সোমবার | ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo পলাশবাড়ীতে অফিসের হাটের বেদখল জায়গা উদ্ধারে জোর দাবি: আরইউটিডিপির বরাদ্দে আধুনিক স্থাপনা চায় পৌরবাসী Logo পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস আজ Logo টেকনাফে গহীন পাহাড় থেকে নারী ও শিশুসহ ৭ জন উদ্ধার, আটক-৩ Logo কয়রায় জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী  গণসংযোগ Logo ইবিতে প্রশাসনের কমিটি থেকে পদত্যাগ বিএনপিপন্থী ৩ শিক্ষকের Logo খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা প্রত্যাশায় কয়রায় বিএনপির দোয়া মাহফিল Logo পলাশবাড়ীতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত  Logo পলাশবাড়ীতে ছাত্রলীগ কর্মীর চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে জামায়াত নেতা আহত

রাতে ফুটপাতে শুয়ে থাকবো : মওদুদ

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:২৯ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০১৭
  • ৭৬৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর গুলশান-২ এর ১৫৯ নম্বরে এক বিঘা ১৩ কাঠা জমির ওপর নির্মিত বাড়িটি দখলমুক্ত করতে গতকাল বুধবার অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এ সময় দীর্ঘ তিন যুগ ধরে বাড়িটিতে সপরিবারের বাস করে আসা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন,  ‘কি আর করবো? রাতে ফুটপাতে শুয়ে থাকবো’।

এর আগে, গত রবিবার এ সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রিভিউ খারিজ করে দেওয়া চূড়ান্ত রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, বাড়ির মালিকানা তার বা তার ভাই মনজুর আহমেদের নয়। এর তিনদিনের মাথায় গতকাল বুধবার দুপুর থেকে অবৈধ দখলমুক্ত করে বাড়িটি অধিগ্রহণ করছে রাজউক।

উচ্ছেদ অভিযান শুরুর সময় বাড়িতে ছিলেন না মওদুদ। দুপুর তিনটার পরে বাড়িটির গেটের সামনে বসে কিছুক্ষণ মালামাল সরাতে প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করেন। তবে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ তাকে সরিয়ে গেটের একপাশে বসিয়ে দেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।

এ সময় সাংবাদিকরা মওদুদকে প্রশ্ন করেন এখন কি করবেন? জবাবে তিনিবলেন, আমার আর কি করার আছে? কি আর করবো? রাতে ফুটপাতে শুয়ে থাকবো।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গুলশানের যে বাড়িটিতে মওদুদ আহমদ ও তার পরিবার থাকছেন, তার প্রকৃত মালিক ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান। ১৯৬০ সালে তৎকালীন ডিআইটির কাছ থেকে এই বাড়ির মালিকানা এহসান পান। ১৯৬৫ সালে বাড়ির মালিকানার কাগজপত্র এহসানের স্ত্রী অস্ট্রিয়ার নাগরিক ইনজে মারিয়া প্লাজের নামে নিবন্ধন করা হয়।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এহসান স্ত্রীসহ ঢাকা ত্যাগ করেন। তারা আর ফিরে না আসায় ১৯৭২ সালে এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়। ওই বছরই মওদুদ ওই বাড়ির দখল নেন। এরপর ১৯৭৩ সালের ২ অগাস্ট তারিখে তিনি ইনজে মারিয়া প্লাজের নামে একটি ‘ভুয়া’ আমমোক্তারনামা তৈরি করান এবং নিজেকে তার ভাড়াটিয়া হিসেবে দেখিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক

রাতে ফুটপাতে শুয়ে থাকবো : মওদুদ

আপডেট সময় : ০৯:০৩:২৯ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর গুলশান-২ এর ১৫৯ নম্বরে এক বিঘা ১৩ কাঠা জমির ওপর নির্মিত বাড়িটি দখলমুক্ত করতে গতকাল বুধবার অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এ সময় দীর্ঘ তিন যুগ ধরে বাড়িটিতে সপরিবারের বাস করে আসা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন,  ‘কি আর করবো? রাতে ফুটপাতে শুয়ে থাকবো’।

এর আগে, গত রবিবার এ সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রিভিউ খারিজ করে দেওয়া চূড়ান্ত রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, বাড়ির মালিকানা তার বা তার ভাই মনজুর আহমেদের নয়। এর তিনদিনের মাথায় গতকাল বুধবার দুপুর থেকে অবৈধ দখলমুক্ত করে বাড়িটি অধিগ্রহণ করছে রাজউক।

উচ্ছেদ অভিযান শুরুর সময় বাড়িতে ছিলেন না মওদুদ। দুপুর তিনটার পরে বাড়িটির গেটের সামনে বসে কিছুক্ষণ মালামাল সরাতে প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করেন। তবে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ তাকে সরিয়ে গেটের একপাশে বসিয়ে দেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।

এ সময় সাংবাদিকরা মওদুদকে প্রশ্ন করেন এখন কি করবেন? জবাবে তিনিবলেন, আমার আর কি করার আছে? কি আর করবো? রাতে ফুটপাতে শুয়ে থাকবো।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গুলশানের যে বাড়িটিতে মওদুদ আহমদ ও তার পরিবার থাকছেন, তার প্রকৃত মালিক ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান। ১৯৬০ সালে তৎকালীন ডিআইটির কাছ থেকে এই বাড়ির মালিকানা এহসান পান। ১৯৬৫ সালে বাড়ির মালিকানার কাগজপত্র এহসানের স্ত্রী অস্ট্রিয়ার নাগরিক ইনজে মারিয়া প্লাজের নামে নিবন্ধন করা হয়।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এহসান স্ত্রীসহ ঢাকা ত্যাগ করেন। তারা আর ফিরে না আসায় ১৯৭২ সালে এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়। ওই বছরই মওদুদ ওই বাড়ির দখল নেন। এরপর ১৯৭৩ সালের ২ অগাস্ট তারিখে তিনি ইনজে মারিয়া প্লাজের নামে একটি ‘ভুয়া’ আমমোক্তারনামা তৈরি করান এবং নিজেকে তার ভাড়াটিয়া হিসেবে দেখিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।