শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

পর্যটক আকর্ষণে শীর্ষে ব্যাংকক !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৫:৫০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০১৭
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

১৯.৪১ মিলিয়ন পর্যটকের পদচারণায় গেল বছর মুখরিত ছিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক। আর তাই মাস্টারকার্ড ডেস্টিনেশন সিটিজ ইনডেক্স ২০১৭-তে এ তথ্য মতে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আকর্ষণ করার তকমাটি পেয়েছে ব্যাংকক।

২০১৬ সালে ব্যাংককে পর্যটক এসেছে ১৯.৪১ মিলিয়ন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডন। ইউরোপের এ শহরে পর্যটক যায় ১৯.০৬ মিলিয়ন। তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্যারিসে পর্যটক যায় ১৪.৮৭ মিলিয়ন। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র দুবাই এ তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এ শহরটিতে মাথাপিছু হিসেবে পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে।

মরুভূমিতে গড়ে ওঠা মধ্যপ্রাচ্যের এ শহরটি প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক পর্যটক আকর্ষণ করে অসাধারণ মিউজিয়ামসহ মানুষের তৈরি সবচেয়ে উঁচু ভবনের কারণে। দুবাইতেই রয়েছে বিশ্বের সুউচ্চ ভবন বুর্জ আল খলিফা। এ ছাড়া শপিংয়ের শহর হিসেবেও দুবাইর খ্যাতি রয়েছে।

২০১৬ সালে দুবাইতে পর্যটকরা ব্যয় করে ২৮.৫ বিলিয়ন ডলার। আশা করা হচ্ছে এ বছর এ অঙ্ক আরো ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
মাস্টারকার্ডের ওই সূচকে দেখা যায়, পর্যটক গমনে গত বছর পঞ্চম অবস্থানে ছিল এশিয়ার সিঙ্গাপুর, ষষ্ঠ যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক, সপ্তম দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল, অষ্টম মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর, নবম জাপানের টোকিও এবং দশম স্থানে রয়েছে ব্যাংককের ইস্তাম্বুল।

সম্প্রতি বিশ্ব পর্যটন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে জতিসংঘের পর্যটন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন (ডাব্লিউটিও)। এতে বলা হয়, ২০১৬ সালে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক পর্যটক আগমন ৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১.২ বিলিয়ন। সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করেছে এশীয়রা। তবে ইউরোপে পর্যটক আগমনে প্রভাব ফেলেছে নিরাপত্তা সংকট।

গত বছর পর্যটক আগমন বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে ২০১০ সাল থেকে টানা সাত বছর বিশ্বে পর্যটক আগমনে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০০৯ সালে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে পর্যটক আগমন ৪ শতাংশ কমেছিল। মাদ্রিদভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে এশীয়দের নিজ অঞ্চল ও বিশ্ব ভ্রমণ বেড়েছে ৮ শতাংশ। এর মধ্য দিয়ে ইউরোপের পর দ্বিতীয় বৃহৎ পর্যটন গন্তব্য হয়ে উঠেছে এশিয়া। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে ইউরোপে পর্যটক গমনে প্রবৃদ্ধি কমেছে।

ডাব্লিউটিও’র মতে, বিশ্ব জিডিপির ১০ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে, যা বিশ্ব বাণিজ্যের ৭ শতাংশ এবং সেবা রপ্তানির ৩০ শতাংশ। বিশ্বে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হিসাবে প্রতি ১১ কর্মসংস্থানের ১টি আসে পর্যটন থেকে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট

পর্যটক আকর্ষণে শীর্ষে ব্যাংকক !

আপডেট সময় : ০৬:৩৫:৫০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

১৯.৪১ মিলিয়ন পর্যটকের পদচারণায় গেল বছর মুখরিত ছিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক। আর তাই মাস্টারকার্ড ডেস্টিনেশন সিটিজ ইনডেক্স ২০১৭-তে এ তথ্য মতে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আকর্ষণ করার তকমাটি পেয়েছে ব্যাংকক।

২০১৬ সালে ব্যাংককে পর্যটক এসেছে ১৯.৪১ মিলিয়ন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডন। ইউরোপের এ শহরে পর্যটক যায় ১৯.০৬ মিলিয়ন। তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্যারিসে পর্যটক যায় ১৪.৮৭ মিলিয়ন। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র দুবাই এ তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এ শহরটিতে মাথাপিছু হিসেবে পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে।

মরুভূমিতে গড়ে ওঠা মধ্যপ্রাচ্যের এ শহরটি প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক পর্যটক আকর্ষণ করে অসাধারণ মিউজিয়ামসহ মানুষের তৈরি সবচেয়ে উঁচু ভবনের কারণে। দুবাইতেই রয়েছে বিশ্বের সুউচ্চ ভবন বুর্জ আল খলিফা। এ ছাড়া শপিংয়ের শহর হিসেবেও দুবাইর খ্যাতি রয়েছে।

২০১৬ সালে দুবাইতে পর্যটকরা ব্যয় করে ২৮.৫ বিলিয়ন ডলার। আশা করা হচ্ছে এ বছর এ অঙ্ক আরো ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
মাস্টারকার্ডের ওই সূচকে দেখা যায়, পর্যটক গমনে গত বছর পঞ্চম অবস্থানে ছিল এশিয়ার সিঙ্গাপুর, ষষ্ঠ যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক, সপ্তম দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল, অষ্টম মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর, নবম জাপানের টোকিও এবং দশম স্থানে রয়েছে ব্যাংককের ইস্তাম্বুল।

সম্প্রতি বিশ্ব পর্যটন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে জতিসংঘের পর্যটন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন (ডাব্লিউটিও)। এতে বলা হয়, ২০১৬ সালে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক পর্যটক আগমন ৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১.২ বিলিয়ন। সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করেছে এশীয়রা। তবে ইউরোপে পর্যটক আগমনে প্রভাব ফেলেছে নিরাপত্তা সংকট।

গত বছর পর্যটক আগমন বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে ২০১০ সাল থেকে টানা সাত বছর বিশ্বে পর্যটক আগমনে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০০৯ সালে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে পর্যটক আগমন ৪ শতাংশ কমেছিল। মাদ্রিদভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে এশীয়দের নিজ অঞ্চল ও বিশ্ব ভ্রমণ বেড়েছে ৮ শতাংশ। এর মধ্য দিয়ে ইউরোপের পর দ্বিতীয় বৃহৎ পর্যটন গন্তব্য হয়ে উঠেছে এশিয়া। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে ইউরোপে পর্যটক গমনে প্রবৃদ্ধি কমেছে।

ডাব্লিউটিও’র মতে, বিশ্ব জিডিপির ১০ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে, যা বিশ্ব বাণিজ্যের ৭ শতাংশ এবং সেবা রপ্তানির ৩০ শতাংশ। বিশ্বে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হিসাবে প্রতি ১১ কর্মসংস্থানের ১টি আসে পর্যটন থেকে।