শিরোনাম :
Logo শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত Logo আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামাব না : শামীমা ইয়াছমিন Logo বোমা হামলায় পৃথিবীতে যত লোক মারা যায় তারচেয়ে বেশি বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় -পঞ্চগড়ে তারিকুল ইসলাম Logo বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে অভিনেত্রী Logo এশিয়া কাপের জন্য প্রাথমিক দল ঘোষণা বিসিবির Logo ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ ফখরের Logo নাটকীয় জয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ড্র করল ভারত Logo কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিলিং ফ্যান বিতরন Logo হাতপাখার প্রার্থী মানসুর আহমদ সাকী’র সাথে পূর্ব ফতেহপুর ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় Logo আ’লীগের আরও ১১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

অপরাধের তালিকা থেকে মন্ত্রী-এমপির পুত্রদেরও বাদ দেওয়া হচ্ছে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১০:২৩:৪৫ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২২ মে ২০১৭
  • ৭৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় নিতে হবে। সে কারণে অপরাধের তালিকা থেকে সংসদ সদস্যও বাদ যাচ্ছে না, এমনকি মন্ত্রীর ছেলেকেও বাদ দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এসময় তিনি রাজধানীর বনানীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলা তদন্তে পুলিশের ওপর কোনো ধরনের চাপ নেই বলেও মন্তব্য করেন

গতকাল রবিবার রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠান শেষে তিনি বলেন, বনানীর ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেভাবেই কাজ করছে। এই ঘটনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ বাহিনী সুন্দর ও স্বাধীনভাবে কাজ করছে। কোনো ধরনের চাপ বা অনুরোধ নেই তাদের কাছে।

গত ২৮ মার্চ বনানীতে দ্য রেইনট্রি হোটেলে বন্ধুর মাধ্যমে এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। এরপর অভিযুক্তরা ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রাখে।

যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, তাদের একজন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত আহমেদ। প্রাণনাশসহ বিভিন্ন হুমকি উপেক্ষা করে ঘটনার একমাসেরও বেশি দিন পর ওই দুই তরুণী ৪ মে বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করতে যান। তবে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে তাদেরকে হয়রানি করে বলে অভিযোগ ওঠার ৪৮ ঘণ্টা পর ৬ মে ওই অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয়।

গত ১১ মে সাফাত ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর দিন আদালতে তোলা হলে আদালত সাফাতকে ৬ দিন এবং সাদমান সাকিফকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ১৫ মে সাফাতের দেহরক্ষী রহমতকে গুলশান থেকে এবং ড্রাইভার বিল্লালকে নবাবপুর থেকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে রহমতকে ৩ দিন এবং বিল্লালকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আর ১৭ মে এ মামলার অন্যতম আসামি নাঈম আশরাফ ওরফে আব্দুল হালিমকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত

অপরাধের তালিকা থেকে মন্ত্রী-এমপির পুত্রদেরও বাদ দেওয়া হচ্ছে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:২৩:৪৫ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২২ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় নিতে হবে। সে কারণে অপরাধের তালিকা থেকে সংসদ সদস্যও বাদ যাচ্ছে না, এমনকি মন্ত্রীর ছেলেকেও বাদ দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এসময় তিনি রাজধানীর বনানীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলা তদন্তে পুলিশের ওপর কোনো ধরনের চাপ নেই বলেও মন্তব্য করেন

গতকাল রবিবার রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠান শেষে তিনি বলেন, বনানীর ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেভাবেই কাজ করছে। এই ঘটনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ বাহিনী সুন্দর ও স্বাধীনভাবে কাজ করছে। কোনো ধরনের চাপ বা অনুরোধ নেই তাদের কাছে।

গত ২৮ মার্চ বনানীতে দ্য রেইনট্রি হোটেলে বন্ধুর মাধ্যমে এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। এরপর অভিযুক্তরা ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রাখে।

যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, তাদের একজন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত আহমেদ। প্রাণনাশসহ বিভিন্ন হুমকি উপেক্ষা করে ঘটনার একমাসেরও বেশি দিন পর ওই দুই তরুণী ৪ মে বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করতে যান। তবে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে তাদেরকে হয়রানি করে বলে অভিযোগ ওঠার ৪৮ ঘণ্টা পর ৬ মে ওই অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয়।

গত ১১ মে সাফাত ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর দিন আদালতে তোলা হলে আদালত সাফাতকে ৬ দিন এবং সাদমান সাকিফকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ১৫ মে সাফাতের দেহরক্ষী রহমতকে গুলশান থেকে এবং ড্রাইভার বিল্লালকে নবাবপুর থেকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে রহমতকে ৩ দিন এবং বিল্লালকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আর ১৭ মে এ মামলার অন্যতম আসামি নাঈম আশরাফ ওরফে আব্দুল হালিমকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়।