শিরোনাম :
Logo শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত Logo আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামাব না : শামীমা ইয়াছমিন Logo বোমা হামলায় পৃথিবীতে যত লোক মারা যায় তারচেয়ে বেশি বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় -পঞ্চগড়ে তারিকুল ইসলাম Logo বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে অভিনেত্রী Logo এশিয়া কাপের জন্য প্রাথমিক দল ঘোষণা বিসিবির Logo ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ ফখরের Logo নাটকীয় জয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ড্র করল ভারত Logo কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিলিং ফ্যান বিতরন Logo হাতপাখার প্রার্থী মানসুর আহমদ সাকী’র সাথে পূর্ব ফতেহপুর ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় Logo আ’লীগের আরও ১১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

কোরীয় নারীকে চুমু খেয়ে বিতর্কে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট!

  • আপডেট সময় : ১২:৩৯:৫৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ জুন ২০১৮
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রদ্রিগো দুতের্তে। ফিলিপাইনের এ প্রেসিডেন্ট সাম্প্রতিক সময়ের একজন আলোচিত ব্যক্তি। মাদকের বিরুদ্ধে তার অ্যাকশন তাকে বিশ্বজুড়ে সমালোচিত করেছে। তবে এবার রদ্রিগো যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাতে চোখ কপালে উঠার মতো অবস্থা। অডিটোরিয়াম ভর্তি মানুষের সামনেই দক্ষিণ কোরীয় এক নারীর ঠোটে চুমু খেলেন রদ্রিগো। অার হল ভর্তি দর্শক দেখল সেই চুম্বন দৃশ্য। কিন্তু সেই চুমুর ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়াতে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক।

সরকারি সফরে আসা ফিলিপাইন প্রেসিডেন্টের এই আচরণের নিন্দা করেছেন সেখানকার বিরোধী দল থেকে শুরু করে একাধিক নারী সংগঠন।

বিরোধী নেতা রিসা জানিয়েছেন, সিওলে ফিলিপাইন প্রেসিডেন্ট যা করেছেন তাকে যৌনতার প্রদর্শন ও ক্ষমতার অপব্যবহার বলা যায়। আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছন, ‘‘ওই নারীর সম্মতিতে যদি এটা হয়ে থাকে তাহলেও সেটা অন্যায় হয়েছে। কারণ প্রেসিডেন্টই ওই নারীকে চুমু খাওয়ার ব্যাপারে অগ্রসর হন। স্টেজে তাঁর আচরণ ছিল সামন্ত রাজার মতো। ভেবেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট, যা খুশি করার অধিকার আছে।’’

ঠিক কী ঘটেছিল স্টেজে?

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে ঘটে ঘটনাটি। তিন দিনের সফরে রবিবার সিওলে পা রাখেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট। ওই দিনই রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন তিনি। সেখানে ভাষণ শেষে দুই মহিলাকে স্টেজে ডাকেন রদ্রিগো এবং একটি করে বই তাঁদের হাতে তুলে দেন। বিনিময়ে তাদের ঠোঁটে চুমু খাওয়ার আবদার করেন রদ্রিগো। ওই মহিলারা কৃতজ্ঞতা বুঝাতে প্রেসিডেন্টের হাতে চুমু খান। কিন্তু নাছোড় বান্দা প্রেসিডেন্ট তাদের ফের চুমু খেতে বলেন। তখন এক মহিলা তাঁর গালে এবং অপরজন ঠোঁটে চুমু খান।

এই ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক নারীবাদী সংগঠন ক্ষুব্ধ হয়েছে। এবং নারীদের সম্মানহানি করা হয়েছে বলে অনেকেই প্রেসিডেন্টের আচরণের নিন্দা করেছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত

কোরীয় নারীকে চুমু খেয়ে বিতর্কে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট!

আপডেট সময় : ১২:৩৯:৫৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ জুন ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

রদ্রিগো দুতের্তে। ফিলিপাইনের এ প্রেসিডেন্ট সাম্প্রতিক সময়ের একজন আলোচিত ব্যক্তি। মাদকের বিরুদ্ধে তার অ্যাকশন তাকে বিশ্বজুড়ে সমালোচিত করেছে। তবে এবার রদ্রিগো যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাতে চোখ কপালে উঠার মতো অবস্থা। অডিটোরিয়াম ভর্তি মানুষের সামনেই দক্ষিণ কোরীয় এক নারীর ঠোটে চুমু খেলেন রদ্রিগো। অার হল ভর্তি দর্শক দেখল সেই চুম্বন দৃশ্য। কিন্তু সেই চুমুর ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়াতে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক।

সরকারি সফরে আসা ফিলিপাইন প্রেসিডেন্টের এই আচরণের নিন্দা করেছেন সেখানকার বিরোধী দল থেকে শুরু করে একাধিক নারী সংগঠন।

বিরোধী নেতা রিসা জানিয়েছেন, সিওলে ফিলিপাইন প্রেসিডেন্ট যা করেছেন তাকে যৌনতার প্রদর্শন ও ক্ষমতার অপব্যবহার বলা যায়। আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছন, ‘‘ওই নারীর সম্মতিতে যদি এটা হয়ে থাকে তাহলেও সেটা অন্যায় হয়েছে। কারণ প্রেসিডেন্টই ওই নারীকে চুমু খাওয়ার ব্যাপারে অগ্রসর হন। স্টেজে তাঁর আচরণ ছিল সামন্ত রাজার মতো। ভেবেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট, যা খুশি করার অধিকার আছে।’’

ঠিক কী ঘটেছিল স্টেজে?

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে ঘটে ঘটনাটি। তিন দিনের সফরে রবিবার সিওলে পা রাখেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট। ওই দিনই রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন তিনি। সেখানে ভাষণ শেষে দুই মহিলাকে স্টেজে ডাকেন রদ্রিগো এবং একটি করে বই তাঁদের হাতে তুলে দেন। বিনিময়ে তাদের ঠোঁটে চুমু খাওয়ার আবদার করেন রদ্রিগো। ওই মহিলারা কৃতজ্ঞতা বুঝাতে প্রেসিডেন্টের হাতে চুমু খান। কিন্তু নাছোড় বান্দা প্রেসিডেন্ট তাদের ফের চুমু খেতে বলেন। তখন এক মহিলা তাঁর গালে এবং অপরজন ঠোঁটে চুমু খান।

এই ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক নারীবাদী সংগঠন ক্ষুব্ধ হয়েছে। এবং নারীদের সম্মানহানি করা হয়েছে বলে অনেকেই প্রেসিডেন্টের আচরণের নিন্দা করেছেন।