শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

৩০-এর পরেও সিঙ্গেল থাকলে বিপদ!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:৫৬:৪৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

একদল বিজ্ঞানী বলছে, বেশি দিন সিঙ্গেল থাকলে নাকি স্মৃতিলোপ পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। শুধু তাই নয়, ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও নাকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কিন্তু সিঙ্গেল থাকার সঙ্গে স্মৃতি লোপের কনেকশনটা কোথায়? কয়েকজন ব্রিটিশ গবেষক সারা বিশ্বের প্রায় ৮ লাখ মানুষের উপর দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা চালিয়ে একটা বিষয় লক্ষ করেছেন যে ভালবাসার মানুষটির সঙ্গে থাকলে শরীর এবং মন এতটাই চাঙ্গা থাকে যে কোনও রোগই ধারের কাছে ঘেঁষতে পারে না।

কিন্তু সমস্যা শুরু হয় যখন কেউ দীর্ঘদিন একা থাকে। এমনটা হলে ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। কারণ একাকিত্ব এক ধরনের বিষ, যা ধীরে ধীরে শরীর এবং মস্তিষ্ককে ভেঙেচুরে দেয়। ফলে নানা মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই স্মৃতির ভান্ডারকে সুরক্ষিত রাখতে চটজলদি বিয়ে করে নিতে ভুলবেন না কিন্তু!মূলত যে যে খাবারগুলি নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি মারাত্মক বৃদ্ধি পায়, সেগুলি হল…

১. অ্যাভোকাডো:
এই ফলটিতে উপস্থিত ভিটামিন কে এবং ফলেট মস্তিষ্কের অন্দরে ব্লাড ক্লট হওয়ার আশঙ্কা কমায়। সেই সঙ্গে কগনিটিভ ফাংশানেরও উন্নতি ঘটায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। বরং নিয়মিত অ্যাভোকাডো খেলে মেমরি বাড়তে শুরু করে।
প্রসঙ্গত, অ্যাভোকাডোর অন্দরে সি এবং বি ভিটামিনেরও সন্ধান পাওয়া যায়। এই দুটি ভিটামিনও ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২. বিট:
বয়স যদি ৩০ পেরিয়ে গিয়ে থাকে এবং এখনও যদি বিয়ের সানাই না বেজে থাকে, তাহলে রক্তিম এই সবজিটি খাওয়া শুরু করতেই হবে। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বিটের অন্দের থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের অন্দরে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে একদিকে যেমন ক্যান্সার রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না, তেমনি মস্তিষ্কে রক্তের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্রেন পাওয়ার বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে বাড়ে স্মৃতিশক্তিও।

৩. জাম:
স্মৃতিশক্তি কমে যাক, এমনটা যদি না চান, তাহলে নিয়মিত এক মুঠো করে জাম খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। কারণ এই ফলটির অন্দের থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং ফাইবার এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, জামে থাকা গ্যালিক অ্যাসিড, ব্রেনকে স্ট্রেস এবং ডিজেনারেশনের হাত থেকে বাঁচায়। ফলে সিঙ্গেল থাকলেও ডিমেনশিয়ার মতো রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

৪. ব্রকলি:
ক্রসিফেরাস পরিবারের এই সবজিটি স্মৃতিশক্তিকে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো যাদের পরিবারে ডিমেনশিয়া রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের বেশি করে এই সবজিটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আসলে ব্রকলির মধ্যে থাকা ভিটামিন কে এবং কোলিন এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, ব্রকলি যে পরিবারের সদস্য, বাঁধাকোপি এবং ফুলকোপিও সেই একই পরিবারের অংশ। তাই ব্রকলি খেতে ইচ্ছা না করলে বাঁধাকোপি বা ফুলকোপিও খেতে পারেন।

৫. নারকেল তেল:
শুনতে একটু আজব লাগলেও একথা ঠিক যে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে নারকেল তেল বাস্তবিকই সাহায্য করে থাকে। আসলে এই তেলটির অন্দরে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি প্রপাটিজ মস্তিষ্কের ভিতরে প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কা কমায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতিশক্তির কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে।

৬. ডার্ক চকোলেট:
একটু তেঁতো খেতে, বিশেষ ধরনের এই চকলেটটিতে ফ্লেবোনয়েড নামক একটি উপাদান থাকে, যা মেমরি লসের আশঙ্কা একেবারে কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের অন্দরে প্রদাহ কমিয়ে অন্যান্য ব্রেন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়। তাই সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে যদি দীর্ঘদিন কর্মক্ষম রাখতে চান, তাহলে নিয়মিত অল্প করে ডার্ক চকোলেট খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন বিয়ে না করলেও কোনও চিন্তা থাকবে না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট

৩০-এর পরেও সিঙ্গেল থাকলে বিপদ!

