শিরোনাম :
Logo গাজায় ফিলিস্তিনি ফুটবলার নিহত Logo টাঙ্গাইলে পুকুরের পানিতে ডুবে এক বৃদ্ধের মৃত্যু Logo আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় ফ্যাসিস্ট শিক্ষকরা এখনো কাপড় পরে হাঁটতে পারছে : রাবি ছাত্রদল সভাপতি Logo কুড়ালিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এডহক কমিটির পরিচিতি, কৃতি ছাত্রীদের সংবর্ধনা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত Logo চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে আড়ালে আবৃত গ্রন্থের পাঠ পর্যালোচনা Logo দুর্নীতির মামলায় বেরোবির সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ গ্রেফতার Logo তেগুরিয়া শিশু বিদ্যানিকেতন এখন শিশু শিক্ষার আলোকবর্তিকা Logo কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Logo উচাং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইবির সমঝোতা স্মারক পর্যালোচনা বৈঠক Logo ইবিতে হিন্দুধর্ম অবমাননার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ঝিনাইদহের সীমান্তবর্তী বেগবতি নদীতে আদিম যুগের সাকোই এলাকাবাসীর একমাত্র ভরসা !

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:১২:৫৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৭ জুন ২০১৭
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ  ঝিনাইদহ রাজবংশের স্মৃতি বিলুপ্তি হলেও শেষ রাজা প্রমূথ ভূষন দেবরায়ের স্মৃতি বিজড়িত অনেক স্মৃতি সংরক্ষণ করা না হলেও শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের প্রায়ত সাঃ সম্পাদক অতুল অধিকারীর সাময়িক সংস্কারের ফলে এখনও মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে করেকটি মন্দির। সোনতন ধর্মালম্বী মানুষের কাছে তীর্থস্থান হিসাবে এই শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী মায়ের বাড়ি মন্দিরটি বিশেষ ভাবে পরিচিতি লাভ করলেও  মূল ফটকের সামনের রাস্তাটি ইট, বালি, পীচের সমন্ময়ে জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকলেও মন্দিরের পিছনের দিকটা দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে চলাচল করতে হয় দূর দূরান্ত থেকে আগত মন্দিরের দর্শনার্থী ও এলাকার কর্মজীবি জনসাধারনকে।

ঝিনাইদহ সদর থানা এবং কালীগঞ্জ থানার মধ্যকার সংযোগ স্থানটি বেগবতি নদীর কারনে বিচ্ছিন্ন হলেও বাঁশের সেতুটি সংযোগকে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে দুই উপজেলার মানুষের ভোগান্তিরও শেষ নেই এই বাঁশের সেতুকে ঘিরে। বাঁশের তৈরি সাকো বানিয়ে গ্রামবাসী যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখার চেষ্টা করলেও বছরের বেশির ভাগ সময় সেতু মেরামতের কাজে ব্যাস্থ রাখতে হয় নিজেদেরকে আর বর্ষা মৌসুমে তো কথায় নেই। বেগবতি নদীর উপর অবস্থিত বাঁশের এই সেতুটি দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ার কারনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সে ভাবে গুরুত্ব দেন না । সেতু কর্তপক্ষের সাথে কথা বললে তারা বিষয়টি দেখবেন বলে বার বার এড়িয়ে যান। জনগনের ধারনা জনপ্রতিনিধিদের ঠেলাঠেলি এবং প্রশাসনের গাফলতির কারনে সেতুটি নির্মান হচ্ছে না।

সেতুটির অভাবে এলাকার জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হচ্ছে না অপরদিকে বছরের পর বছর জনপ্রতিনিধি সহ সরকারী অফিসে অনেক ধর্ণা দেওয়া হলেও কোন ফল হচ্ছে না। অথচ ভোটের সময়ে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা সেতু করার জোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেও নির্বাচন শেষ হওয়ার পর তা স্বপ্ন হতে থাকে।  স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মাঝে মাঝে পড়তে হয় বিপদে  তার পর ও ঝূকিপূর্ণ ভাবে পার হতে হয় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের। মন্দির কমিটির অর্থায়নে এবং বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে দানের টাকা দিয়ে প্রতিবছর মেরামত করা হয়ে থাকে বাঁশের সেতুটি।

স্থানীয় জনগনের সাথে কথা বললে তারা বলেন-এ স্থানটি সরকারী অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ রাজ বংশের ঐতির্য্যের কারনে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে অথচ আজও আমরা কোন সেতুর ব্যবস্থা করতে পারলাম না। আর কত কাল, আমরা ডিজিটাল যুগে বাস করে আদিম যুগের সাকো পদ্ধতি অবলম্বন করব। ঝিনাইদহ সদরের থানার নলডাঙ্গা ইউ.পি চেয়ারম্যান কবির হোসেন এর সাথে মুঠো ফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন-এম.পি মহোদয় সহ সেতু বিভাগের সাথে কথা বলেছি সবাই আমাকে আশ্বস্থ করেছে। এই স্থানটিতে সেতু নির্মিত হলে দুই থানার মানুষের স্বপ্ন সহ দূরদূরান্ত থেকে আগত মানুষের কষ্ট লাঘব হবে এমনটি প্রত্যাশা করে শান্তিকামী এলাকাবাসী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় ফিলিস্তিনি ফুটবলার নিহত

ঝিনাইদহের সীমান্তবর্তী বেগবতি নদীতে আদিম যুগের সাকোই এলাকাবাসীর একমাত্র ভরসা !

