শিরোনাম :
Logo খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা Logo কয়রায় চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে পরিবারের সর্বস্ব লুট  Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মামুনুর রশীদ মোল্লাকে ফুলেল শুভেচ্ছা Logo ইকসু দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর ইকসু’ Logo মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফোটাতে কচুয়ায় উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ Logo কচুয়ার নন্দনপুরে ৩৩০ উপকারভোগীর মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ Logo পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের পানিতে বন্যার দুর্ভোগে অর্ধশত পরিবার। Logo সাতক্ষীরা পৌরসভা ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন -মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের আহ্বান Logo কচুয়ার সন্তান ইয়াসিন হোসেন ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ সার্ভেয়ার নির্বাচিত Logo হাতপাখা বিজয়ী হলে জনগনের বাজেটের  টাকা জনগণের উন্নয়নে খরচ হবে – মানসুর আহমদ সাকী

ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর পাড়ার ইজিবাইক চালক আলাউদ্দীনের পা শুকিয়ে যাচ্ছে

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১২:৩২:৫১ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর ২০১৮
  • ৭৩৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ তিন চাকার ইজিবাইক চালিয়ে ৫ সদস্যের সংসার বেশ ভাল ভাবেই চালাতো আলাউদ্দীন শেখ। ইজিবাইকের চাকা ঘুরলে ঘুরতো তার সংসারের চাকা। তা দিয়ে তিন সন্তানের পড়ালেখা করাতেন তিনি। কিন্তু দুই মাস হলো তিনি অড়ৎঃড়রষরধপ ঙপপষঁংরাব রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। তার একটি পা শুকিয়ে যাচ্ছে। অপারেশন করতে না পেরে পায়ে পচন ধরেছে। আলাউদ্দীন শেখের বাড়ি ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর পাড়ায়। তিনি ওই পাড়ার আব্দুল শেখের ছেলে। বড় ছেলে পিয়াস আহম্মেদ সবুজ প্রথম বর্ষের ছাত্র। মেয়ে সাথি খাতুন দশম শ্রেনী ও ছোট ছেলে সোহেল হাসান পড়ে পঞ্চম শ্রেনীতে। পিতার অসুস্থতা তাদের পড়ালেখায় ছন্দপতন ঘটিয়েছে। চলছে না ভাল ভাবে সংসার। অপারেশন তো দুরে থাক ভাড়া বাসায় থেকে স্ত্রী ও তিন সন্তানের খোরাক জোগানো দায় হয়ে পড়েছে তার। তবে পাড়া প্রতিবেশিদের সহায়তায় পরিবারটি এখনো টিকে আছে বলে জানান তার বড় ছেলে পিয়াস আহম্মেদ। স্ত্রী পিয়ারী বেগম জানান, দুই মাস আগে স্বামী আলাউদ্দীন শেখ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে ঝিনাইদহ ও পরে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ নারিশ চন্দ্র মন্ডল পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান আলাউদ্দীন শেখ অড়ৎঃড়রষরধপ ঙপপষঁংরাব রোগে আক্রান্ত। এই রোগ অপারেশনে ভাল হয়। ডাঃ নারিশ চন্দ্র পরবর্তী চিকিৎসার জন্য আলাউদ্দীনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাসকুলার সার্জারী বিভাগে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু টাকার অভাবে তিনি গত ১৮ অক্টোবর চিকিৎসা না নিয়েই জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট থেকে ঝিনাইদহে চলে এসেছেন। টাকা জোগাড় করতে না পারায় তার অপারেশন বন্ধ। এদিকে দিনকে দিন তার ডান পা শুকিয়ে যাচ্ছে। তার স্ত্রীর ভাষ্যমতে অপারেশনের জন্য লাগবে দুই লাখ টাকা। কিন্তু এতো টাকা তাদের নেই। দুই মাসে ঢাকায় যাতায়াত, সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করতেই পুঁজি শেষ। এখন পরিবারটির চোখেমুখে হতাশার ছাপ। প্রতিবেশি মেহেদী আল হাসান অন্তর জানান, অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই তারা আলাউদ্দীন শেখের চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করে বেড়াচ্ছেন। অসুস্থ আলাউদ্দীন জানান, তিনি সুস্থ হয়ে আবার কাজে ফিরতে চান। ঝিনাইদহ শহরে আগের মতো চালাতে চান ইজিবাইক। তিনি সমাজের দানশীল ও বিত্তবানদের কাছে তার অপারেশনের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন। আর্থিক সহায়তা পাঠানোর জন্য ০১৯৯৮-৩০৭২৮৫ এই বিকাশ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা

ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর পাড়ার ইজিবাইক চালক আলাউদ্দীনের পা শুকিয়ে যাচ্ছে

আপডেট সময় : ১২:৩২:৫১ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর ২০১৮

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ তিন চাকার ইজিবাইক চালিয়ে ৫ সদস্যের সংসার বেশ ভাল ভাবেই চালাতো আলাউদ্দীন শেখ। ইজিবাইকের চাকা ঘুরলে ঘুরতো তার সংসারের চাকা। তা দিয়ে তিন সন্তানের পড়ালেখা করাতেন তিনি। কিন্তু দুই মাস হলো তিনি অড়ৎঃড়রষরধপ ঙপপষঁংরাব রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। তার একটি পা শুকিয়ে যাচ্ছে। অপারেশন করতে না পেরে পায়ে পচন ধরেছে। আলাউদ্দীন শেখের বাড়ি ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর পাড়ায়। তিনি ওই পাড়ার আব্দুল শেখের ছেলে। বড় ছেলে পিয়াস আহম্মেদ সবুজ প্রথম বর্ষের ছাত্র। মেয়ে সাথি খাতুন দশম শ্রেনী ও ছোট ছেলে সোহেল হাসান পড়ে পঞ্চম শ্রেনীতে। পিতার অসুস্থতা তাদের পড়ালেখায় ছন্দপতন ঘটিয়েছে। চলছে না ভাল ভাবে সংসার। অপারেশন তো দুরে থাক ভাড়া বাসায় থেকে স্ত্রী ও তিন সন্তানের খোরাক জোগানো দায় হয়ে পড়েছে তার। তবে পাড়া প্রতিবেশিদের সহায়তায় পরিবারটি এখনো টিকে আছে বলে জানান তার বড় ছেলে পিয়াস আহম্মেদ। স্ত্রী পিয়ারী বেগম জানান, দুই মাস আগে স্বামী আলাউদ্দীন শেখ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে ঝিনাইদহ ও পরে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ নারিশ চন্দ্র মন্ডল পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান আলাউদ্দীন শেখ অড়ৎঃড়রষরধপ ঙপপষঁংরাব রোগে আক্রান্ত। এই রোগ অপারেশনে ভাল হয়। ডাঃ নারিশ চন্দ্র পরবর্তী চিকিৎসার জন্য আলাউদ্দীনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাসকুলার সার্জারী বিভাগে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু টাকার অভাবে তিনি গত ১৮ অক্টোবর চিকিৎসা না নিয়েই জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট থেকে ঝিনাইদহে চলে এসেছেন। টাকা জোগাড় করতে না পারায় তার অপারেশন বন্ধ। এদিকে দিনকে দিন তার ডান পা শুকিয়ে যাচ্ছে। তার স্ত্রীর ভাষ্যমতে অপারেশনের জন্য লাগবে দুই লাখ টাকা। কিন্তু এতো টাকা তাদের নেই। দুই মাসে ঢাকায় যাতায়াত, সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করতেই পুঁজি শেষ। এখন পরিবারটির চোখেমুখে হতাশার ছাপ। প্রতিবেশি মেহেদী আল হাসান অন্তর জানান, অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই তারা আলাউদ্দীন শেখের চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করে বেড়াচ্ছেন। অসুস্থ আলাউদ্দীন জানান, তিনি সুস্থ হয়ে আবার কাজে ফিরতে চান। ঝিনাইদহ শহরে আগের মতো চালাতে চান ইজিবাইক। তিনি সমাজের দানশীল ও বিত্তবানদের কাছে তার অপারেশনের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন। আর্থিক সহায়তা পাঠানোর জন্য ০১৯৯৮-৩০৭২৮৫ এই বিকাশ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।