শিরোনাম :
Logo ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে শোক দিবস পালন Logo বেরোবিতে শহিদ আবু সাঈদ মিউজিয়াম গেইট ও চত্বরের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন Logo ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ায় আহত ১৬ Logo কিশোর অপরাধ দমনে চাঁদপুর জেলা পুলিশের কঠোর অবস্থান কিশোর অপরাধের ভয়াবহ পরিণতি উপলব্ধি করতে পারেন কেবল ভুক্তভোগী পিতা-মাতা ………….মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম Logo ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চাঁদপুর-২ আসনে)” এমপি প্রার্থী মুফতী মানসুর আহমদ সাকী Logo রাজশাহীর বাগমারায় বজ্রপাতে যুবক নিহত Logo মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীসহ রাজশাহীতে ২০ জন আটক Logo কয়রায় জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo রাকসুর তফসিল আদায়ে দ্রুত মাঠে নামার ঘোষণা রাবি ছাত্রশিবির সভাপতির Logo ইসলামী ব্যাংকগুলো শরিয়া অনুসরণ করলে তাদের এ দুর্দশা হতো না

যে পাঁচ কারণে অসাধারণ আমাদের মস্তিষ্ক !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:৫২:৪১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মানুষের দেহের সবচেয়ে জরুরি এবং অধিক কার্যকারী অঙ্গ হচ্ছে মস্তিষ্ক। তবে আমাদের মস্তিষ্ক এককথায় অসাধারণ মূলত পাঁচটি কারণে। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে সেই পাঁচ কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

১. মানব মস্তিষ্ক তড়িৎ পরিবহন করে

হাঁটাচলাসহ শরীরে বিভিন্ন ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে আপনার মস্তিষ্কের কোষ বা নিউরন, রাসায়নিক এবং বৈদ্যুতিক সংকেত প্রেরণ করে। যখন আপনার চারপাশ থেকে তথ্য আহরণ ও সেটা বিশ্লেষণ হয় মস্তিষ্কে, তখনই এই সংকেতগুলো তৈরি হয়।

২. এই অঙ্গটি তথ্যের জন্য মহাসড়কের মতো

আগেই আমরা জেনেছি মস্তিস্কে রাসায়নিক ও বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি হয়। আর এই সংকেতগুলো একটি কোষ থেকে অপর কোষে ‘হট পটেটো’ গেমের মতোই স্থানান্তরিত হয়। আপনি জেনে হয়তো অবাক হবেন এই সংকেতগুচ্ছ ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার বেগের মতো অকল্পনীয় গতিতে এক কোষ থেকে অন্য কোষে স্থানান্তরিত হয়।

৩. মস্তিষ্কে গাদাগাদি অনেক কিছু

আপনার মস্তিষ্কের ওজন যদি হিসেব করা হয়, তা হলে খুব বেশি হলে তিন পাউন্ড হবে। কিন্তু তিন পাউন্ডের এই অঙ্গে প্রায় ৪০০ মাইলের মতো দীর্ঘ রক্তের শিরা-উপশিরা, ১০০ বিলিয়নের মতো কোষ, এবং প্রায় এক ট্রিলিয়নের মতো গিলাল কোষ (এক বিশেষ ধরনের কোষ যা মস্তিষ্ককে রক্ষা করে এবং তা অন্য কোষকেও সাহায্য করে) রয়েছে।

৪. মস্তিষ্ক সর্বদা চিন্তাশীল

আমাদের মগজ সপ্তাহে সাতদিন, চব্বিশ ঘণ্টাই সচল থাকে। আর আপনি জেগে থাকুন বা ঘুমিয়ে, আপনার এই অঙ্গটি কিন্তু সারাক্ষণই কাজ করে যাচ্ছে, কাজ মানে চিন্তাভাবনা করা। সঠিকভাবে সংখ্যাটা না জানা গেলেও গবেষকদের ধারণা প্রতিদিন একটি মস্তিষ্ক প্রায় ৭০ হাজার চিন্তা করে।

