শিরোনাম :
Logo গাজায় ফিলিস্তিনি ফুটবলার নিহত Logo টাঙ্গাইলে পুকুরের পানিতে ডুবে এক বৃদ্ধের মৃত্যু Logo আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় ফ্যাসিস্ট শিক্ষকরা এখনো কাপড় পরে হাঁটতে পারছে : রাবি ছাত্রদল সভাপতি Logo কুড়ালিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এডহক কমিটির পরিচিতি, কৃতি ছাত্রীদের সংবর্ধনা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত Logo চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে আড়ালে আবৃত গ্রন্থের পাঠ পর্যালোচনা Logo দুর্নীতির মামলায় বেরোবির সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ গ্রেফতার Logo তেগুরিয়া শিশু বিদ্যানিকেতন এখন শিশু শিক্ষার আলোকবর্তিকা Logo কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Logo উচাং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইবির সমঝোতা স্মারক পর্যালোচনা বৈঠক Logo ইবিতে হিন্দুধর্ম অবমাননার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ঝিনাইদহের খাদ্য ভান্ডার জুনেই শেষ হচ্ছে!

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৩:০৯:১২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৫ জুন ২০১৭
  • ৭৪৩ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  জুনেই ঝিনাইদহের খাদ্য ভান্ডার শেষ হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। চাল কিনতে না পারায় জেলার খাদ্য গুদামগুলোতে চাল সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ঝিনাইদহের খাদ্য গুদামগুলোতে দুই হাজার টন গম ও মাত্র ১৫’শ মেট্রিক টন চাল মজুদের তথ্য জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন। তিনি বলেন, জুনের মধ্যে জেলার খাদ্য মজুদ শেষ হয়ে যাবে। তাই ঈদে চালের পরবির্তে ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) হিসেবে দরিদ্রদের মাঝে ১৩৫৪ মেট্রিক টন গম দেওয়া হয়েছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে জানা গেছে, সারা জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে দশ হাজার ৬৮৮ মেট্রিক টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু বাজার চাড়া হওয়ায় মিলাররা চাল দিতে আগ্রহ দেখায়নি। সারা জেলা থেকে মাত্র ৮০ মেট্রিক টন চাল কেনা সম্ভব হয়েছে। আস্তে আস্তে চালের বাজার কমে আসলে চাল সংকট কমে যেতে পারে। তখন মিলাররা চাল সরবরাহ করলে সরকারের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে বলে তিনি মনে করেন। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন বলেন, প্রান্তিক কৃষকের ঘরে এখন কোন ধান নেই। সচ্ছল কৃষকের কাছে ধান থাকলেও তারা ধান বিক্রি করছে না। চালের দাম কমার আশংকা তৈরী হওয়ায় সচ্ছল কৃষকরা তাদের ঘরে মজুদ ধান বিক্রি করতে শুরু করেছেন। এ জন্য ধানের বাজার ৮০ থেকে ১০০ টাকা কমেছে মন প্রতি।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন আরো জানান, জেলায় মোট ৪৭০ টি মিল রয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৫ জন মিলার চাল সরবরাহ করার জন্য সরকারের সাথে চুক্তি করে। কিন্তু বজার চড়া হওয়ায় সবাই চাল দিতে পারেনি। তিনি বলেন যারা চুক্তি করে চাল দেয়নি তাদেরকে দুই মৌসুম সাসপেন্ড রাখা হবে। অন্যদিকে যে সব মিল মালিক সরকারের সাথে চুক্তিতে আগ্রহ দেখায়নি তাদের চার মৌসুম সাসপেন্ড রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।

এদিকে চাল সংকটের কারণে এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরে জেলাব্যাপী চালের পরিবর্তে গম সরবরাহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে পোকায় খাওয়া গম নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সদরের সাগান্না ইউনিয়নে এমন কয়েক বস্তা গম ফেরৎ দেয়ার জন্য জমা রাখা হয়েছে বলে জানান সেখানকার চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আল মামুন। সাধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন জানান, কিছু গম ছিল নি¤œমানের। সেগুলো ভাল গমের সাথে দিয়ে দেয়া হয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা জসিম উদ্দীন জানান, পর্যাপ্ত চাল না থাকার কারণে বহু দিন পর দরিদ্রদের ভিজিএফ হিসেবে গম দেয়া হলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, চাল সংকটের কারণে সরকার এবারের ঈদে ভিজিএফ কর্মসুচি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বিতর্ক ও সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হতে পারে এমন আশংকায় শেষ পর্যন্ত চালের পরিবর্তে গম বিতরণের সিদ্ধন্ত নেয়া হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় ফিলিস্তিনি ফুটবলার নিহত

