বুধবার | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মিথাইল ও বিষাক্ত স্পিরিট অপব্যবহার রোধে চাঁদপুরে সচেতনতামূলক সভা Logo সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo দেবহাটায় সাসের সমৃদ্ধি কর্মসূচির উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত Logo নানা আয়োজনে দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র তুললেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন Logo দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বসবাস করা বসতবাড়ি ভোগদখল জমিজমা নিমিষেই বেদখল Logo আন্তর্জাতিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ‘এডুরম’ উদ্বোধন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে Logo পলাশবাড়ীতে বিএনপির আনন্দ মিছিল Logo মাদকবিরোধী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে” — অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ এরশাদ উদ্দিন Logo খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলি: সাতক্ষীরা সীমান্ত সিল, বিজিবির ৫৭ চেকপোস্ট ও ৮৭টি অতিরিক্ত টহল

রোহিঙ্গা সংকট মানবাধিকার পরিস্থিতিকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে : ইইউ

  • আপডেট সময় : ১০:৫২:০০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, মানবাধিকার রক্ষায় একটি সার্বজনীন ঘোষণায় স্বাক্ষরের ৭০ বছর পর এসে রোহিঙ্গা সংকট মানবাধিকার পরিস্থিতিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ইইউ শনিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণায় স্বাক্ষরের প্রায় ৭০ বছর পর মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সাম্প্রতিক ঘটনা বিশ্বকে পুনরায় মানবাধিকার লংঘনের ঘটনাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, মানবাধিকার এখনো ঝুঁকিপূর্ণ রয়ে গেছে। ইইউ বলেছে, রোহিঙ্গা সংকট পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, বিশ্বে সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত কারণে মানবাধিকারের ঘটনা ঘটছে। তবে ইইউ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করে বলেছে, রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়েছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছে।
ইইউ বলেছে, আমরা বাংলাদেশের কাছে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা আশা করছি। একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক মানের একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন ভূমিকা রাখবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সকল ধরনের মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নের জন্য মানবাধিকার রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিবৃতিতে জাতিসংঘ কনভেনশনে মানবাধিকারের নীতিতে ২০০১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের স্বাক্ষরিত সহযোগিতা চুক্তিরও উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মানবাধিকার ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার দিবস উদযাপনের একদিন আগে এই বিবৃতি দেয়া হয়।
১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এই সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাটি গৃহীত হয়। বিশ্বের সকল দেশ এটি গ্রহণ করেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মিথাইল ও বিষাক্ত স্পিরিট অপব্যবহার রোধে চাঁদপুরে সচেতনতামূলক সভা

রোহিঙ্গা সংকট মানবাধিকার পরিস্থিতিকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে : ইইউ

আপডেট সময় : ১০:৫২:০০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, মানবাধিকার রক্ষায় একটি সার্বজনীন ঘোষণায় স্বাক্ষরের ৭০ বছর পর এসে রোহিঙ্গা সংকট মানবাধিকার পরিস্থিতিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ইইউ শনিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণায় স্বাক্ষরের প্রায় ৭০ বছর পর মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সাম্প্রতিক ঘটনা বিশ্বকে পুনরায় মানবাধিকার লংঘনের ঘটনাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, মানবাধিকার এখনো ঝুঁকিপূর্ণ রয়ে গেছে। ইইউ বলেছে, রোহিঙ্গা সংকট পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, বিশ্বে সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত কারণে মানবাধিকারের ঘটনা ঘটছে। তবে ইইউ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করে বলেছে, রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়েছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছে।
ইইউ বলেছে, আমরা বাংলাদেশের কাছে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা আশা করছি। একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক মানের একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন ভূমিকা রাখবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সকল ধরনের মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নের জন্য মানবাধিকার রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিবৃতিতে জাতিসংঘ কনভেনশনে মানবাধিকারের নীতিতে ২০০১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের স্বাক্ষরিত সহযোগিতা চুক্তিরও উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মানবাধিকার ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার দিবস উদযাপনের একদিন আগে এই বিবৃতি দেয়া হয়।
১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এই সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাটি গৃহীত হয়। বিশ্বের সকল দেশ এটি গ্রহণ করেছে।