নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর বনশ্রীতে গৃহকর্মী লাইলীকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গৃহকর্তা মুন্সী মইনউদ্দিন এবং দারোয়ান তোফাজ্জল হোসেন টিটুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ বুধবার আসামিদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার সাব-ইন্সপেক্টর মনজুর রহমান। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী শামীমা আক্তার জামিনের আবেদন করে শুনানি করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হক জামিন নামঞ্জুর করে ওই দুজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৫ আগস্ট এ দুই আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট সকালে বনশ্রীর জি-ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর ভবনের নিচতলায় মইনউদ্দিনের বাসায় গৃহকর্মী লাইলী ওরফে মরিয়মকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে বাসার সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর লাইলীর স্বজনরা অভিযোগ তোলেন, ওই গৃহকর্মী আত্মহত্যা করেননি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। গৃহকর্তা মইনউদ্দিন এটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
লাইলীর স্বজনদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে মইনউদ্দিনের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। এ সময় তারা একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। তারা মইনউদ্দিনের বাসার ওই ভবনটি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেখানে গেলে তারা বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বেধে যায়।
ওই ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে খিলগাঁও থানায় পৃথক মামলা দুটি দায়ের করা হয়। গৃহকর্মী লাইলীর ভাসুর শহিদুল ইসলাম একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় অপর মামলাটি করে পুলিশ।