শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

রোদ পোড়ার ক্ষতি এড়াতে ঘরোয়া উপায় !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৪৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৮৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

সকালের মিষ্টি রোদটা শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি করে। এর বাইরে বেলা গড়ালেই রোদ মানে ক্ষতিকর অতি বেগুনী রশ্মি। ত্বকে কালো কালো ছোপ। মেছতা পড়া। ত্বকে ক্যান্সারের ঝুঁকি। চামড়া কুঁচকে অকালে বুড়িয়ে যাওয়া। আরও নানা সমস্যা। এজন্য রোদে বের হওয়ার আগে ভালো সানস্ক্রিন ও সানগ্লাস ব্যবহার করতে পরামর্শ দেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। তবে ভালো সানস্ক্রিনের দামও নেহাত কম নয়। আবার অনেকের এ ধরণের রাসায়নিক উপাদানে তৈরি সানস্ক্রিন ক্রিমে অ্যালার্জির সমস্যা হয়। সবসময় মনেও থাকে না এগুলো ব্যবহার করতে। তারা রোদে পোড়া ত্বকের ক্ষতি কমাতে ব্যবহার করতে পারেন ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি। রান্নাঘর থেকেই পেয়ে যাবেন এর উপকরণ।

লেবু আর শসা— ‘ব্লিচিং এজেন্ট’ হিসেবে দু’য়েরই জুড়ি মেলা ভার। এক টেবিলচামচ করে শসার রস, লেবুর রস আর গোলাপজল মিশিয়ে নিন একটা বাটিতে। তুলো দিয়ে কালো ছোপ-ধরা জায়গাগুলোয় লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে নিন। প্রতিদিন রোদ থেকে ফিরে যদি এই ফেস প্যাক লাগান, উপকার পাবেন।

ত্বক ঝকঝকে করতে কাঁচা হলুদ বাটা লাগানোর প্রথা নতুন কিছু নয়। দু’টেবিলচামচ বেসনের সঙ্গে এক চিমটি কাঁচা হলুদ মিশিয়ে নিন। তার সঙ্গে মেশান এক টেবিলচামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো, এক টেবিলচামচ দুধ আর সামান্য গোলাপজল। ভাল করে মিশিয়ে পরিষ্কার ত্বকে লাগিয়ে নিন এই ফেস প্যাক। মিনিট ২০ রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে একটু গোলাপজল ছিটিয়ে নেবেন। ২০ মিনিট পর আস্তে আস্তে স্ক্রাব করে তুলে ফেলুল প্যাকটা। প্রথমে ঘড়ির কাঁটার দিকে স্ক্রাব করবেন। তারপর উল্টোদিকে। একদিন অন্তর এই প্যাক ব্যবহার করুন।

সান-ট্যান তুলতে কাজে আসে অ্যালোভেরা এবং মুসুর ডাল। ২০ মিনিট মুসুর ডাল ভিজিয়ে রেখে পেস্ট করে নিন। টাটকা অ্যালোভেরা জেল আর এক টেবিলচামচ টমেটোর শাঁসের সঙ্গে ডালটা মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের আর্দ্রতা জোগাতে এবং কালো ছোপ সরাতে গুঁড়ো দুধও উপকারী। দু’টেবিলচামচ গুঁড়ো দুধের সঙ্গে এক টেবিলচামচ মধু এবং কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।

ট্যান তোলার আরেকটা খুব সহজলভ্য উপকরণ হল আলু। খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নিন। তারপর ব্লেন্ড করে ফেলুন ভালমতো। এবার কালো ছোপ-ধরা জায়গাগুলোয় আধাঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। নিয়মিত লাগালে কালো ছোপ মিলিয়ে যাবে।

হাতে-পায়ে কালো ছোপ ধরলে এই প্যাকটা লাগাতে পারেন। চন্দনের গুড়া, টমেটো আর শসা থেঁতো এবং লেবুর রস নিন এক টেবিলচামচ করে। একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। ১৫ মিনিট হাতে-পায়ে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বক হলে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নেবেন এর পরে। নিয়মিত এই প্যাক লাগালে ফল পাবেন।

পেঁপেও কালো ছোপ তোলার ক্ষেত্রে কার্যকরী। স্রেফ কয়েক টুকরো পেঁপে থেতো করে নিন। তার সঙ্গে মেশান কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। এবার ভাল করে লাগিয়ে নিন হাতে আর পায়ে। ২০/২৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ব্যস!

