শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

বায়ু দূষণ প্রতিরোধের গবেষণায় কবুতর ব্যবহার !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:২৭:১৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৬০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

দিন দিন বায়ুতে দূষণের মাত্রা বাড়ছে। ফলে বাড়ছে ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং নানা ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগের ঝুঁকি। বায়ু দূষণের শিকার হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লাখ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।

বায়ু দূষণের জন্য দায়ী কিছু গ্যাস ও কণা। কণা বড় হলে সেটি নাকের ভেতর আটকে যায় কিন্তু খুবই সূক্ষ্ম কণা ঢুকে যায় মস্তিষ্কে স্নায়ুর ভেতরে। এসব কণা মস্তিষ্কের বিভিন্ন কোষের মধ্যে সংযোগ নষ্ট করে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রম ঘটাতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, দূষিত বায়ু থেকে মানবজীবনের যে ঝুঁকি সেটা এইডস বা ইবোলার ঝুঁকির থেকেও মারাত্মক। পৃথিবীর ৯০ শতাংশ মানুষ যে বায়ুতে নিঃশ্বাস নিচ্ছে তাতে দূষণের মাত্রা স্বাস্থ্য সংস্থাটির বেঁধে দেয়া মাত্রার থেকেও বেশি।

সেই বায়ু দূষণ প্রতিরোধে ব্যবহার করা হচ্ছে কবুতর। কবুতরের সাহায্যে দেখার চেষ্টা চলছে, বায়ু দূষণ শহরে কিভাবে ছড়িয়ে পড়ে? যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, গাড়ির ইঞ্জিন থেকে যে বায়ু দূষণের ঘটনা ঘটে সেটা বাড়ির ছাদ পর্যন্ত উঁচুতে চলে যায়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখন জানতে চেষ্টা করছেন এরপর এই দূষণ-কণার কি হয়। এজন্য তারা কিছু কবুতরকে নিয়োগ দিয়েছেন যারা খুঁজে বের করবে দূষিত এই বায়ু যখন আকাশে চলে যায় তখন এর কি পরিণতি হয়?

এসব পাখির গায়ে বিজ্ঞানীরা ক্ষুদ্র আকারের সেন্সর ফিতে দিয়ে বেঁধে দিয়েছেন। ফলে এসব কবুতর যেখানেই উড়ে যাবে সেখান থেকেই বায়ু দূষণের তথ্য রেকর্ড করতে পারবে। ওই তথ্য থেকে বোঝা যাবে সেখানকার বায়ু কতটা উষ্ণ বা ঠান্ডা।

আমাদের আশপাশে কত কবুতরকে দেখি। বাড়ির ছাদে, কার্নিশে, রাস্তায়। খাবারের খোঁজে সারাক্ষণই দৌড়ে বেড়াচ্ছে। যুক্তরাজ্যে বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এখন এই পাখিটিকেই কাজে লাগাচ্ছেন বায়ু দূষণ বিষয়ে তাদের গবেষণায়।

প্রথমে বিজ্ঞানীরা একটু নার্ভাস ছিলেন। তারপরেও কিছু কবুতরের পাখায় ক্যামেরাসহ সেন্সর বেঁধে দিয়ে উড়িয়ে দিলেন আকাশে। কিছুক্ষণ পর একসময় তারাও ফিরেও এলো বাড়িতে। সেন্সরগুলোর গায়ে তখনও বাতি জ্বলছে। এই সেন্সর থেকে বিজ্ঞানী রিক টমাস দেখতে পেলেন কবুতরটি কোন কোন পথ ধরে উড়ে গিয়েছিল। ওই পথে কত ছিল বায়ুর তাপমাত্রা। এসব তথ্য থেকে বিজ্ঞানীরা এখন জানতে পারবেন বড় শহরের শহরে বায়ু দূষণ কিভাবে ছড়ায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট

বায়ু দূষণ প্রতিরোধের গবেষণায় কবুতর ব্যবহার !

আপডেট সময় : ০৬:২৭:১৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

দিন দিন বায়ুতে দূষণের মাত্রা বাড়ছে। ফলে বাড়ছে ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং নানা ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগের ঝুঁকি। বায়ু দূষণের শিকার হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লাখ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।

বায়ু দূষণের জন্য দায়ী কিছু গ্যাস ও কণা। কণা বড় হলে সেটি নাকের ভেতর আটকে যায় কিন্তু খুবই সূক্ষ্ম কণা ঢুকে যায় মস্তিষ্কে স্নায়ুর ভেতরে। এসব কণা মস্তিষ্কের বিভিন্ন কোষের মধ্যে সংযোগ নষ্ট করে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রম ঘটাতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, দূষিত বায়ু থেকে মানবজীবনের যে ঝুঁকি সেটা এইডস বা ইবোলার ঝুঁকির থেকেও মারাত্মক। পৃথিবীর ৯০ শতাংশ মানুষ যে বায়ুতে নিঃশ্বাস নিচ্ছে তাতে দূষণের মাত্রা স্বাস্থ্য সংস্থাটির বেঁধে দেয়া মাত্রার থেকেও বেশি।

সেই বায়ু দূষণ প্রতিরোধে ব্যবহার করা হচ্ছে কবুতর। কবুতরের সাহায্যে দেখার চেষ্টা চলছে, বায়ু দূষণ শহরে কিভাবে ছড়িয়ে পড়ে? যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, গাড়ির ইঞ্জিন থেকে যে বায়ু দূষণের ঘটনা ঘটে সেটা বাড়ির ছাদ পর্যন্ত উঁচুতে চলে যায়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখন জানতে চেষ্টা করছেন এরপর এই দূষণ-কণার কি হয়। এজন্য তারা কিছু কবুতরকে নিয়োগ দিয়েছেন যারা খুঁজে বের করবে দূষিত এই বায়ু যখন আকাশে চলে যায় তখন এর কি পরিণতি হয়?

এসব পাখির গায়ে বিজ্ঞানীরা ক্ষুদ্র আকারের সেন্সর ফিতে দিয়ে বেঁধে দিয়েছেন। ফলে এসব কবুতর যেখানেই উড়ে যাবে সেখান থেকেই বায়ু দূষণের তথ্য রেকর্ড করতে পারবে। ওই তথ্য থেকে বোঝা যাবে সেখানকার বায়ু কতটা উষ্ণ বা ঠান্ডা।

আমাদের আশপাশে কত কবুতরকে দেখি। বাড়ির ছাদে, কার্নিশে, রাস্তায়। খাবারের খোঁজে সারাক্ষণই দৌড়ে বেড়াচ্ছে। যুক্তরাজ্যে বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এখন এই পাখিটিকেই কাজে লাগাচ্ছেন বায়ু দূষণ বিষয়ে তাদের গবেষণায়।

প্রথমে বিজ্ঞানীরা একটু নার্ভাস ছিলেন। তারপরেও কিছু কবুতরের পাখায় ক্যামেরাসহ সেন্সর বেঁধে দিয়ে উড়িয়ে দিলেন আকাশে। কিছুক্ষণ পর একসময় তারাও ফিরেও এলো বাড়িতে। সেন্সরগুলোর গায়ে তখনও বাতি জ্বলছে। এই সেন্সর থেকে বিজ্ঞানী রিক টমাস দেখতে পেলেন কবুতরটি কোন কোন পথ ধরে উড়ে গিয়েছিল। ওই পথে কত ছিল বায়ুর তাপমাত্রা। এসব তথ্য থেকে বিজ্ঞানীরা এখন জানতে পারবেন বড় শহরের শহরে বায়ু দূষণ কিভাবে ছড়ায়।