ঝিনাইদহের খাদ্য ভান্ডার জুনেই শেষ হচ্ছে!

আপডেট সময় : ০৩:০৯:১২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৫ জুন ২০১৭

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  জুনেই ঝিনাইদহের খাদ্য ভান্ডার শেষ হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। চাল কিনতে না পারায় জেলার খাদ্য গুদামগুলোতে চাল সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ঝিনাইদহের খাদ্য গুদামগুলোতে দুই হাজার টন গম ও মাত্র ১৫’শ মেট্রিক টন চাল মজুদের তথ্য জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন। তিনি বলেন, জুনের মধ্যে জেলার খাদ্য মজুদ শেষ হয়ে যাবে। তাই ঈদে চালের পরবির্তে ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) হিসেবে দরিদ্রদের মাঝে ১৩৫৪ মেট্রিক টন গম দেওয়া হয়েছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে জানা গেছে, সারা জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে দশ হাজার ৬৮৮ মেট্রিক টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু বাজার চাড়া হওয়ায় মিলাররা চাল দিতে আগ্রহ দেখায়নি। সারা জেলা থেকে মাত্র ৮০ মেট্রিক টন চাল কেনা সম্ভব হয়েছে। আস্তে আস্তে চালের বাজার কমে আসলে চাল সংকট কমে যেতে পারে। তখন মিলাররা চাল সরবরাহ করলে সরকারের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে বলে তিনি মনে করেন। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন বলেন, প্রান্তিক কৃষকের ঘরে এখন কোন ধান নেই। সচ্ছল কৃষকের কাছে ধান থাকলেও তারা ধান বিক্রি করছে না। চালের দাম কমার আশংকা তৈরী হওয়ায় সচ্ছল কৃষকরা তাদের ঘরে মজুদ ধান বিক্রি করতে শুরু করেছেন। এ জন্য ধানের বাজার ৮০ থেকে ১০০ টাকা কমেছে মন প্রতি।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন আরো জানান, জেলায় মোট ৪৭০ টি মিল রয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৫ জন মিলার চাল সরবরাহ করার জন্য সরকারের সাথে চুক্তি করে। কিন্তু বজার চড়া হওয়ায় সবাই চাল দিতে পারেনি। তিনি বলেন যারা চুক্তি করে চাল দেয়নি তাদেরকে দুই মৌসুম সাসপেন্ড রাখা হবে। অন্যদিকে যে সব মিল মালিক সরকারের সাথে চুক্তিতে আগ্রহ দেখায়নি তাদের চার মৌসুম সাসপেন্ড রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।

এদিকে চাল সংকটের কারণে এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরে জেলাব্যাপী চালের পরিবর্তে গম সরবরাহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে পোকায় খাওয়া গম নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সদরের সাগান্না ইউনিয়নে এমন কয়েক বস্তা গম ফেরৎ দেয়ার জন্য জমা রাখা হয়েছে বলে জানান সেখানকার চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আল মামুন। সাধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন জানান, কিছু গম ছিল নি¤œমানের। সেগুলো ভাল গমের সাথে দিয়ে দেয়া হয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা জসিম উদ্দীন জানান, পর্যাপ্ত চাল না থাকার কারণে বহু দিন পর দরিদ্রদের ভিজিএফ হিসেবে গম দেয়া হলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, চাল সংকটের কারণে সরকার এবারের ঈদে ভিজিএফ কর্মসুচি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বিতর্ক ও সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হতে পারে এমন আশংকায় শেষ পর্যন্ত চালের পরিবর্তে গম বিতরণের সিদ্ধন্ত নেয়া হয়েছে।