শিরোনাম :
Logo বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর Logo ব্যানসন গ্ৰুপের কোনো ঘরবাড়ি থাকবে না; রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহী Logo নতুন পোপ নির্বাচিত হবে যেভাবে Logo শুল্কযুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রকে যে বার্তা দিলো চীন Logo পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo পারভেজ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo পঞ্চগড়ে ট্রাক মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেকানিক নিহত, আহত সহকারী Logo সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চাঁদপুর সওজ বিভাগ Logo জাবিতে বটতলাসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ওয়াশরুম স্থাপনের দাবি লাল সবুজের Logo যবিপ্রবিতে সক্রিয় তেল চুরির সিন্ডিকেট, হাতেনাতে ধরা

পেট ও হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষায় পাঁচ খাদ্য !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:২৩:২১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১ মে ২০১৭
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পেট ও হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি এক ধরনের যৌগ, যা প্রাকৃতিকভাবে কিছু ফল ও সবজিতে থাকে। টমেটোর লাইকোপেন, গাজরের বিটা ক্যারোটিন, চকলেটে ফ্ল্যাভানোলসের নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই। এগুলো বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অক্সিডেন্ট শরীরের কোষে যে ক্ষতি করে, তা ঠেকায় এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অক্সিডেন্ট হচ্ছে শরীরে তৈরি হওয়া মুক্ত কণা, যা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ঠেকাতে তৈরি হয়। এগুলোর সংখ্যা বেড়ে গেলে তা কোষের ক্ষতি করে।

হৃৎরোগ ও ক্যান্সারের মতো সমস্যা তৈরি হয়। দূষণ, ধূমপান ও মদ্যপানে অক্সিডেন্ট বাড়ে। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মধ্য ভারসাম্য রাখা জরুরি। শরীরে তৈরি হওয়া অক্সিডেন্টগুলো দ্রুত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টকে ছাড়িয়ে যায়। এ ভারসাম্য রাখতে শরীরে নিয়মিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ জরুরি। বাইরে থেকে আসা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মান ভালো থাকা দরকার। ভালো মানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত খাবার খেলে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে ও পেট ভালো থাকে। এতে জীবনের দৈর্ঘ্য বাড়ে।

ভালো মানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত পাঁচ খাবার সম্পর্কে জেনে নিন :

১.টমেটো
রসালো টমেটোর মধ্য থাকে তিন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। লাইকোপেন, ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ। ফল ও সবজি থাকা আসা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ভিটামিন সি। রান্না করা টমেটোর লাইকোপেন শরীরে শোষিত হয় বেশি।

২.ব্রকলি
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্যান্সার-প্রতিরোধী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে আলোচিত ব্রকলি। এতে রয়েছে ক্যারোটিনয়েডস লুটেন, জিয়াক্সথিন ও বিটা ক্যারোটিন। এটি সেদ্ধ করে খেলে বেশি উপকার।

৩.বার্লি
বহু বছরের পুরোনো এই শস্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে আবার আলোচনায়। এতে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তা শরীরে শক্তি জোগায়। বার্লি যখন ভেজানোর পর অঙ্কুরোদ্গম হয়, তখন এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়ে।

৪.কিশমিশ
যদি ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চান, তবে এক মুঠ কিশমিশ খান। কালো কিশমিশে অ্যান্থোসায়ানিনস নামে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস থাকে, তা শরীরে শক্তি জোগায়। সকালে নাশতা হিসেবে ওটের সঙ্গে মিশিয়ে কিংবা সালাদে বা জুসে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারেন। আঙুরের চেয়ে তিনগুণ বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিশমিশে।

৫.কিডনি বীন
সাদা, লাল কিংবা কিডনি শিমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর। এতে মাংসপেশি গঠন উপযোগী প্রোটিন থাকে, কিন্তু কোনো কোলেস্টেরল থাকে না। সালাদ, স্যান্ডউইচে এটি খাওয়া যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর

পেট ও হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষায় পাঁচ খাদ্য !

আপডেট সময় : ০৬:২৩:২১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

পেট ও হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি এক ধরনের যৌগ, যা প্রাকৃতিকভাবে কিছু ফল ও সবজিতে থাকে। টমেটোর লাইকোপেন, গাজরের বিটা ক্যারোটিন, চকলেটে ফ্ল্যাভানোলসের নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই। এগুলো বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অক্সিডেন্ট শরীরের কোষে যে ক্ষতি করে, তা ঠেকায় এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অক্সিডেন্ট হচ্ছে শরীরে তৈরি হওয়া মুক্ত কণা, যা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ঠেকাতে তৈরি হয়। এগুলোর সংখ্যা বেড়ে গেলে তা কোষের ক্ষতি করে।

হৃৎরোগ ও ক্যান্সারের মতো সমস্যা তৈরি হয়। দূষণ, ধূমপান ও মদ্যপানে অক্সিডেন্ট বাড়ে। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মধ্য ভারসাম্য রাখা জরুরি। শরীরে তৈরি হওয়া অক্সিডেন্টগুলো দ্রুত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টকে ছাড়িয়ে যায়। এ ভারসাম্য রাখতে শরীরে নিয়মিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ জরুরি। বাইরে থেকে আসা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মান ভালো থাকা দরকার। ভালো মানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত খাবার খেলে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে ও পেট ভালো থাকে। এতে জীবনের দৈর্ঘ্য বাড়ে।

ভালো মানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত পাঁচ খাবার সম্পর্কে জেনে নিন :

১.টমেটো
রসালো টমেটোর মধ্য থাকে তিন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। লাইকোপেন, ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ। ফল ও সবজি থাকা আসা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ভিটামিন সি। রান্না করা টমেটোর লাইকোপেন শরীরে শোষিত হয় বেশি।

২.ব্রকলি
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্যান্সার-প্রতিরোধী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে আলোচিত ব্রকলি। এতে রয়েছে ক্যারোটিনয়েডস লুটেন, জিয়াক্সথিন ও বিটা ক্যারোটিন। এটি সেদ্ধ করে খেলে বেশি উপকার।

৩.বার্লি
বহু বছরের পুরোনো এই শস্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে আবার আলোচনায়। এতে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তা শরীরে শক্তি জোগায়। বার্লি যখন ভেজানোর পর অঙ্কুরোদ্গম হয়, তখন এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়ে।

৪.কিশমিশ
যদি ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চান, তবে এক মুঠ কিশমিশ খান। কালো কিশমিশে অ্যান্থোসায়ানিনস নামে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস থাকে, তা শরীরে শক্তি জোগায়। সকালে নাশতা হিসেবে ওটের সঙ্গে মিশিয়ে কিংবা সালাদে বা জুসে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারেন। আঙুরের চেয়ে তিনগুণ বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিশমিশে।

৫.কিডনি বীন
সাদা, লাল কিংবা কিডনি শিমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর। এতে মাংসপেশি গঠন উপযোগী প্রোটিন থাকে, কিন্তু কোনো কোলেস্টেরল থাকে না। সালাদ, স্যান্ডউইচে এটি খাওয়া যায়।