শিরোনাম :
Logo জুলাই সনদে এনসিপির পরেও অংশগ্রহণের সুযোগ আছে : ধর্ম উপদেষ্টা Logo নারী টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন নাভগির Logo দক্ষিণ কোরিয়ায় এপেক সম্মেলনে ট্রাম্প-শি বৈঠক হবে Logo তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রচিন্তার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে : মনিরুল হক চৌধুরী Logo মুন্সিগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীরের সঙ্গে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo প্রতিবন্ধী ধর্ষণ মামলার এক পলাতক আসামী গ্রেফতার Logo একদিনের সফরে কাল চাঁদপুর আসছেন মুফতি ফয়জুল করীম! Logo ধর্ষণের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ ! Logo খুবির গণিত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন উদ্বোধন! Logo বুটেক্সে ‘অরণ্যের সুর – ফোক ফেস্ট ২.০’ অনুষ্ঠিত

মালয়েশিয়া থেকে ফিরলেন আড়াই লাখ অবৈধ অভিবাসী

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ১১:৪০:০৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • ৮২৯ বার পড়া হয়েছে
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের কাছে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে প্রত্যাবাসন কর্মসূচির মাধ্যমে নিজ নিজ দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশিসহ ২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩২ জন অবৈধ অভিবাসী। এদের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক অভিবাসী রয়েছেন যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার এবং পাকিস্তানের। তবে এর মধ্যে কতজন বাংলাদেশি, তা জানা যায়নি।

সোমবার (১০ মার্চ) দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় নিজ দেশে ফিরতে ১১৫টি দেশের অবৈধ অভিবাসী নাম নিবন্ধন করেছেন। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেকর্ড অনুযায়ী, দেশটিতে সক্রিয় বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ২৩ লাখ।

এর আগে, দেশটির সরকার অবৈধ প্রবেশ এবং বৈধ অনুমতি ছাড়া অতিরিক্ত সময় অবস্থানের অপরাধে ৫০০ রিঙ্গিত এবং পাস শর্ত লঙ্ঘনের জন্য ৩০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে নিজ দেশে ফেরার সুযোগ দেয়।

এদিকে, এই কর্মসূচি চলাকালীনও মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বৈধ পাস বা পারমিট ছাড়া কাজ করা এবং বৈধ কাজের ভিসা নেই, এমন বিদেশিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে দেশটির অভিবাসন পুলিশ।

এই অভিযানের ফলে দেশটিতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন।

জানা গেছে, যারা এই কর্মসূচির আওতায় দেশে ফিরছেন তাদের বেশিরভাগই কাগজপত্রবিহীন বা কর্মহীন। এদের মধ্যে আবার অনেকেই সম্প্রতি কলিং ভিসায় এসে প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না পাওয়ায় নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন। এদেরকে অনেক নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান ফ্রি ভিসার নামে কলিং ভিসায় দেশটিতে নিয়ে এসেছেন।

জাকারিয়া আরও বলেন, ১৯৫৯/৬৩ সালের অভিবাসন আইন, ১৯৬৬ সালের পাসপোর্ট আইন এবং ১৯৬৩ সালের অভিবাসন বিধিমালা অনুযায়ী মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারী যেকোনো বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদে এনসিপির পরেও অংশগ্রহণের সুযোগ আছে : ধর্ম উপদেষ্টা

মালয়েশিয়া থেকে ফিরলেন আড়াই লাখ অবৈধ অভিবাসী

আপডেট সময় : ১১:৪০:০৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের কাছে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে প্রত্যাবাসন কর্মসূচির মাধ্যমে নিজ নিজ দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশিসহ ২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩২ জন অবৈধ অভিবাসী। এদের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক অভিবাসী রয়েছেন যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার এবং পাকিস্তানের। তবে এর মধ্যে কতজন বাংলাদেশি, তা জানা যায়নি।

সোমবার (১০ মার্চ) দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় নিজ দেশে ফিরতে ১১৫টি দেশের অবৈধ অভিবাসী নাম নিবন্ধন করেছেন। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেকর্ড অনুযায়ী, দেশটিতে সক্রিয় বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ২৩ লাখ।

এর আগে, দেশটির সরকার অবৈধ প্রবেশ এবং বৈধ অনুমতি ছাড়া অতিরিক্ত সময় অবস্থানের অপরাধে ৫০০ রিঙ্গিত এবং পাস শর্ত লঙ্ঘনের জন্য ৩০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে নিজ দেশে ফেরার সুযোগ দেয়।

এদিকে, এই কর্মসূচি চলাকালীনও মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বৈধ পাস বা পারমিট ছাড়া কাজ করা এবং বৈধ কাজের ভিসা নেই, এমন বিদেশিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে দেশটির অভিবাসন পুলিশ।

এই অভিযানের ফলে দেশটিতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন।

জানা গেছে, যারা এই কর্মসূচির আওতায় দেশে ফিরছেন তাদের বেশিরভাগই কাগজপত্রবিহীন বা কর্মহীন। এদের মধ্যে আবার অনেকেই সম্প্রতি কলিং ভিসায় এসে প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না পাওয়ায় নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন। এদেরকে অনেক নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান ফ্রি ভিসার নামে কলিং ভিসায় দেশটিতে নিয়ে এসেছেন।

জাকারিয়া আরও বলেন, ১৯৫৯/৬৩ সালের অভিবাসন আইন, ১৯৬৬ সালের পাসপোর্ট আইন এবং ১৯৬৩ সালের অভিবাসন বিধিমালা অনুযায়ী মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারী যেকোনো বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।