নিউজ ডেস্ক:জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ বাজারে নৌকার মিছিলে বোমা হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে একজন কর্মি গুরুত্বর আহত হয়। আহত রিংকুকে উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর হাসপাতাল নেয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় পরে তাকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। তার মাথায় ও শরীরের একাধিক স্থানে বোমার স্পিøন্টার লেগেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার হাসাদাহ বাজারে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হাজী আলী আজগার টগরের পক্ষে হাসাদাহ বাজারের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা মিছিল করছিলো। এসময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা মিছিলকে লক্ষ্য করে পরপর তিনটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে মিছিলে থাকা কাঁটাপোল গ্রামের ইন্তাজ ম-লের ছেলে যুবলীগ কর্মি রিংকু গুরুত্বর আহত হয়। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর এবং পরে যশোর সদর হাসপাতালে নেয়।এদিকে বিস্ফোরিত বোমার বিকট শব্দে এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং হাসাদাহ বাজারের ব্যবসায়ীরা সকল দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশ এবং হাসাদাহ ফাঁড়ি পুলিশের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং বিস্ফোরিত বোমার আলামত সংগ্রহ করে।জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সোহানা আহম্মেদ জানান, আহত রিংকুর অবস্থা আশঙ্কজনক। তার কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এদিকে আহত রিংকুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে নিলে তার অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করে।জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোর্তুজা জানান, হাসাদহ আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস থেকে নৌকার একটি মিছিল বের হয়ে মাদরাসার সামনে পৌঁছালে এ সময় কিছু দুর্বৃত্তরা ওই মিছিলে পরপর তিনটি বোমা হামলা করে। এতে রিংকু নামের এক যুবলীগ কর্মি গুরুত্বর আহত হয়। এ বিষয়ে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, বোমা হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। বোমা হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।