ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চাঁদপুর-২ আসনে)” এমপি প্রার্থী মুফতী মানসুর আহমদ সাকী

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক ও ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী’ ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনে চরমোনাই পীর সাহেবের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা) প্রতীক নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে ব্যক্তি সূত্র জানা গেছে।

ইতিমধ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যন্ত সংগঠনকে গতিশীল করার কাজে ব্যস্ত আছেন তিনি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মুফতী মানসুর আহমদ সাকী’র প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছেন আমাদের চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি সাইদ হোসেন অপু চৌধুরীর।

চাঁদপুর প্রতিনিধি: বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?

মানসুর আহমদ সাকী: বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থা জনগণের পূর্ণ আস্থার প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন যেখানে দল-মত নির্বিশেষে মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরাবরই স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে। আমরা চাই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন দলনিরপেক্ষভাবে কাজ করুক। পাশাপাশি আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন ও প্রতিটা নাগরিকের ভোটের সমানভাবে প্রতিফলনের মধ্যে দিয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব সরকার গঠনের জন্য পিআর পদ্ধতি নির্বাচন দাবী করছে। আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে এবং ভোটারদের মতামতকে যথাযথভাবে প্রতিফলিত করবে।

চাঁদপুর প্রতিনিধি: আপনি জনগণের কোন কোন অধিকারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন?

মানসুর আহমদ সাকী: প্রতিটি নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা, বাকস্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, শিক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ—এগুলো মৌলিক অধিকার। আমি চাই মতলববাসী যেন তাদের ন্যায্য অধিকার অবাধে পায়। স্থানীয় সমস্যা যেমন রাস্তা, স্বাস্থ্যসেবা, পানি-বন্যা ব্যবস্থাপনা ইত্যাদিতে নাগরিকদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

চাঁদপুর প্রতিনিধি: শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে আপনার পরিকল্পনা কী?

মানসুর আহমদ সাকী: প্রথমত, গ্রামীণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকের স্বল্পতা, অবকাঠামোর দুর্বলতা এবং আধুনিক শিক্ষা উপকরণের অভাব দূর করতে হবে। পাশাপাশি ইসলামি মূল্যবোধভিত্তিক চরিত্রগঠনমূলক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে চাই।চিকিৎসার ক্ষেত্রে, প্রত্যেক ইউনিয়নে মানসম্মত কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ডাক্তার-ঔষধ নিশ্চিত করা হবে।

চাঁদপুর প্রতিনিধি: কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে আপনার অবস্থান কী?

মানসুর আহমদ সাকী: মতলব একটি কৃষিনির্ভর অঞ্চল। কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ, সার-বীজ প্রাপ্তি, ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। নদীভাঙন রোধ ও কৃষিজমি রক্ষা, সেচব্যবস্থা আধুনিকায়ন—এসব বিষয়ে কাজ করবো। কৃষকের সন্তান যেন গর্ব নিয়ে বলে, ‘আমার বাবা কৃষক’—এমন সম্মান ফিরিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ।

চাঁদপুর প্রতিনিধি: মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আপনি কী ধরনের পদক্ষেপ নিবেন?

মানসুর আহমদ সাকী: মাদক ও সন্ত্রাস যুবসমাজের ধ্বংস ডেকে আনছে। তাই সচেতনতা ও কঠোর আইন প্রয়োগ—দুটোই একসাথে দরকার। আমি চাই পরিবার, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় প্রশাসন মিলে একটি সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করুক। খেলাধুলা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বাড়িয়ে যুবকদের বিকল্প পথ দিতে হবে।

চাঁদপুর প্রতিনিধি: “স্মার্ট মতলব” বলতে আপনি কী বুঝাচ্ছেন?

মানসুর আহমদ সাকী: স্মার্ট মতলব বলতে আমি বুঝি—একটি আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর, নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন, শিক্ষিত ও সচেতন সমাজ। যেখানে নাগরিক সেবা ডিজিটাল, কৃষি উৎপাদন আধুনিক, যানবাহন ও বাজার ব্যবস্থা উন্নত, তরুণরা কর্মসংস্থানে যুক্ত, প্রবীণরা সুরক্ষিত, এবং নারী-শিশুর প্রতি সহিংসতা থাকবে না। একটি ভারসাম্যপূর্ণ, মানবিক, প্রযুক্তি-সক্ষম মতলব গড়াই আমাদের লক্ষ্য।

শেষ কথা:আমি মানসুর আহমদ সাকী, মতলব উত্তর-দক্ষিণের মানুষের কাছে হাতপাখা প্রতীকে ভোট চাই। আপনারা পরিবর্তন চান, আমরাও চাই। চলুন আমরা সবাই মিলে স্মার্ট ও শান্তিপূর্ণ মতলব গড়ি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চাঁদপুর-২ আসনে)” এমপি প্রার্থী মুফতী মানসুর আহমদ সাকী

আপডেট সময় : ০৩:১৮:০১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক ও ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী’ ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনে চরমোনাই পীর সাহেবের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা) প্রতীক নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে ব্যক্তি সূত্র জানা গেছে।

ইতিমধ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যন্ত সংগঠনকে গতিশীল করার কাজে ব্যস্ত আছেন তিনি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মুফতী মানসুর আহমদ সাকী’র প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছেন আমাদের চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি সাইদ হোসেন অপু চৌধুরীর।

চাঁদপুর প্রতিনিধি: বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?