আপডেট সময় : ০৫:১২:৫৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৭ জুন ২০১৭

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ  ঝিনাইদহ রাজবংশের স্মৃতি বিলুপ্তি হলেও শেষ রাজা প্রমূথ ভূষন দেবরায়ের স্মৃতি বিজড়িত অনেক স্মৃতি সংরক্ষণ করা না হলেও শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের প্রায়ত সাঃ সম্পাদক অতুল অধিকারীর সাময়িক সংস্কারের ফলে এখনও মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে করেকটি মন্দির। সোনতন ধর্মালম্বী মানুষের কাছে তীর্থস্থান হিসাবে এই শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী মায়ের বাড়ি মন্দিরটি বিশেষ ভাবে পরিচিতি লাভ করলেও  মূল ফটকের সামনের রাস্তাটি ইট, বালি, পীচের সমন্ময়ে জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকলেও মন্দিরের পিছনের দিকটা দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে চলাচল করতে হয় দূর দূরান্ত থেকে আগত মন্দিরের দর্শনার্থী ও এলাকার কর্মজীবি জনসাধারনকে।

ঝিনাইদহ সদর থানা এবং কালীগঞ্জ থানার মধ্যকার সংযোগ স্থানটি বেগবতি নদীর কারনে বিচ্ছিন্ন হলেও বাঁশের সেতুটি সংযোগকে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে দুই উপজেলার মানুষের ভোগান্তিরও শেষ নেই এই বাঁশের সেতুকে ঘিরে। বাঁশের তৈরি সাকো বানিয়ে গ্রামবাসী যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখার চেষ্টা করলেও বছরের বেশির ভাগ সময় সেতু মেরামতের কাজে ব্যাস্থ রাখতে হয় নিজেদেরকে আর বর্ষা মৌসুমে তো কথায় নেই। বেগবতি নদীর উপর অবস্থিত বাঁশের এই সেতুটি দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ার কারনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সে ভাবে গুরুত্ব দেন না । সেতু কর্তপক্ষের সাথে কথা বললে তারা বিষয়টি দেখবেন বলে বার বার এড়িয়ে যান। জনগনের ধারনা জনপ্রতিনিধিদের ঠেলাঠেলি এবং প্রশাসনের গাফলতির কারনে সেতুটি নির্মান হচ্ছে না।

সেতুটির অভাবে এলাকার জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হচ্ছে না অপরদিকে বছরের পর বছর জনপ্রতিনিধি সহ সরকারী অফিসে অনেক ধর্ণা দেওয়া হলেও কোন ফল হচ্ছে না। অথচ ভোটের সময়ে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা সেতু করার জোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেও নির্বাচন শেষ হওয়ার পর তা স্বপ্ন হতে থাকে।  স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মাঝে মাঝে পড়তে হয় বিপদে  তার পর ও ঝূকিপূর্ণ ভাবে পার হতে হয় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের। মন্দির কমিটির অর্থায়নে এবং বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে দানের টাকা দিয়ে প্রতিবছর মেরামত করা হয়ে থাকে বাঁশের সেতুটি।

স্থানীয় জনগনের সাথে কথা বললে তারা বলেন-এ স্থানটি সরকারী অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ রাজ বংশের ঐতির্য্যের কারনে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে অথচ আজও আমরা কোন সেতুর ব্যবস্থা করতে পারলাম না। আর কত কাল, আমরা ডিজিটাল যুগে বাস করে আদিম যুগের সাকো পদ্ধতি অবলম্বন করব। ঝিনাইদহ সদরের থানার নলডাঙ্গা ইউ.পি চেয়ারম্যান কবির হোসেন এর সাথে মুঠো ফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন-এম.পি মহোদয় সহ সেতু বিভাগের সাথে কথা বলেছি সবাই আমাকে আশ্বস্থ করেছে। এই স্থানটিতে সেতু নির্মিত হলে দুই থানার মানুষের স্বপ্ন সহ দূরদূরান্ত থেকে আগত মানুষের কষ্ট লাঘব হবে এমনটি প্রত্যাশা করে শান্তিকামী এলাকাবাসী।