নিউজ ডেস্ক:
সকাল বেলার খাবার সবথেকে ভাল হওয়া চাই কারণ আমাদের সকালের খাবার আমাদের সারাদিনের জন্য শরীরকে তৈরি করে। এ ভিত্তিতেই সকাল বেলায় চা খাওয়ার অভ্যেস আছে অনেকের যাতে করে সারাদিন সতেজভাবে কাজ করা যায়। অনেকের সারাদিন এক কাপ চা না খেলে শরীর ঝিম ঝিম লাগে । তাই দিনভর সতেজ থাকার জন্য রোজ সকালে চাই এক চাপ চা । আর এই চায়ে আবার এতো দুধ , চিনি , ক্রিম দেয়া যা দৈনিক খেয়ে খেয়ে মোটাও হয়ে যাচ্ছেন । তাছাড়া সকালে এতো তাড়াহুড়ার মাঝে এতো সময় নিয়ে চা তৈরি করাটাও তো ঝামেলা, এতো ঝামেলা না করে সকালে চায়ের বদলে একটি আপেল খেয়ে নিন । তবে সারা দিন খুবই তরতাজা কাটবে।
ক্যাফেইন : ঘুমালে শরীরের তাপমাত্রা ও রক্তচাপ কমে যায়। এই অবস্থা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে মোটামোটি কিছুটা সময় লাগে। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠার পড় প্রায় অনেকক্ষণ আলসেমি লাগে। শরীরকে এক কাপ গরম চা চাঙ্গা করে দেয়। এক কাপ চায়ের ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পায় এবং রক্ত চাপ কিছুটা বাড়িয়ে তরতাজা অনুভব করতে সাহায্য করে।
আপেলে কোনো ধরনের ক্যাফেইন থাকে না। তবে আপেলে আছে ফ্রুকটোজ নামের একধরনের চিনি যা আরো কিছু ফল ও মধুতেও পাওয়া যায়। এছাড়াও আপেলের উপরের লাল আবরণে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার আছে। আপেল খেলে চা- কফি পানের মত সঙ্গে সঙ্গে সতেজ লাগে না। তবে আপেল খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আস্তে আস্তে শরীর সতেজ লাগতে আরাম্ভ করে এবং সারাদিন এর প্রভাব থাকে। অর্থাৎ একটি আপেল সকালে উঠে খেলে সারাদিন কর্মক্ষমতা থাকবে এবং প্রচুর পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে।
কার্বোহাইড্রেট : চায়ে কোনো ধরনের ক্যালরিক এনার্জি নেই। ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে এক কাপ চা পান করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার রক্তের থেকে একেবারে সুগার কমে যাবে ।
আপেলে এনার্জি বর্ধক ক্যাফেইন থাকে না কিন্তু একটি বড় আকৃতির আপেলে ১১৬ ক্যালরী থাকে। আপেলে উপস্থিত ১৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে প্রায় ১০ গ্রাম সুগারে খুব তাড়াতাড়ি কর্মক্ষম সুক্রোজ এবং গ্লুকোজ থাকে। আপেলের কার্বোহাইড্রেট হলো বাকি ফ্রুকটোজ যেটা হজম হতে বেশ কিছুক্ষণ সময় নেয়। ফলে চায়ের চাইতে বেশি সময় ধরে শরীরের খুব শক্তি যোগায়।
দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব : চা ও আপেল দুটোতেই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা স্বাস্থ্যের উপর অনেক বেশি ও দীর্ঘ মেয়াদী ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ডায়াবেটিস অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ঝুঁকি কমায়।
অনেক দিন ধরে চা খাওয়ার অভ্যাস করলে অনেকেরই চায়ের নেশা হয়ে যায়। এজন্য একদিন সকালে চা না খেলে শরীর ভালো লাগে না এবং খুব বেশি মাথা ব্যাথা করে। প্রতিদিন নিয়মিত আপেল খেলে এই ধরণের কোনো নেশা হয় না। ফলে চায়ের থেকে আপেল খাওয়ার অভ্যাস করাটাই সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক।
চায়ের বদলে আপেলের উপকারিতা : আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। প্রতিদিন সকালে নিয়মিত আপেল খেলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দূর হয়ে যায়। সপ্তাহে কমপক্ষে ২ অথবা তার বেশি আপেল খেলে হাঁপানির সমস্যা কমে যায়।
সুস্থ থাকতে চাইলে সকালে চায়ের কাপের বদলে একটি আপেল তুলে নিন। আর যদি একেবারেই চা ছাড়তে না পারেন তবে চা খাওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিন একটি আপেল খান। একটি মাত্র আপেল সকালে তরতাজা হওয়ার পাশাপাশি সারাদিন কর্ম উদ্দিপনা জাগাবে।