শিরোনাম :
Logo সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন Logo বর্ষায় মসলা সংরক্ষণের ৫ উপায় Logo ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে ব্যাংক Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে মিলল শিক্ষার্থীর মরদেহ Logo সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo অর্থের বিনিময়ে পলাশবাড়ীর খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দিয়ে লাপাত্তা টিসিএফ Logo ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু; শিক্ষার্থীরা রাবি মেডিকেলের নাম দিল নাপা সেন্টার Logo জাতির উন্নতির জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন – মির্জা গালিব Logo গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউ’র মেয়াদ বাড়লো Logo লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক সভা মাদক সমাজ ও জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় ………….সাখাওয়াত জামিল সৈকত

ইফতারে ক্লান্তি দূর করে খেজুর !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:৩৩:৫০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৯ মে ২০১৭
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পবিত্র রমজান। এ মাসে প্রতিদিন খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত। কিন্তু পুষ্টিগুণ বিচারে শুধু রমজান মাসে নয়, সারা বছরই খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন খেজুর। খেজুরে অ্যামিনো এসিড, প্রচুর শক্তি, শর্করা ভিটামিন ও মিনারেল প্রভৃতি উপাদান রয়েছে। রোজায় দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার কারণে দেহে প্রচুর গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দেয়। তখন এই উপাদানগুলো শরীরের প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। খেজুর শারীরিক দুর্বলতা দূর করে শক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখে। তাই সারা দিনের ক্লান্তি দুর করতে প্রতিদিন ইফতারে খেজুর রাখুন।

খেজুরের আরও নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা-

কর্মশক্তি বৃদ্ধি করে
খেজুরে গ্লুকোজ ও প্রচুর খাদ্যশক্তি থাকায় তা দুর্বলতা দূর করে। একইসঙ্গে কর্মশক্তি বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।

ক্যানসার প্রতিরোধে
খেজুরে আশঁ থাকায় তা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এছাড়া ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধ করে খেজুর।

হৃদরোগীদের জন্য উপকারী
খেজুর হৃদয়ের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি রক্ত পরিশোধন করে। এছাড়া এটি হৃদপিন্ডের সংকোচন প্রসারণও সঠিক রাখে। তাই    হৃদরোগীদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখা উচিত।

মুটিয়ে যাওয়া রোধে
খেজুর ক্ষুধার তীব্রতা কমিয়ে আনে। ফলে সহজেই মুটিয়ে যাওয়া রোধ করা যায়। আবার খেজুরে বিদ্যমান গ্লুকোজ শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি এর আঁশ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

হাড় গঠনে
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। এই উপাদানটি হাড় মজবুত করে ও হাড়ক্ষয়ের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে।

পেটের সমস্যা সমাধানে
পেটের নানা সমস্যা সমাধানে খেজুর খাওয়ার বিকল্প নেই। এটি মুখে রুচি  আনার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
খেজুরে বিদ্যমান ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও এটি কার্যকর।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
খেজুরে আঁশ থাকায় তা পরিপাকে সাহায্য করে। ফলে সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে বাঁচা যায়। এছাড়া খেজুর হজমবর্ধক, পাকস্থলী ও যকৃতের শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।

প্রসবকালীন সময়ে মায়ের জন্য
খেজুর প্রসব যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে। অন্তঃসত্ত্বা নারীরা খেজুর খেলে এটি জরায়ুর মাংসপেশি দ্রুত সংকোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে তাড়াতাড়ি প্রসব হতে সাহায্য করে এবং প্রসব-পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়।

যে কোনো ফলের চেয়ে খেজুরের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। তাই প্রতিদিনের ইফতারের তালিকায় প্রত্যেক সদস্যের জন্য একটি করে খেজুর রাখা যেতেই পারে। নিয়মিত খেজুর খান, সুস্থ থাকুন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন

ইফতারে ক্লান্তি দূর করে খেজুর !

আপডেট সময় : ০২:৩৩:৫০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৯ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

পবিত্র রমজান। এ মাসে প্রতিদিন খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত। কিন্তু পুষ্টিগুণ বিচারে শুধু রমজান মাসে নয়, সারা বছরই খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন খেজুর। খেজুরে অ্যামিনো এসিড, প্রচুর শক্তি, শর্করা ভিটামিন ও মিনারেল প্রভৃতি উপাদান রয়েছে। রোজায় দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার কারণে দেহে প্রচুর গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দেয়। তখন এই উপাদানগুলো শরীরের প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। খেজুর শারীরিক দুর্বলতা দূর করে শক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখে। তাই সারা দিনের ক্লান্তি দুর করতে প্রতিদিন ইফতারে খেজুর রাখুন।

খেজুরের আরও নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা-

কর্মশক্তি বৃদ্ধি করে
খেজুরে গ্লুকোজ ও প্রচুর খাদ্যশক্তি থাকায় তা দুর্বলতা দূর করে। একইসঙ্গে কর্মশক্তি বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।

ক্যানসার প্রতিরোধে
খেজুরে আশঁ থাকায় তা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এছাড়া ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধ করে খেজুর।

হৃদরোগীদের জন্য উপকারী
খেজুর হৃদয়ের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি রক্ত পরিশোধন করে। এছাড়া এটি হৃদপিন্ডের সংকোচন প্রসারণও সঠিক রাখে। তাই    হৃদরোগীদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখা উচিত।

মুটিয়ে যাওয়া রোধে
খেজুর ক্ষুধার তীব্রতা কমিয়ে আনে। ফলে সহজেই মুটিয়ে যাওয়া রোধ করা যায়। আবার খেজুরে বিদ্যমান গ্লুকোজ শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি এর আঁশ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

হাড় গঠনে
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। এই উপাদানটি হাড় মজবুত করে ও হাড়ক্ষয়ের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে।

পেটের সমস্যা সমাধানে
পেটের নানা সমস্যা সমাধানে খেজুর খাওয়ার বিকল্প নেই। এটি মুখে রুচি  আনার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
খেজুরে বিদ্যমান ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও এটি কার্যকর।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
খেজুরে আঁশ থাকায় তা পরিপাকে সাহায্য করে। ফলে সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে বাঁচা যায়। এছাড়া খেজুর হজমবর্ধক, পাকস্থলী ও যকৃতের শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।

প্রসবকালীন সময়ে মায়ের জন্য
খেজুর প্রসব যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে। অন্তঃসত্ত্বা নারীরা খেজুর খেলে এটি জরায়ুর মাংসপেশি দ্রুত সংকোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে তাড়াতাড়ি প্রসব হতে সাহায্য করে এবং প্রসব-পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়।

যে কোনো ফলের চেয়ে খেজুরের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। তাই প্রতিদিনের ইফতারের তালিকায় প্রত্যেক সদস্যের জন্য একটি করে খেজুর রাখা যেতেই পারে। নিয়মিত খেজুর খান, সুস্থ থাকুন।