নিউজ ডেস্ক:
ফ্রুট সালাদ, চিকেন সালাদ বা ঘরোয়া সালাদ। বাড়ির খাবার থেকে রেস্টুরেন্ট। বাঙালির এখন হট ফেভারিট সালাদ । কেউ খাচ্ছেন ওজন কমাতে। কেউ খাচ্ছেন পেট ভরাতে। কিন্তু স্যালাড মানেই হেলদি নয়। স্যালাড খেতে হবে সাবধানে।
বাঙালি মানেই ভূরিভোজ। কবজি ডুবিয়ে চেটেপুটে খাওয়া। লাঞ্চ হোক বা ডিনার, রসনাতৃপ্তির সব উপাদান মজুত। খাসির ঝোল-ভাত হোক বা পাতে চিংড়ির মালাইকারি। পাতের পাশে সালাদ না হলে চলে না। ওজন কমাতে বা পেট ভরাতে ফ্রুট স্যালাড বা চিকেন সালাদও বাঙালির পছন্দের তালিকায়। এই পছন্দেই লুকিয়ে রয়েছে বিপদ।
কখন খাব? কী খাব? কোন খাবারে স্বাস্থ্য ভাল থাকে? স্যালাড স্বাস্থ্যকর না অস্বাস্থ্যকর ? এসব প্রশ্নের উত্তরে চিকিৎসকরা বলছেন, খিদে না পেলেও খাওয়া উচিত। সবসময় খিদের জন্য অপেক্ষা করা উচিত নয়। খিদে পায়নি তাই খাইনি। এটা ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ, খিদে না পেলেও কিছু সময় পরে পরে কিছু খেয়ে নিলে শরীরের মেটাবলিজম ঠিকভাবে কাজ করে। যার ফলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা কমে। আর বেশি খেলেই কেউ মোটা হয় না। কম খেলেও হয়। আর এই খাওয়াটা কখনই শুধু সালাদ নয়। কারণ, খালি পেটে ফল কখনই উপকারি নয়। বরং ক্ষতি করে। খাবারের সঙ্গে সালাদ খাওয়া দরকারি। কিন্তু সব সময় এটা ঠিক নয়।
খুব তেলমশলা জাতীয় খাবারের সঙ্গে সালাদ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ, সালাদের সঙ্গে অনেক সময় মিষ্টি জাতীয় কিছু মেশানো হয়। এটা শরীরের পক্ষে খারাপ। সব খাবারের সঙ্গে সব রকম সালাদ খাওয়া যায় না। বিশেষ করে মাংস জাতীয় খাবারের সঙ্গে সালাদ খাওয়া মোটেই ঠিক নয়।
রেস্তোরাঁয় সালাদ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘক্ষণ কেটে রাখা হয়। এমন অনেক ব্যাকটেরিয়া এই সালাদে বেড়ে ওঠে, যাকে নষ্ট করা প্রায় অসম্ভব। এমনটাই দাবি খাদ্য বিশেষজ্ঞদের। ক্রিপটোস্পোরিডিয়াম, সালমোনেল্লা এবং লিস্টেরিয়া ব্যাকটেরিয়া শরীরের খুব ক্ষতি করে। ডায়েরিয়া, হজমের গন্ডগোল, গ্যাস, অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী এই জীবাণুগুলি।
ফল বেশিক্ষণ কেটে রাখা মানেই তার পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যাওয়া। সালাদ মানেই প্রতিদিস শরীরে অতিরিক্ত লবন ও প্রিজারভেটিভ ঢোকা। স্বাস্থ্যকর ডায়েট অপশন মানে হল প্রতিটা ফুড গ্রুপ থেকে খাবার খাওয়া।
শুধু সালাদের ওপর নির্ভর করে থাকলে পরিপূর্ণ মিল থেকে শরীর বঞ্চিত হবে। শুধুমাত্র লো ক্যালোরির জন্য এরকম আপস করা মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়। প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল থেকে বঞ্চিত হবে শরীর। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন B12 আর ভিটামিন D3-র অভাবে শরীরে দেখা দেবে নানা রোগ। বয়স বাড়লে নারীদের অস্টিওপোরেসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। থাইরয়েড, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের সমস্যা হতে পারে। হতে পারে অ্যানিমিয়াও। ত্বকের জেল্লা কমবে। পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ডায়েট কন্ট্রোলের জন্য লাঞ্চ বা ডিনার ছেড়ে সালাদের ওপর ভরসা করলে বাড়বে বিপদ।