শিরোনাম :
Logo জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি Logo ইবিতে খেলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম

‘শেখ হাসিনা উন্নয়নের আদর্শ’

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:০৫:০৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ। আর শেখ হাসিনা হলেন উন্নয়নের আদর্শ।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে মুক্তিযোদ্ধা মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভা করে সংগঠনটি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ৪১ বছরে বাংলাদেশে সবচেয়ে সাহসী ও দক্ষ প্রশাসক হলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে এখনো ধ্বংস করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এটাকে খুব হালকাভাবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা হয়েছে। এবার তাকে হত্যার জন্য ২০তম পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে গেছেন। বিপদ কিন্তু এখনো আছে। এখনো যথেষ্ট ভয়ের কারণ ও উদ্বেগ আছে। বঙ্গবন্ধুকন্যাও শঙ্কিত কিন্তু বিচলিত নন।

দেশে সংঘটিত জঙ্গি হামলা ও অভিযানের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিলিট্যান্সির নতুন ডাইমেনশন সৃষ্টি হয়েছে। আত্মঘাতী নারী, আত্মঘাতী কিশোর এবং ঢাল হিসেবে শিশুকে ব্যবহার করে পরিবারভিত্তিক মিলিট্যান্ট স্কোয়াড গঠন করছে তারা।

জঙ্গিবিরোধী সফল অভিযান পরিচালনার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তলে তলে তারা যে আরো ভয়াবহ আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে না, এটা ভাবার কারণ নেই।

তিনি বলেন, আজকে আমাদেরকে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদের বিষবৃক্ষকে উপড়ে ফেলার শপথ নিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল মানুষকে আমাদের আস্থা ও নির্ভরযোগ্য ঠিকানা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষকে উপড়ে ফেলে তাদেরকে প্রতিরোধ ও পরাজিত করতে হবে। বিজয়ের মাসে এটাই হোক আমাদের শপথ। একাত্তরের রণাঙ্গনে আমরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরাজিত ও প্রতিরোধ করেছি। এবার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক শক্তির মূলোৎপাটন করতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন(নাসিক) নির্বাচন নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দুনিয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হওয়ার জন্য প্রশংসা করছে। কিন্তু খালেদা জিয়া বলেন, নাসিক নির্বাচন উপরে ফিটফাট হলেও ভিতরে ষড়যন্ত্র হয়েছে। যে দলের জন্ম ও বিকাশই ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে, তারা কথায় কথায় শুধু ষড়যন্ত্রের গন্ধ খোঁজে। এদের রাজনীতির শেষটা কোথায় সেটা সবাই জানে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন। আমরা সেই পাকিস্তানকে আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ সব সূচকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছি। পাকিস্তান আজকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক রাষ্ট্র। আজকে কোথায় পাকিস্তান আর কোথায় বাংলাদেশ? আমরা আজকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। তবে পাকিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে শুধু পরমাণু বোমার সূচকে এগিয়ে আছে।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি এস এ মালেকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন, বীর বিক্রম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি

‘শেখ হাসিনা উন্নয়নের আদর্শ’

আপডেট সময় : ১২:০৫:০৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ। আর শেখ হাসিনা হলেন উন্নয়নের আদর্শ।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে মুক্তিযোদ্ধা মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভা করে সংগঠনটি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ৪১ বছরে বাংলাদেশে সবচেয়ে সাহসী ও দক্ষ প্রশাসক হলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে এখনো ধ্বংস করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এটাকে খুব হালকাভাবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা হয়েছে। এবার তাকে হত্যার জন্য ২০তম পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে গেছেন। বিপদ কিন্তু এখনো আছে। এখনো যথেষ্ট ভয়ের কারণ ও উদ্বেগ আছে। বঙ্গবন্ধুকন্যাও শঙ্কিত কিন্তু বিচলিত নন।

দেশে সংঘটিত জঙ্গি হামলা ও অভিযানের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিলিট্যান্সির নতুন ডাইমেনশন সৃষ্টি হয়েছে। আত্মঘাতী নারী, আত্মঘাতী কিশোর এবং ঢাল হিসেবে শিশুকে ব্যবহার করে পরিবারভিত্তিক মিলিট্যান্ট স্কোয়াড গঠন করছে তারা।

জঙ্গিবিরোধী সফল অভিযান পরিচালনার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তলে তলে তারা যে আরো ভয়াবহ আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে না, এটা ভাবার কারণ নেই।

তিনি বলেন, আজকে আমাদেরকে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদের বিষবৃক্ষকে উপড়ে ফেলার শপথ নিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল মানুষকে আমাদের আস্থা ও নির্ভরযোগ্য ঠিকানা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষকে উপড়ে ফেলে তাদেরকে প্রতিরোধ ও পরাজিত করতে হবে। বিজয়ের মাসে এটাই হোক আমাদের শপথ। একাত্তরের রণাঙ্গনে আমরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরাজিত ও প্রতিরোধ করেছি। এবার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক শক্তির মূলোৎপাটন করতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন(নাসিক) নির্বাচন নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দুনিয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হওয়ার জন্য প্রশংসা করছে। কিন্তু খালেদা জিয়া বলেন, নাসিক নির্বাচন উপরে ফিটফাট হলেও ভিতরে ষড়যন্ত্র হয়েছে। যে দলের জন্ম ও বিকাশই ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে, তারা কথায় কথায় শুধু ষড়যন্ত্রের গন্ধ খোঁজে। এদের রাজনীতির শেষটা কোথায় সেটা সবাই জানে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন। আমরা সেই পাকিস্তানকে আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ সব সূচকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছি। পাকিস্তান আজকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক রাষ্ট্র। আজকে কোথায় পাকিস্তান আর কোথায় বাংলাদেশ? আমরা আজকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। তবে পাকিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে শুধু পরমাণু বোমার সূচকে এগিয়ে আছে।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি এস এ মালেকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন, বীর বিক্রম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।