বুধবার | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর ভূঁইয়ার ঘাট ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি Logo তফসিল ঘোষণার পর বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান Logo চাঁদপুরে সোনালী ব্যাংকের সিবিএ নেতা আবদুস সামাদ মিয়ার ইন্তেকাল—সহকর্মীদের মাঝে গভীর শোক Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত

শৈলকুপায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ভূয়া চিকিৎসককে ১ বছরের কারাদন্ড

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১১:৫৭:৩৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক ভূয়া চিকিৎসকের ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের গাড়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালিয়ে ভূয়া চিকিৎসক কুষ্টিয়ার উজান গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে বাবুল হোসেনকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উসমান গনি। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহযোগি ছিলেন ডাঃ কাউছার হামিদ ও শৈলকুপা থানার এস,আই জামিরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা। ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উসমান গনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ বাজারে ভাই ভাই ফার্মেসীতে এক ভূয়া চিকিৎসক অন্য এক চিকিৎসকের নাম ব্যবহার করে সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছিলো। মাইকিং করে প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত রোগী দেখে আসছিলো।

যে চিকিৎসকের নাম, পদবী, পিতার নাম, মাতার নাম, সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্র সব কিছুই ভূয়া। যার প্রকৃত নাম বাবুল হোসেন, পিতার নাম- ইসমাইল হোসেন, গ্রাম- উজান গ্রাম, কুষ্টিয়া সদর। কিন্তু সে ডাক্টার মোঃ রইচ উদ্দিন মিয়া বাবুর নাম ব্যবহার করে গাড়াগঞ্জ ভাই ভাই ফার্মেসীতে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ব্যাপক মাইকিং করে রোগী দেখে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে উক্ত চেম্বারে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। মানুষের জীবন নিয়ে এতবড় প্রতারণা কেন করেছেন জানতে চাওয়া হলে ভূয়া চিকিৎসক বাবুল হোসেন বলেন, পেটের দায়ে এ কাজ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে তার ব্যাগে রক্ষিত এ বছরে প্যারামেডিকেলে ভর্তির একটি এ্যাডমিড কার্ড পাওয়া যায়। অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে ভূয়া চিকিৎসককে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয় বলে ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

শৈলকুপায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ভূয়া চিকিৎসককে ১ বছরের কারাদন্ড

আপডেট সময় : ১১:৫৭:৩৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক ভূয়া চিকিৎসকের ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের গাড়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালিয়ে ভূয়া চিকিৎসক কুষ্টিয়ার উজান গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে বাবুল হোসেনকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উসমান গনি। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহযোগি ছিলেন ডাঃ কাউছার হামিদ ও শৈলকুপা থানার এস,আই জামিরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা। ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উসমান গনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ বাজারে ভাই ভাই ফার্মেসীতে এক ভূয়া চিকিৎসক অন্য এক চিকিৎসকের নাম ব্যবহার করে সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছিলো। মাইকিং করে প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত রোগী দেখে আসছিলো।

যে চিকিৎসকের নাম, পদবী, পিতার নাম, মাতার নাম, সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্র সব কিছুই ভূয়া। যার প্রকৃত নাম বাবুল হোসেন, পিতার নাম- ইসমাইল হোসেন, গ্রাম- উজান গ্রাম, কুষ্টিয়া সদর। কিন্তু সে ডাক্টার মোঃ রইচ উদ্দিন মিয়া বাবুর নাম ব্যবহার করে গাড়াগঞ্জ ভাই ভাই ফার্মেসীতে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ব্যাপক মাইকিং করে রোগী দেখে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে উক্ত চেম্বারে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। মানুষের জীবন নিয়ে এতবড় প্রতারণা কেন করেছেন জানতে চাওয়া হলে ভূয়া চিকিৎসক বাবুল হোসেন বলেন, পেটের দায়ে এ কাজ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে তার ব্যাগে রক্ষিত এ বছরে প্যারামেডিকেলে ভর্তির একটি এ্যাডমিড কার্ড পাওয়া যায়। অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে ভূয়া চিকিৎসককে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয় বলে ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়।