আপডেট সময় : ০২:৫৬:৪৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

একদল বিজ্ঞানী বলছে, বেশি দিন সিঙ্গেল থাকলে নাকি স্মৃতিলোপ পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। শুধু তাই নয়, ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও নাকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কিন্তু সিঙ্গেল থাকার সঙ্গে স্মৃতি লোপের কনেকশনটা কোথায়? কয়েকজন ব্রিটিশ গবেষক সারা বিশ্বের প্রায় ৮ লাখ মানুষের উপর দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা চালিয়ে একটা বিষয় লক্ষ করেছেন যে ভালবাসার মানুষটির সঙ্গে থাকলে শরীর এবং মন এতটাই চাঙ্গা থাকে যে কোনও রোগই ধারের কাছে ঘেঁষতে পারে না।

কিন্তু সমস্যা শুরু হয় যখন কেউ দীর্ঘদিন একা থাকে। এমনটা হলে ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। কারণ একাকিত্ব এক ধরনের বিষ, যা ধীরে ধীরে শরীর এবং মস্তিষ্ককে ভেঙেচুরে দেয়। ফলে নানা মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই স্মৃতির ভান্ডারকে সুরক্ষিত রাখতে চটজলদি বিয়ে করে নিতে ভুলবেন না কিন্তু!মূলত যে যে খাবারগুলি নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি মারাত্মক বৃদ্ধি পায়, সেগুলি হল…

১. অ্যাভোকাডো:
এই ফলটিতে উপস্থিত ভিটামিন কে এবং ফলেট মস্তিষ্কের অন্দরে ব্লাড ক্লট হওয়ার আশঙ্কা কমায়। সেই সঙ্গে কগনিটিভ ফাংশানেরও উন্নতি ঘটায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। বরং নিয়মিত অ্যাভোকাডো খেলে মেমরি বাড়তে শুরু করে।
প্রসঙ্গত, অ্যাভোকাডোর অন্দরে সি এবং বি ভিটামিনেরও সন্ধান পাওয়া যায়। এই দুটি ভিটামিনও ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২. বিট:
বয়স যদি ৩০ পেরিয়ে গিয়ে থাকে এবং এখনও যদি বিয়ের সানাই না বেজে থাকে, তাহলে রক্তিম এই সবজিটি খাওয়া শুরু করতেই হবে। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বিটের অন্দের থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের অন্দরে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে একদিকে যেমন ক্যান্সার রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না, তেমনি মস্তিষ্কে রক্তের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্রেন পাওয়ার বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে বাড়ে স্মৃতিশক্তিও।

৩. জাম:
স্মৃতিশক্তি কমে যাক, এমনটা যদি না চান, তাহলে নিয়মিত এক মুঠো করে জাম খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। কারণ এই ফলটির অন্দের থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং ফাইবার এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, জামে থাকা গ্যালিক অ্যাসিড, ব্রেনকে স্ট্রেস এবং ডিজেনারেশনের হাত থেকে বাঁচায়। ফলে সিঙ্গেল থাকলেও ডিমেনশিয়ার মতো রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

৪. ব্রকলি:
ক্রসিফেরাস পরিবারের এই সবজিটি স্মৃতিশক্তিকে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো যাদের পরিবারে ডিমেনশিয়া রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের বেশি করে এই সবজিটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আসলে ব্রকলির মধ্যে থাকা ভিটামিন কে এবং কোলিন এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, ব্রকলি যে পরিবারের সদস্য, বাঁধাকোপি এবং ফুলকোপিও সেই একই পরিবারের অংশ। তাই ব্রকলি খেতে ইচ্ছা না করলে বাঁধাকোপি বা ফুলকোপিও খেতে পারেন।

৫. নারকেল তেল:
শুনতে একটু আজব লাগলেও একথা ঠিক যে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে নারকেল তেল বাস্তবিকই সাহায্য করে থাকে। আসলে এই তেলটির অন্দরে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি প্রপাটিজ মস্তিষ্কের ভিতরে প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কা কমায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতিশক্তির কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে।

৬. ডার্ক চকোলেট:
একটু তেঁতো খেতে, বিশেষ ধরনের এই চকলেটটিতে ফ্লেবোনয়েড নামক একটি উপাদান থাকে, যা মেমরি লসের আশঙ্কা একেবারে কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের অন্দরে প্রদাহ কমিয়ে অন্যান্য ব্রেন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়। তাই সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে যদি দীর্ঘদিন কর্মক্ষম রাখতে চান, তাহলে নিয়মিত অল্প করে ডার্ক চকোলেট খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন বিয়ে না করলেও কোনও চিন্তা থাকবে না।