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

রোদ পোড়ার ক্ষতি এড়াতে ঘরোয়া উপায় !

আপডেট সময় : ১১:৪৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

সকালের মিষ্টি রোদটা শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি করে। এর বাইরে বেলা গড়ালেই রোদ মানে ক্ষতিকর অতি বেগুনী রশ্মি। ত্বকে কালো কালো ছোপ। মেছতা পড়া। ত্বকে ক্যান্সারের ঝুঁকি। চামড়া কুঁচকে অকালে বুড়িয়ে যাওয়া। আরও নানা সমস্যা। এজন্য রোদে বের হওয়ার আগে ভালো সানস্ক্রিন ও সানগ্লাস ব্যবহার করতে পরামর্শ দেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। তবে ভালো সানস্ক্রিনের দামও নেহাত কম নয়। আবার অনেকের এ ধরণের রাসায়নিক উপাদানে তৈরি সানস্ক্রিন ক্রিমে অ্যালার্জির সমস্যা হয়। সবসময় মনেও থাকে না এগুলো ব্যবহার করতে। তারা রোদে পোড়া ত্বকের ক্ষতি কমাতে ব্যবহার করতে পারেন ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি। রান্নাঘর থেকেই পেয়ে যাবেন এর উপকরণ।

লেবু আর শসা— ‘ব্লিচিং এজেন্ট’ হিসেবে দু’য়েরই জুড়ি মেলা ভার। এক টেবিলচামচ করে শসার রস, লেবুর রস আর গোলাপজল মিশিয়ে নিন একটা বাটিতে। তুলো দিয়ে কালো ছোপ-ধরা জায়গাগুলোয় লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে নিন। প্রতিদিন রোদ থেকে ফিরে যদি এই ফেস প্যাক লাগান, উপকার পাবেন।

ত্বক ঝকঝকে করতে কাঁচা হলুদ বাটা লাগানোর প্রথা নতুন কিছু নয়। দু’টেবিলচামচ বেসনের সঙ্গে এক চিমটি কাঁচা হলুদ মিশিয়ে নিন। তার সঙ্গে মেশান এক টেবিলচামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো, এক টেবিলচামচ দুধ আর সামান্য গোলাপজল। ভাল করে মিশিয়ে পরিষ্কার ত্বকে লাগিয়ে নিন এই ফেস প্যাক। মিনিট ২০ রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে একটু গোলাপজল ছিটিয়ে নেবেন। ২০ মিনিট পর আস্তে আস্তে স্ক্রাব করে তুলে ফেলুল প্যাকটা। প্রথমে ঘড়ির কাঁটার দিকে স্ক্রাব করবেন। তারপর উল্টোদিকে। একদিন অন্তর এই প্যাক ব্যবহার করুন।

সান-ট্যান তুলতে কাজে আসে অ্যালোভেরা এবং মুসুর ডাল। ২০ মিনিট মুসুর ডাল ভিজিয়ে রেখে পেস্ট করে নিন। টাটকা অ্যালোভেরা জেল আর এক টেবিলচামচ টমেটোর শাঁসের সঙ্গে ডালটা মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের আর্দ্রতা জোগাতে এবং কালো ছোপ সরাতে গুঁড়ো দুধও উপকারী। দু’টেবিলচামচ গুঁড়ো দুধের সঙ্গে এক টেবিলচামচ মধু এবং কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।

ট্যান তোলার আরেকটা খুব সহজলভ্য উপকরণ হল আলু। খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নিন। তারপর ব্লেন্ড করে ফেলুন ভালমতো। এবার কালো ছোপ-ধরা জায়গাগুলোয় আধাঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। নিয়মিত লাগালে কালো ছোপ মিলিয়ে যাবে।

হাতে-পায়ে কালো ছোপ ধরলে এই প্যাকটা লাগাতে পারেন। চন্দনের গুড়া, টমেটো আর শসা থেঁতো এবং লেবুর রস নিন এক টেবিলচামচ করে। একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। ১৫ মিনিট হাতে-পায়ে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বক হলে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নেবেন এর পরে। নিয়মিত এই প্যাক লাগালে ফল পাবেন।

পেঁপেও কালো ছোপ তোলার ক্ষেত্রে কার্যকরী। স্রেফ কয়েক টুকরো পেঁপে থেতো করে নিন। তার সঙ্গে মেশান কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। এবার ভাল করে লাগিয়ে নিন হাতে আর পায়ে। ২০/২৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ব্যস!