শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

নিউইয়র্কে হত্যা মামলায় বাংলাদেশী যুবকের ২৫ বছরের কারাদণ্ড !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:১৬:১৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৮৪৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন মাহমুদ দুলালকে (৫৭) গলা কেটে হত্যা মামলায় আরেক বাংলাদেশী যুবক মোহাম্মদ রাসেল সিদ্দিকীকে (৩০) ২৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে নিউইয়র্কের আদালত।

গত বৃহস্পতিবার ব্রুকলীন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নীল ফিরেটোগ এ রায় প্রদানের সময় রাসেল ছিলেন ভাবলেশহীন।
উল্লেখ্য, গ্রেফতারের পর থেকে বিচারের শেষ দিন পর্যন্ত রাসেল নিজের দোষ স্বীকার করেন। এমন নৃশংসতায় দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি জড়িত নন বলেও উল্লেখ করেন।

২০১৪ সালের ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাংলাদেশী অধ্যুষিত ব্রুকলীনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডে ধারালো তরোয়াল দিয়ে দুলালকে জবাই করা হয়। নিহত দুলালের ভাড়াটে ছিলেন রাসেল। রাসেলের বাড়ি নোয়াখালী। তিনি দুলালের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বেসমেন্টে থাকতেন। সেখানেই দুলালকে হত্যা করে রাসেল বাংলাদেশে পলায়নের চেষ্টা করেন। কিন্তু নিউইয়র্কের পুলিশ সে চেষ্টা ব্যর্থ করে ৮ জানুয়ারি ( হত্যার দুদিন পর) তাকে জেএফকে এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেফতার করেছিল। গ্রেফতারের পর জামিন পাননি রাসেল।

রায়ের পর ব্রুকলীনের ডিস্ট্রিক্ট এটর্নী (ভারপ্রাপ্ত) এরিক গঞ্জালেজ গগণমাধ্যমকে জানান, রাসেল কান্ডজ্ঞানহীন কাজ করেছেন। ৩ সন্তানের জনক দুলালকে হত্যা করে যে অপরাধ করেছেন তার প্রায়শ্চিত্য তাকে করতে হবে। কারাদন্ডের মেয়াদ শেষে রাসেলকে আরো ৫ বছর কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারিতে অতিবাহিত করতে হবে।

মামলার রায়ের সময় দুলালের শিশু সন্তানসহ দ্বিতীয় স্ত্রী আফরোজা বেগম কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও স্বামীকে যে আর ফিরে পাবেন না, এটি উচ্চারণ করেন কাঁদতে থাকেন। এ সময় পরিচিতজনেরা তাকে স্বান্তনা দেন।

ব্যাচেলর ভাড়াটে কর্তৃক এমন নির্দয়ভাবে বাড়ির মালিককে হত্যার ঘটনায় কম্যুনিটিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল। হত্যার মোটিভ নিয়ে সে সময় নানা কথা রটলেও রাসেল বরাবরই একই কথা জানিয়েছেন মাননীয় আদালতকে যে, ‘সময় মতো ভাড়া পরিশোধ করতে পারিনি বলে সব সময় দুলাল আমাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতেন, এটি সহ্য হয়নি। সেজন্যেই তাকে আমি হত্যা করেছি।

এটি একজন মানুষকে হত্যার একমাত্র কারণ হতে পারে না ভেবে মাননীয় আদালত রাসেলকে বেশ কয়েক মাস মানসিক অবজার্ভেশনে রেখেছিলেন। চিকিৎসাও দেয়া হয়। কিন্তু রাসেলের কথাও কোন হেরফের ঘটেনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

নিউইয়র্কে হত্যা মামলায় বাংলাদেশী যুবকের ২৫ বছরের কারাদণ্ড !

আপডেট সময় : ০১:১৬:১৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন মাহমুদ দুলালকে (৫৭) গলা কেটে হত্যা মামলায় আরেক বাংলাদেশী যুবক মোহাম্মদ রাসেল সিদ্দিকীকে (৩০) ২৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে নিউইয়র্কের আদালত।

গত বৃহস্পতিবার ব্রুকলীন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নীল ফিরেটোগ এ রায় প্রদানের সময় রাসেল ছিলেন ভাবলেশহীন।
উল্লেখ্য, গ্রেফতারের পর থেকে বিচারের শেষ দিন পর্যন্ত রাসেল নিজের দোষ স্বীকার করেন। এমন নৃশংসতায় দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি জড়িত নন বলেও উল্লেখ করেন।

২০১৪ সালের ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাংলাদেশী অধ্যুষিত ব্রুকলীনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডে ধারালো তরোয়াল দিয়ে দুলালকে জবাই করা হয়। নিহত দুলালের ভাড়াটে ছিলেন রাসেল। রাসেলের বাড়ি নোয়াখালী। তিনি দুলালের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বেসমেন্টে থাকতেন। সেখানেই দুলালকে হত্যা করে রাসেল বাংলাদেশে পলায়নের চেষ্টা করেন। কিন্তু নিউইয়র্কের পুলিশ সে চেষ্টা ব্যর্থ করে ৮ জানুয়ারি ( হত্যার দুদিন পর) তাকে জেএফকে এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেফতার করেছিল। গ্রেফতারের পর জামিন পাননি রাসেল।

রায়ের পর ব্রুকলীনের ডিস্ট্রিক্ট এটর্নী (ভারপ্রাপ্ত) এরিক গঞ্জালেজ গগণমাধ্যমকে জানান, রাসেল কান্ডজ্ঞানহীন কাজ করেছেন। ৩ সন্তানের জনক দুলালকে হত্যা করে যে অপরাধ করেছেন তার প্রায়শ্চিত্য তাকে করতে হবে। কারাদন্ডের মেয়াদ শেষে রাসেলকে আরো ৫ বছর কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারিতে অতিবাহিত করতে হবে।

মামলার রায়ের সময় দুলালের শিশু সন্তানসহ দ্বিতীয় স্ত্রী আফরোজা বেগম কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও স্বামীকে যে আর ফিরে পাবেন না, এটি উচ্চারণ করেন কাঁদতে থাকেন। এ সময় পরিচিতজনেরা তাকে স্বান্তনা দেন।

ব্যাচেলর ভাড়াটে কর্তৃক এমন নির্দয়ভাবে বাড়ির মালিককে হত্যার ঘটনায় কম্যুনিটিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল। হত্যার মোটিভ নিয়ে সে সময় নানা কথা রটলেও রাসেল বরাবরই একই কথা জানিয়েছেন মাননীয় আদালতকে যে, ‘সময় মতো ভাড়া পরিশোধ করতে পারিনি বলে সব সময় দুলাল আমাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতেন, এটি সহ্য হয়নি। সেজন্যেই তাকে আমি হত্যা করেছি।

এটি একজন মানুষকে হত্যার একমাত্র কারণ হতে পারে না ভেবে মাননীয় আদালত রাসেলকে বেশ কয়েক মাস মানসিক অবজার্ভেশনে রেখেছিলেন। চিকিৎসাও দেয়া হয়। কিন্তু রাসেলের কথাও কোন হেরফের ঘটেনি।