নিউজ ডেস্ক:
আমরা সাধারণত তরমুজের রসালো মজ্জাটি খেয়ে খোসাটি ফেলে দেই। তবে জানেন কি, এই খোসাও ভক্ষণ উপযোগী। বস্তুত তরমুজের পুষ্টি মূল্যের ৯৫ শতাংশই এর খোসা থেকে পাওয়া যায়।
তরমুজের খোসা শরীরের জন্য নানাভাবে উপকারী। তরমুজের মাংসল অংশের মতোই এর খোসার বেশিরভাগ অংশই পানি দিয়ে গঠিত। উচ্চ ঘনত্বের পানি থাকার কারণে কিডনির কাজে সাহায্য করে এটি। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে হাইড্রেটেড থাকার কারণে আপনার রক্তচাপও কম থাকবে। তরমুজের খোসায় আরও থাকে ভিটামিন সি, বি ৬ এবং এ থাকে। আসুন জেনে নেই তরমুজের খোসার পুষ্টিগুণ।
১। ওজন কমতে সাহায্য করে
তরমুজের খোসার সাইট্রোলাইন ওজন কমতে সাহায্য করে এবং এর খোসায় যে ফাইবার থাকে তা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকতে সাহায্য করে।
২। মূত্রনালির সংক্রমণ নিরাময়ে সাহায্য করে
মূত্রনালীর সংক্রমণ নিরাময়ের জন্য তরমুজের খোসা অত্যন্ত কার্যকরী কারণ এর মূত্রবর্ধক এবং হাইড্রেটিং গুনাগুণ আছে। এজন্য ইউটিআই এর প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেয়া মাত্রই আপনার তরমুজের খোসার জুস পান করা শুরু করা উচিৎ।
৩। কিডনির পাথরকে ভাঙতে সাহায্য করে
তরমুজের খোসার পটাসিয়াম স্বাস্থ্যকর কিডনির জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান, যেহেতু এটি কিডনির এসিডের মাত্রার নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সাহায্য করে। তরমুজের খোসার পানি কিডনির পাথরকে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে।
৪। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
পানির উপস্থিতির কারণে তরমুজের খোসা খেলে রক্তচাপ কমে। এছাড়াও যদি আপনার নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থাকে তাহলে তরমুজের খোসা খেলে আপনার রক্ত সংবহন নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিক হবে।
৫। অ্যান্টিইনফ্লামেটরি গুণ আছে
তরমুজের খোসায় লাইকোপিন থাকে যা আরথ্রাইটিসের ব্যথার জন্য দায়ী ইনফ্লামেশন কমতে সাহায্য করে। তরমুজের খোসা বিটা ক্যারোটিনের ভালো উৎস যা চোখের জন্য ভালো।
৬। গর্ভাবস্থার উপসর্গ কমতে সাহায্য করে
গর্ভবতী নারীরা তরমুজের খোসা খেতে পারেন বুক জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য এবং গর্ভাবস্থার সাথে সম্পর্কিত যেকোন ফোলা কমানোর জন্য। তরমুজের খোসায় যে প্রাকৃতিক চিনি থাকে তা মর্নিং সিকনেস কমতে সাহায্য করে।
৭। অর্থনৈতিকভাবে স্মার্ট
তরমুজের সব অংশ খাওয়া শুধু আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয় বরং অর্থনৈতিকভাবেও অনেক সাশ্রয়ী।
সূত্র : প্রাকটো