দু বিবাহ আইনে এই বিধান জারি করা হয়। বৃহস্পতিবার একটি ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জাস্টিস অনিল দাভে এবং জাস্টিস এল নাগেশ্বর বলেন, বৃদ্ধ এবং ছেলের ওপর নির্ভরশীল বাবা-মায়ের থেকে স্বামীকে নিয়ে আলাদাভাবে বসবাস করতে জোর করলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করতে পারেন স্বামী। ১৪ পাতার রায়ে বিচারপতিদ্বয় বলেন, ‘পশ্চিমা সভ্যতার সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং রাজনীতির বিস্তর ফারাক রয়েছে। সেখানকার নিয়ম এখানে চলতে পারে না। বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখা ছেলের কর্তব্য বলেই ধরা হয়। বিয়ের পর স্বামীর পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠেন স্ত্রী। যদি বিশেষ ক্ষেত্র না হয় তবে স্বামীকে অভিভাবকদের থেকে পৃথক করার জন্য মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করলে বিচ্ছেদের মামলা করতে পারেন স্বামী।’ বায়ে আরো বলা হয়, ‘অতীতে দেখা গিয়েছে স্বামীকে চাপ দিতে স্ত্রী আত্মহত্যার হুমকি বা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। যদি কোনো ক্ষেত্রে তিনি মারা যান তবে আইনি সমস্যায় জর্জরিত হতে হয় সেই ব্যক্তিকে। তার ক্যারিয়ার, পরিবার, সামাজিক সম্মান সব কিছু ছারখার হয়ে যায়। এ সব কিছুর কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত চাপের কাছে নতি করে নেন অনেকে। আর যাতে এই রকম ঘটনা না ঘটে তার জন্যই এই রায়ের বিধান করা হয়েছে।’ভারতের সুপ্রিম কোর্ট হল ভারতেরসর্বোচ্চ বিচারবিভাগীয় অধিকরণ ও ভারতের সংবিধানের অধীনে সর্বোচ্চ আপিল আদালত এবং সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত। ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় সাংবিধানিক পর্যালোচনার অধিকারপ্রাপ্ত।ভারতের প্রধান বিচারপতি ও অপর ৩০ জন বিচারপতিকে নিয়ে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় গঠিত। এটির মৌলিক, আপিল ও উপদেষ্টা এক্তিয়ার রয়েছে।দেশের সর্বোচ্চ আপিল আদালত হিসেবে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় প্রাথমিকভাবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির উচ্চ ন্যায়ালয় ও অন্যান্য আদালত ও ট্রাইবুন্যালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করে। ভারতের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য প্রসারিত মৌলিক এক্তিয়ার সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের রয়েছে। ভারতের বিভিন্ন সরকারগুলির অভ্যন্তরীণ বিবাদ নিরসণের জন্যও এই আদালত কাজ করে। উপদেষ্টা আদালত হিসেবে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বিশেষত সংবিধানের অধীনস্থ বিষয়গুলির শুনানি গ্রহণ করে। আবার কেউ এই আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ না করলেও, এটি নিজে থেকে বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ (বা ‘সুয়ো মোটো’) করতে পারে। কলকাতায় বিচারবিভাগীয় প্রশাসন পরিচালনার জন্য প্রথম এই আদালত গঠিত হয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক ঘোষিত আইন ভারতের সকল আদালত মেনে চলতে বাধ্য।