মানসুর আহমদ সাকী: বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থা জনগণের পূর্ণ আস্থার প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন যেখানে দল-মত নির্বিশেষে মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরাবরই স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে। আমরা চাই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন দলনিরপেক্ষভাবে কাজ করুক। পাশাপাশি আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন ও প্রতিটা নাগরিকের ভোটের সমানভাবে প্রতিফলনের মধ্যে দিয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব সরকার গঠনের জন্য পিআর পদ্ধতি নির্বাচন দাবী করছে। আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে এবং ভোটারদের মতামতকে যথাযথভাবে প্রতিফলিত করবে।

চাঁদপুর প্রতিনিধি: আপনি জনগণের কোন কোন অধিকারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন?

মানসুর আহমদ সাকী: প্রতিটি নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা, বাকস্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, শিক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ—এগুলো মৌলিক অধিকার। আমি চাই মতলববাসী যেন তাদের ন্যায্য অধিকার অবাধে পায়। স্থানীয় সমস্যা যেমন রাস্তা, স্বাস্থ্যসেবা, পানি-বন্যা ব্যবস্থাপনা ইত্যাদিতে নাগরিকদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

চাঁদপুর প্রতিনিধি: শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে আপনার পরিকল্পনা কী?

মানসুর আহমদ সাকী: প্রথমত, গ্রামীণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকের স্বল্পতা, অবকাঠামোর দুর্বলতা এবং আধুনিক শিক্ষা উপকরণের অভাব দূর করতে হবে। পাশাপাশি ইসলামি মূল্যবোধভিত্তিক চরিত্রগঠনমূলক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে চাই।চিকিৎসার ক্ষেত্রে, প্রত্যেক ইউনিয়নে মানসম্মত কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ডাক্তার-ঔষধ নিশ্চিত করা হবে।

চাঁদপুর প্রতিনিধি: কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে আপনার অবস্থান কী?

মানসুর আহমদ সাকী: মতলব একটি কৃষিনির্ভর অঞ্চল। কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ, সার-বীজ প্রাপ্তি, ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। নদীভাঙন রোধ ও কৃষিজমি রক্ষা, সেচব্যবস্থা আধুনিকায়ন—এসব বিষয়ে কাজ করবো। কৃষকের সন্তান যেন গর্ব নিয়ে বলে, ‘আমার বাবা কৃষক’—এমন সম্মান ফিরিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ।

চাঁদপুর প্রতিনিধি: মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আপনি কী ধরনের পদক্ষেপ নিবেন?

মানসুর আহমদ সাকী: মাদক ও সন্ত্রাস যুবসমাজের ধ্বংস ডেকে আনছে। তাই সচেতনতা ও কঠোর আইন প্রয়োগ—দুটোই একসাথে দরকার। আমি চাই পরিবার, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় প্রশাসন মিলে একটি সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করুক। খেলাধুলা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বাড়িয়ে যুবকদের বিকল্প পথ দিতে হবে।

চাঁদপুর প্রতিনিধি: “স্মার্ট মতলব” বলতে আপনি কী বুঝাচ্ছেন?

মানসুর আহমদ সাকী: স্মার্ট মতলব বলতে আমি বুঝি—একটি আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর, নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন, শিক্ষিত ও সচেতন সমাজ। যেখানে নাগরিক সেবা ডিজিটাল, কৃষি উৎপাদন আধুনিক, যানবাহন ও বাজার ব্যবস্থা উন্নত, তরুণরা কর্মসংস্থানে যুক্ত, প্রবীণরা সুরক্ষিত, এবং নারী-শিশুর প্রতি সহিংসতা থাকবে না। একটি ভারসাম্যপূর্ণ, মানবিক, প্রযুক্তি-সক্ষম মতলব গড়াই আমাদের লক্ষ্য।

শেষ কথা:আমি মানসুর আহমদ সাকী, মতলব উত্তর-দক্ষিণের মানুষের কাছে হাতপাখা প্রতীকে ভোট চাই। আপনারা পরিবর্তন চান, আমরাও চাই। চলুন আমরা সবাই মিলে স্মার্ট ও শান্তিপূর্ণ মতলব গড়ি।