সোমবার | ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo পলাশবাড়ীতে অফিসের হাটের বেদখল জায়গা উদ্ধারে জোর দাবি: আরইউটিডিপির বরাদ্দে আধুনিক স্থাপনা চায় পৌরবাসী Logo পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস আজ Logo টেকনাফে গহীন পাহাড় থেকে নারী ও শিশুসহ ৭ জন উদ্ধার, আটক-৩ Logo কয়রায় জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী  গণসংযোগ Logo ইবিতে প্রশাসনের কমিটি থেকে পদত্যাগ বিএনপিপন্থী ৩ শিক্ষকের Logo খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা প্রত্যাশায় কয়রায় বিএনপির দোয়া মাহফিল Logo পলাশবাড়ীতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত  Logo পলাশবাড়ীতে ছাত্রলীগ কর্মীর চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে জামায়াত নেতা আহত Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক

কোরীয় নারীকে চুমু খেয়ে বিতর্কে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট!

  • আপডেট সময় : ১২:৩৯:৫৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ জুন ২০১৮
  • ৭৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রদ্রিগো দুতের্তে। ফিলিপাইনের এ প্রেসিডেন্ট সাম্প্রতিক সময়ের একজন আলোচিত ব্যক্তি। মাদকের বিরুদ্ধে তার অ্যাকশন তাকে বিশ্বজুড়ে সমালোচিত করেছে। তবে এবার রদ্রিগো যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাতে চোখ কপালে উঠার মতো অবস্থা। অডিটোরিয়াম ভর্তি মানুষের সামনেই দক্ষিণ কোরীয় এক নারীর ঠোটে চুমু খেলেন রদ্রিগো। অার হল ভর্তি দর্শক দেখল সেই চুম্বন দৃশ্য। কিন্তু সেই চুমুর ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়াতে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক।

সরকারি সফরে আসা ফিলিপাইন প্রেসিডেন্টের এই আচরণের নিন্দা করেছেন সেখানকার বিরোধী দল থেকে শুরু করে একাধিক নারী সংগঠন।

বিরোধী নেতা রিসা জানিয়েছেন, সিওলে ফিলিপাইন প্রেসিডেন্ট যা করেছেন তাকে যৌনতার প্রদর্শন ও ক্ষমতার অপব্যবহার বলা যায়। আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছন, ‘‘ওই নারীর সম্মতিতে যদি এটা হয়ে থাকে তাহলেও সেটা অন্যায় হয়েছে। কারণ প্রেসিডেন্টই ওই নারীকে চুমু খাওয়ার ব্যাপারে অগ্রসর হন। স্টেজে তাঁর আচরণ ছিল সামন্ত রাজার মতো। ভেবেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট, যা খুশি করার অধিকার আছে।’’

ঠিক কী ঘটেছিল স্টেজে?

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে ঘটে ঘটনাটি। তিন দিনের সফরে রবিবার সিওলে পা রাখেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট। ওই দিনই রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন তিনি। সেখানে ভাষণ শেষে দুই মহিলাকে স্টেজে ডাকেন রদ্রিগো এবং একটি করে বই তাঁদের হাতে তুলে দেন। বিনিময়ে তাদের ঠোঁটে চুমু খাওয়ার আবদার করেন রদ্রিগো। ওই মহিলারা কৃতজ্ঞতা বুঝাতে প্রেসিডেন্টের হাতে চুমু খান। কিন্তু নাছোড় বান্দা প্রেসিডেন্ট তাদের ফের চুমু খেতে বলেন। তখন এক মহিলা তাঁর গালে এবং অপরজন ঠোঁটে চুমু খান।

এই ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক নারীবাদী সংগঠন ক্ষুব্ধ হয়েছে। এবং নারীদের সম্মানহানি করা হয়েছে বলে অনেকেই প্রেসিডেন্টের আচরণের নিন্দা করেছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত

কোরীয় নারীকে চুমু খেয়ে বিতর্কে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট!

আপডেট সময় : ১২:৩৯:৫৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ জুন ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

রদ্রিগো দুতের্তে। ফিলিপাইনের এ প্রেসিডেন্ট সাম্প্রতিক সময়ের একজন আলোচিত ব্যক্তি। মাদকের বিরুদ্ধে তার অ্যাকশন তাকে বিশ্বজুড়ে সমালোচিত করেছে। তবে এবার রদ্রিগো যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাতে চোখ কপালে উঠার মতো অবস্থা। অডিটোরিয়াম ভর্তি মানুষের সামনেই দক্ষিণ কোরীয় এক নারীর ঠোটে চুমু খেলেন রদ্রিগো। অার হল ভর্তি দর্শক দেখল সেই চুম্বন দৃশ্য। কিন্তু সেই চুমুর ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়াতে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক।

সরকারি সফরে আসা ফিলিপাইন প্রেসিডেন্টের এই আচরণের নিন্দা করেছেন সেখানকার বিরোধী দল থেকে শুরু করে একাধিক নারী সংগঠন।

বিরোধী নেতা রিসা জানিয়েছেন, সিওলে ফিলিপাইন প্রেসিডেন্ট যা করেছেন তাকে যৌনতার প্রদর্শন ও ক্ষমতার অপব্যবহার বলা যায়। আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছন, ‘‘ওই নারীর সম্মতিতে যদি এটা হয়ে থাকে তাহলেও সেটা অন্যায় হয়েছে। কারণ প্রেসিডেন্টই ওই নারীকে চুমু খাওয়ার ব্যাপারে অগ্রসর হন। স্টেজে তাঁর আচরণ ছিল সামন্ত রাজার মতো। ভেবেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট, যা খুশি করার অধিকার আছে।’’

ঠিক কী ঘটেছিল স্টেজে?

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে ঘটে ঘটনাটি। তিন দিনের সফরে রবিবার সিওলে পা রাখেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট। ওই দিনই রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন তিনি। সেখানে ভাষণ শেষে দুই মহিলাকে স্টেজে ডাকেন রদ্রিগো এবং একটি করে বই তাঁদের হাতে তুলে দেন। বিনিময়ে তাদের ঠোঁটে চুমু খাওয়ার আবদার করেন রদ্রিগো। ওই মহিলারা কৃতজ্ঞতা বুঝাতে প্রেসিডেন্টের হাতে চুমু খান। কিন্তু নাছোড় বান্দা প্রেসিডেন্ট তাদের ফের চুমু খেতে বলেন। তখন এক মহিলা তাঁর গালে এবং অপরজন ঠোঁটে চুমু খান।

এই ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক নারীবাদী সংগঠন ক্ষুব্ধ হয়েছে। এবং নারীদের সম্মানহানি করা হয়েছে বলে অনেকেই প্রেসিডেন্টের আচরণের নিন্দা করেছেন।