সোমবার | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় Logo সদরপুরে গার্ডিয়ান এর এরিয়া অফিস উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকার মৃত্যু দাবী চেক বিতরণ। Logo ৪৫তম বিসিএস-এ ক্যাডার বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থী Logo হাবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের Logo জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল Logo মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন : ডা. জাহিদ Logo কচুয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা এনায়েত হাসিব Logo কচুয়ায় ইউএনও হেলাল চৌধুরীর বিদায় সংবর্ধনা Logo জীবননগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা সভাপতি রিংকু, সম্পাদক ফরহাদ

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ: মির্জা ফখরুল

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৪:২৭:১৮ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
  • ৭৩৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাসহ বিশ্বের সকল শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় এগিয়ে যেতে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ। শুক্রবার (২০ জুন) বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবসে আমি বিশ্বের সকল শরণার্থীদের মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার লড়াইয়ের প্রতি আন্তরিক সংহতি জ্ঞাপন করছি। সহিংসতা এবং নিপীড়নের কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বিশ্বব্যাপী ১২ কোটি মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। জাতিসংঘ ক্রমবর্ধমান সংখ্যাটিকে ‘বিশ্বের রাষ্ট্র সমূহের উপর ভয়ংর অভিযোগ’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। একাধিক শরণার্থী সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবেলা করার রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে বেশির ভাগ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি ও পরিবারের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা কঠিন হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর দেশে দেশে উদ্বাস্তু সমস্যা আজও ভয়াবহ ও অমানবিক। বিশ্ব নাগরিকদের সহজাত কিছু অধিকার রয়েছে। যেমন: মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য আশ্রয়, নিরাপত্তা এবং এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার স্বাধীনতাসহ মানবিক মর্যাদা। বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমানভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা খুবই আতঙ্কজনক। শরণার্থীরাও বিভিন্ন দেশে ক্ষুধা ও বেকারত্বের তাড়নায় অপরাধের সাথে জড়িত হওয়ার কারণে স্থানীয় সংস্কৃতির জন্য হুমকি হয়ে পড়ায় নতুন নতুন সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের নাম জোরেশোরে আলোচিত হয় মূলত রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে। রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে অবশ্যই উদ্যোগী হতে হবে। বাংলাদেশ বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ রোহিঙ্গাদের নানা ধরনের দুর্যোগ যেমন ক্ষুধা, আবাস, বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব ইত্যাদি মোকাবেলায় যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, এদেরকে নাগরিক হিসেবে মর্যাদা দিয়ে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে বাধ্য করতে আমি বাংলাদেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অনেক সংকটের মতোই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিদ্যমান সংকট নিরসনের জন্য দ্বিগুণভাবে কাজ করতে হবে এবং কার্যকর রাজনৈতিক সংলাপের জন্য সম্মিলিতভাবে জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি বিশ্ব শরণার্থী দিবসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাসহ বিশ্বের সকল শরণার্থীদের সংকট মোকাবেলায় এগিয়ে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ। বিশ্বের সকল শরণার্থীর প্রতি সমব্যথী এবং তাদের নিজ দেশে মাথা উঁচু করে ফেরার প্রত্যাশা করছেন বলে বাণীতে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৪:২৭:১৮ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাসহ বিশ্বের সকল শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় এগিয়ে যেতে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ। শুক্রবার (২০ জুন) বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবসে আমি বিশ্বের সকল শরণার্থীদের মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার লড়াইয়ের প্রতি আন্তরিক সংহতি জ্ঞাপন করছি। সহিংসতা এবং নিপীড়নের কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বিশ্বব্যাপী ১২ কোটি মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। জাতিসংঘ ক্রমবর্ধমান সংখ্যাটিকে ‘বিশ্বের রাষ্ট্র সমূহের উপর ভয়ংর অভিযোগ’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। একাধিক শরণার্থী সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবেলা করার রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে বেশির ভাগ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি ও পরিবারের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা কঠিন হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর দেশে দেশে উদ্বাস্তু সমস্যা আজও ভয়াবহ ও অমানবিক। বিশ্ব নাগরিকদের সহজাত কিছু অধিকার রয়েছে। যেমন: মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য আশ্রয়, নিরাপত্তা এবং এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার স্বাধীনতাসহ মানবিক মর্যাদা। বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমানভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা খুবই আতঙ্কজনক। শরণার্থীরাও বিভিন্ন দেশে ক্ষুধা ও বেকারত্বের তাড়নায় অপরাধের সাথে জড়িত হওয়ার কারণে স্থানীয় সংস্কৃতির জন্য হুমকি হয়ে পড়ায় নতুন নতুন সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের নাম জোরেশোরে আলোচিত হয় মূলত রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে। রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে অবশ্যই উদ্যোগী হতে হবে। বাংলাদেশ বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ রোহিঙ্গাদের নানা ধরনের দুর্যোগ যেমন ক্ষুধা, আবাস, বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব ইত্যাদি মোকাবেলায় যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, এদেরকে নাগরিক হিসেবে মর্যাদা দিয়ে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে বাধ্য করতে আমি বাংলাদেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অনেক সংকটের মতোই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিদ্যমান সংকট নিরসনের জন্য দ্বিগুণভাবে কাজ করতে হবে এবং কার্যকর রাজনৈতিক সংলাপের জন্য সম্মিলিতভাবে জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি বিশ্ব শরণার্থী দিবসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাসহ বিশ্বের সকল শরণার্থীদের সংকট মোকাবেলায় এগিয়ে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ। বিশ্বের সকল শরণার্থীর প্রতি সমব্যথী এবং তাদের নিজ দেশে মাথা উঁচু করে ফেরার প্রত্যাশা করছেন বলে বাণীতে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।