শিরোনাম :
Logo ইবিতে শিক্ষক সংকট চরমে, দ্রুত নিয়োগের সুপারিশ  Logo সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহাসিন আলম সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন Logo সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ Logo মায়ের হাতেই সন্তানের সুশিক্ষার ভিত — ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হাবিবুর রহমান  Logo কয়রায় পানি প্রাপ্তি বিষয়ক অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত Logo সোনালী সুদিন সমাজকল‍্যান সংস্থার উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে সাইকেল ও নগদ অর্থ বিতরণ Logo কচুয়ায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত অন্তত ১০ Logo সিরাজগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম ক্যাশলেস ক্যাম্পাস Logo ইবি উপাচার্যের বক্তৃতায় মুখরিত মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক সেমিনার

ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম ও পিআইও আহসানের বিরুদ্ধে মামলা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৪:১৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৩৭ বার পড়া হয়েছে

ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে প্রায় ৭৬ লাখ টাকা দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগ

জিয়াবুল হক, কক্সবাজার : গ্রামীণ অবকাঠানো উন্নয়নের নামে প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা লুটপাট ও আতœসাতের অভিযোগে উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত কক্সবাজারে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করেন মকতুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তিনি হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর বড়বিল এলাকার মৃত হারু মিয়া মেম্বারের ছেলে। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। ১৩ আগষ্ট রোববার মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। যার নং-২২/২০১৭ইং।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উখিয়া হলদিয়াপালং ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপদের সড়ক অবকাঠানোর উন্নয়নের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১৬০ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ পান। সাতটি প্রকল্পের অধিনে বরাদ্দকৃত গমের মূল্যে প্রায় ৪৬ লাখ ৩৯ হাজার ১৭১ টাকা ২০ পয়সা। ত্রাণ কর্মসূচী-২ শাখার অধিনে গত ১৬ মে গ্রামীন অবকাঠানো উন্নয়নে এসব বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া একই ত্রাণ সূচীর আওতাধীন হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৩৪টি প্রতিষ্ঠানে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষনের জন্য ১০২ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতি প্রতিষ্ঠানের জন্য তিন টন করে বরাদ্দের এসব বাজার মূল্যে ধরা হয়েছে প্রায় ২৯ লাখ ৫৭ হাজার ৪৭১ টাকা ৬৪ পয়সা।
এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহ যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করেন। দুজনে মিলেমিশে ভুয়া প্রকল্প সৃজন করে প্রতারণা ও দুর্নীতির মাধ্যম ২৬২ মেট্রিক টন গমের বিপরীতে প্রায় ৭৫ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮২ টাকা ৮৪ পয়সা লুটপাট ও আতœসাত করেন।
মামলার বাদী মকতুল হোসেন বলেন, হলদিয়াপালং ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠানো উন্নয়নের নামে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। কোথাও কোনো উন্নয়ন করা হয়নি। সরকারের বরাদ্দকৃত সব টাকা আতœসাত করা হয়েছে। এসব বিষয়ে ঢাকা দুদকের প্রধান কার্যালয় মামলা করতে গিয়েছিলাম। দুদক কর্তৃপক্ষের পরামর্শে এবিষয়ে রবিবার কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করি।
উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারস্থ দুদকের পি.পি এডভোকেট মো. সিরাজ উল্লাহ। হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলমের ছোট ভাই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে শিক্ষক সংকট চরমে, দ্রুত নিয়োগের সুপারিশ 

ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম ও পিআইও আহসানের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় : ০৬:৫৪:১৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৭

ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে প্রায় ৭৬ লাখ টাকা দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগ

জিয়াবুল হক, কক্সবাজার : গ্রামীণ অবকাঠানো উন্নয়নের নামে প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা লুটপাট ও আতœসাতের অভিযোগে উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত কক্সবাজারে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করেন মকতুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তিনি হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর বড়বিল এলাকার মৃত হারু মিয়া মেম্বারের ছেলে। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। ১৩ আগষ্ট রোববার মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। যার নং-২২/২০১৭ইং।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উখিয়া হলদিয়াপালং ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপদের সড়ক অবকাঠানোর উন্নয়নের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১৬০ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ পান। সাতটি প্রকল্পের অধিনে বরাদ্দকৃত গমের মূল্যে প্রায় ৪৬ লাখ ৩৯ হাজার ১৭১ টাকা ২০ পয়সা। ত্রাণ কর্মসূচী-২ শাখার অধিনে গত ১৬ মে গ্রামীন অবকাঠানো উন্নয়নে এসব বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া একই ত্রাণ সূচীর আওতাধীন হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৩৪টি প্রতিষ্ঠানে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষনের জন্য ১০২ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতি প্রতিষ্ঠানের জন্য তিন টন করে বরাদ্দের এসব বাজার মূল্যে ধরা হয়েছে প্রায় ২৯ লাখ ৫৭ হাজার ৪৭১ টাকা ৬৪ পয়সা।
এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহ যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করেন। দুজনে মিলেমিশে ভুয়া প্রকল্প সৃজন করে প্রতারণা ও দুর্নীতির মাধ্যম ২৬২ মেট্রিক টন গমের বিপরীতে প্রায় ৭৫ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮২ টাকা ৮৪ পয়সা লুটপাট ও আতœসাত করেন।
মামলার বাদী মকতুল হোসেন বলেন, হলদিয়াপালং ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠানো উন্নয়নের নামে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। কোথাও কোনো উন্নয়ন করা হয়নি। সরকারের বরাদ্দকৃত সব টাকা আতœসাত করা হয়েছে। এসব বিষয়ে ঢাকা দুদকের প্রধান কার্যালয় মামলা করতে গিয়েছিলাম। দুদক কর্তৃপক্ষের পরামর্শে এবিষয়ে রবিবার কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করি।
উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারস্থ দুদকের পি.পি এডভোকেট মো. সিরাজ উল্লাহ। হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলমের ছোট ভাই।