নিউজ ডেস্ক:
বলিউডে শুধুমাত্র মহিলা নন, পুরুষরাও একই রকমের যৌন হয়রানির শিকার। এমন বহু পুরুষ সহ-অভিনেতাকে কাছ থেকে শোষিত হতে দেখেছেন, নিজে মুখে সে কথাই জানালেন অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে।
সম্প্রতি হলিউডে হার্ভে ওয়েস্টেইন এবং তার যৌন লালসার শিকার হওয়া একাধিক অভিনেত্রী এবং সহযোগী মুখ খুলেছেন। সেই থেকেই বিনোদন দুনিয়ায় যৌন হয়রানির বিষয়টি চর্চার শিরোনামে। স্বাভাবিকভাবেই সেই ঢেউ আছড়ে পড়েছে শহরের অলিগলিতেও।
স্বারা ভাস্করের মত নবাগতা থেকে বিদ্যা বালান, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো সিনিয়র অভিনেত্রীরাও ইন্ডাস্ট্রিতে কাস্টিং কাউচের অস্তিত্ব নিয়ে মুখ খুলেন।
এদিকে, হার্ভে ওয়েনস্টেইের পর অন্য দুনিয়ার প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্বরাও এসে পড়েছেন স্পটলাইটের তলায়, তাদের বিভিন্ন সহকর্মী ও সহযোগীদের যৌন হয়রানির করার জন্য। সেই তালিকায় নাম শোনা গেছে কেভিন স্পেসি, জেমন টোব্যাক, ব্রেট র্যাটনারের মতো একাধিক মানুষের।
তবে এতদিন মহিলারা কীভাবে বিনোদন দুনিয়ায় শোষিত হয়েছেন, সে কথা শোনা গেছে বিভিন্ন সূত্রে। এবার পুরুষরাও যে শোষিত হন একইভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে, সে নিয়ে সরব হলেন এক অভিনেত্রীই। তিনি হলেন, রাধিকা আপ্তে।
তার কথায়, তিনি সামনে থেকে বহু সহ-অভিনেতাকে কাজের জন্য কম্প্রোমাইজ করতে দেখেছেন। যদিও বলিউডে প্রথম এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন ইরফান খান। নিজের স্ট্রাগলিং পিরিয়ডে কীভাবে শোষিত হয়েছেন ইরফান সে কথা তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন। তবে রাধিকা মনে করেন, শুধু মুখ খুলে কোনও লাভ হবে না, সেই অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে, সুবিচার দেওয়াটাই হচ্ছে আসল।
রাধিকা মনে করেন, যৌন হয়রানি এবং কম্প্রোমাইজ না করলে কাজ খোয়ানোর ভয়ে বহু অভিনেতাই চুপ থাকতে স্বচ্ছন্দ বোধ করনে। সেখানেই বদল আসা দরকার। এমন কোনও প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন, যেখানে একজন শিল্পী নিশ্চিন্তে নিজের সমস্যাটা ব্যক্ত করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, যে সমস্ত মানুষরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্যকে শোষণ করেন, তাদের মুখোশ অবশ্যই খুলে দেওয়া দরকার। রাধিকা মনে করেন, সকলকে এই জায়গাটাকে একটা কর্মক্ষেত্র হিসেবেই দেখা উচিত। কারণ, সেক্ষেত্রে সমস্ত ওয়ার্কপ্লেসে যে নিয়ম থাকে, সেগুলো সকলেই মেনে চলতে হবে। না মেনে চললে শাস্তি প্রয়োজন। তাই রাধিকার কথায় প্রত্যেককে প্রতিবাদী হতে হবে, সঠিক পথে হেঁটে কাজ করতে হবে, প্রতিভা থাকলে সাফল্য আসবেই, এটা বিশ্বাস করতে হবে। সঠিক সময় সঠিক জিনিসই হবে একজন সৎ মানুষের সঙ্গে, মত রাধিকার।