৫. প্রয়োজনে মস্তিষ্ক বৃদ্ধি পায়

কিছু কার্যক্রম যেমন কোনো নতুন ভাষা শেখা, ব্যায়াম এবং বিভিন্ন বুদ্ধিভিত্তিক কৌশল আপনার মস্তিষ্ক নামক গ্রে-ম্যাটার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। আর আপনার এই বৃদ্ধি পাওয়া কোষগুলোই আপনি যে নতুন জিনিস শিখছেন তা প্রক্রিয়াকরণ করতে সহায়য়তা করবে। গবেষকরা মনে করেন আপনার মস্তিষ্ক যত বেশি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত কোষ থাকবে তত দ্রুত আপনি কাজ করতে পারবেন।
সুত্রঃ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কিডস।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে শোক দিবস পালন

যে পাঁচ কারণে অসাধারণ আমাদের মস্তিষ্ক !

আপডেট সময় : ০১:৫২:৪১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মানুষের দেহের সবচেয়ে জরুরি এবং অধিক কার্যকারী অঙ্গ হচ্ছে মস্তিষ্ক। তবে আমাদের মস্তিষ্ক এককথায় অসাধারণ মূলত পাঁচটি কারণে। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে সেই পাঁচ কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

১. মানব মস্তিষ্ক তড়িৎ পরিবহন করে

হাঁটাচলাসহ শরীরে বিভিন্ন ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে আপনার মস্তিষ্কের কোষ বা নিউরন, রাসায়নিক এবং বৈদ্যুতিক সংকেত প্রেরণ করে। যখন আপনার চারপাশ থেকে তথ্য আহরণ ও সেটা বিশ্লেষণ হয় মস্তিষ্কে, তখনই এই সংকেতগুলো তৈরি হয়।

২. এই অঙ্গটি তথ্যের জন্য মহাসড়কের মতো

আগেই আমরা জেনেছি মস্তিস্কে রাসায়নিক ও বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি হয়। আর এই সংকেতগুলো একটি কোষ থেকে অপর কোষে ‘হট পটেটো’ গেমের মতোই স্থানান্তরিত হয়। আপনি জেনে হয়তো অবাক হবেন এই সংকেতগুচ্ছ ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার বেগের মতো অকল্পনীয় গতিতে এক কোষ থেকে অন্য কোষে স্থানান্তরিত হয়।

৩. মস্তিষ্কে গাদাগাদি অনেক কিছু

আপনার মস্তিষ্কের ওজন যদি হিসেব করা হয়, তা হলে খুব বেশি হলে তিন পাউন্ড হবে। কিন্তু তিন পাউন্ডের এই অঙ্গে প্রায় ৪০০ মাইলের মতো দীর্ঘ রক্তের শিরা-উপশিরা, ১০০ বিলিয়নের মতো কোষ, এবং প্রায় এক ট্রিলিয়নের মতো গিলাল কোষ (এক বিশেষ ধরনের কোষ যা মস্তিষ্ককে রক্ষা করে এবং তা অন্য কোষকেও সাহায্য করে) রয়েছে।

৪. মস্তিষ্ক সর্বদা চিন্তাশীল

আমাদের মগজ সপ্তাহে সাতদিন, চব্বিশ ঘণ্টাই সচল থাকে। আর আপনি জেগে থাকুন বা ঘুমিয়ে, আপনার এই অঙ্গটি কিন্তু সারাক্ষণই কাজ করে যাচ্ছে, কাজ মানে চিন্তাভাবনা করা। সঠিকভাবে সংখ্যাটা না জানা গেলেও গবেষকদের ধারণা প্রতিদিন একটি মস্তিষ্ক প্রায় ৭০ হাজার চিন্তা করে।

৫. প্রয়োজনে মস্তিষ্ক বৃদ্ধি পায়

কিছু কার্যক্রম যেমন কোনো নতুন ভাষা শেখা, ব্যায়াম এবং বিভিন্ন বুদ্ধিভিত্তিক কৌশল আপনার মস্তিষ্ক নামক গ্রে-ম্যাটার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। আর আপনার এই বৃদ্ধি পাওয়া কোষগুলোই আপনি যে নতুন জিনিস শিখছেন তা প্রক্রিয়াকরণ করতে সহায়য়তা করবে। গবেষকরা মনে করেন আপনার মস্তিষ্ক যত বেশি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত কোষ থাকবে তত দ্রুত আপনি কাজ করতে পারবেন।
সুত্রঃ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কিডস।