রাকিবুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সারাদেশের মত সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে গ্রীস্মের তাপদাহ আর বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ প্রাণীকুল। গ্রীস্মের এই প্রচন্ড গরমে মানুষ সহ গবাদি পশু পাখিও যেন ধৈর্যের সীমা রাখেনা। সেই সাথে মানুষ সহ গবাদি পশুর বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিচ্ছে। ঠিকমত বিদ্যুৎ না থাকায় কল কারখানার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে ফলে। প্রচন্ড গরমের কারণে কৃষি শ্রমিকের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষি শ্রমিক সংকট হওয়ায় অনেক কৃষক পাকা ধান কাটতে পারছেন না ফলে পাকা ধান ঝড়ে যাচ্ছে। শ্রমিক দু একটা যা পাওয়া যায় তাও আবার বেশি দামে কিনে ধান কাটতে হচ্ছে। এতে কৃষকের খরচ বেশি হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতায় কামারখন্দ সাব জোনাল অফিসের সহকারি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মনির হোসেন জানান, এই উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ২২ মেগাওয়াট বরাদ্দ রয়েছে ৮ মেগাওয়াত যার ফলে গ্রাহকের চাহিদা পূূরণ সম্ভব হচ্ছে না। তাই এতো ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সারা বছরের তুলনায় গ্রীস্মকালে বিদ্যুৎ বেশি ব্যবহার হওয়ায় লোডশেডিং বেশি হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আকিকুর নাহার জানান, প্রচন্ড গরমে বয়স্ক মানুষ বেশি হিট স্ট্রোক রোগে আক্রান্ত হন। অতিরিক্ত গরমে শিশুদের হাম বেশি লক্ষ করা যায়। এজন্য শিশুদের তরল জাতীয় খাবার পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা। এই গরমের মধ্যে অনেকে বাহিরের পচাঁ বাশি খাবার খেয়ে টাইফয়েড সহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হন । অতিরিক্ত তাপদাহে সবাইকে বিশুদ্ধ পানি বিভিন্ন তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
এই তাপদাহে শুধু মানুষই না গবাদি পশুরও দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগ। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল হাই জানান, এই গরমে শর্দি জাতীয় রোগ বেশি লক্ষ করা যায়। পশু গোসল করিয়ে ছায়ায় রাখাতে বলেন সেইসাথে গর্ভবতী গাভীগুলোকে ঠান্ডা স্থানে রাখারও পরামর্শ দেন এবং এসব বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে ।













































