শিরোনাম :
Logo ইবিতে সাজিদ হত্যা তদন্তে সন্দেহভাজন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান  Logo সিরাক-বাংলাদেশের উদ্যোগে চাঁদপুরে স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo স্টারমারের সফরে ইউরোফাইটার ক্রয় চুক্তিতে নজর তুরস্কের Logo বিলিয়নিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নতুন সরকার গঠনের দায়িত্ব দিলেন চেক প্রেসিডেন্ট Logo চাঁদপুরে কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo সিরাজগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে যুব সমাজের মানববন্ধন! Logo ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দল নিয়ে জোট করবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন Logo চাঁদপুরে যমুনা প্রিন্টিং হাউজের উদ্বোধন উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ! Logo বিদায় বেলায় ৩ শতা‌ধিক শিক্ষার্থীদের খাবার প‌রি‌বেশন কর‌লেন শিক্ষক ঝুমকা রানী দাস। Logo তাড়াশে জমি দখল ও নকশা লঙ্ঘন করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ!

তাড়াশে জমি দখল ও নকশা লঙ্ঘন করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ!

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে পৈতৃক সম্পত্তি দখল ও সীমানা লঙ্ঘন করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দা সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি মো. মুরাদ হোসেন এ ঘটনায় তাড়াশ পৌরসভার প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার পিতা মরহুম মোবারক হোসেনের বৈধ উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমিটি তাড়াশ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত।

মুরাদ হোসেন অভিযোগ করেন, বিগত সরকারের সময়ে তৎকালীন পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক (আহ্বায়ক, তাড়াশ পৌর আওয়ামী লীগ) ও ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামীম সরকার (সদস্য, তাড়াশ পৌর আওয়ামী লীগ) রাজনৈতিক প্রভাব ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে স্থানীয় ব্যক্তি সাব্বির হোসেনের কাছে তার প্রায় ২ শতাংশ পৈতৃক জমি অবৈধভাবে দখল করিয়ে দেন।

বর্তমানে সাব্বির হোসেন পৌরসভার অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মাণ করছেন। তবে অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি অনুমোদিত নকশা অনুসরণ না করে সীমানা লঙ্ঘন করে পুরো জায়গা জুড়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন, যা পৌর ভবন নির্মাণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এ বিষয়ে মো. মুরাদ হোসেন বলেন, আমার পৈতৃক সম্পত্তির অংশ জবরদখল করে সাব্বির হোসেন সীমানা না মেনে ভবন নির্মাণ করছেন। এতে আমার বৈধ মালিকানাধীন জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, পৌর কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকি না থাকায় অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও নকশা অনুযায়ী নির্মাণ কাজ হচ্ছে না।
অভিযোগে তিনি অবৈধ নির্মাণকাজ অবিলম্বে বন্ধ করা, ঘটনাস্থলে সরেজমিন তদন্ত, জমির প্রকৃত সীমানা যাচাই ও তাঁর বৈধ দখল পুনঃপ্রদানের দাবি জানিয়েছেন।

একইসঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পৌর আইন ও দণ্ডবিধি অনুযায়ী প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাব্বির হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে সাজিদ হত্যা তদন্তে সন্দেহভাজন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান 

তাড়াশে জমি দখল ও নকশা লঙ্ঘন করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ!

আপডেট সময় : ০৭:০২:০৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে পৈতৃক সম্পত্তি দখল ও সীমানা লঙ্ঘন করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দা সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি মো. মুরাদ হোসেন এ ঘটনায় তাড়াশ পৌরসভার প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার পিতা মরহুম মোবারক হোসেনের বৈধ উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমিটি তাড়াশ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত।

মুরাদ হোসেন অভিযোগ করেন, বিগত সরকারের সময়ে তৎকালীন পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক (আহ্বায়ক, তাড়াশ পৌর আওয়ামী লীগ) ও ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামীম সরকার (সদস্য, তাড়াশ পৌর আওয়ামী লীগ) রাজনৈতিক প্রভাব ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে স্থানীয় ব্যক্তি সাব্বির হোসেনের কাছে তার প্রায় ২ শতাংশ পৈতৃক জমি অবৈধভাবে দখল করিয়ে দেন।

বর্তমানে সাব্বির হোসেন পৌরসভার অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মাণ করছেন। তবে অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি অনুমোদিত নকশা অনুসরণ না করে সীমানা লঙ্ঘন করে পুরো জায়গা জুড়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন, যা পৌর ভবন নির্মাণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এ বিষয়ে মো. মুরাদ হোসেন বলেন, আমার পৈতৃক সম্পত্তির অংশ জবরদখল করে সাব্বির হোসেন সীমানা না মেনে ভবন নির্মাণ করছেন। এতে আমার বৈধ মালিকানাধীন জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, পৌর কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকি না থাকায় অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও নকশা অনুযায়ী নির্মাণ কাজ হচ্ছে না।
অভিযোগে তিনি অবৈধ নির্মাণকাজ অবিলম্বে বন্ধ করা, ঘটনাস্থলে সরেজমিন তদন্ত, জমির প্রকৃত সীমানা যাচাই ও তাঁর বৈধ দখল পুনঃপ্রদানের দাবি জানিয়েছেন।

একইসঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পৌর আইন ও দণ্ডবিধি অনুযায়ী প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাব্বির হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি।