নিউজ ডেস্ক:
আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের আয়োজনে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টার মিলনায়তনে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অভিবাসন বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি দর্পণ কবীর। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান রচি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ক্লাবের সদস্য ও সংবাদ পাঠিকা সামসুন্নাহার নিম্মি।
সেমিনারে বক্তব্য দেন ইমিগ্রেশন বিষয়ে অভিজ্ঞ বিশিষ্ট এটর্নী শেখ সেলিম, বিশিষ্ট এটর্নী মীর মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট এটর্নী ও ডেমক্রেটিক পার্টি ডিস্ট্রিক্ট এট লার্জ (কুইন্স) মঈন চৌধুরী, এটর্নী জেরাল্ড কেরি কেরি, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ডক্টর সিদ্দিকুর রহমান, পরিচয় পত্রিকার সম্পাদক নাজমুল আহসান, প্রবীণ সাংবাদিক মঈনুদ্দদীন নাসের, বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ডা: ওয়াজেড এ খান, টাইম টিভি’র সিইও এবং বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আবু তাহের, জন্মভূমি পত্রিকার সম্পাদক রতন তালুকদার, বর্ণমালা পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, প্রবাস পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ ও নিউইয়র্ক বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার।
বক্তারা বলেন, মার্কিন কংগ্রেস বা সিনেটে অভিবাসন সংক্রান্ত বিল উঠলেই তা পাশ হবে-এমন সম্ভাবনা নেই। অধিকাংশ বিলই পাশ হয় না। অথচ হাউজে বিল উঠলেই কিছু মিডিয়ায় ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়। এসব অতিরঞ্জিত সংবাদের সুযোগ নেয় আদমপাচারকারী চক্র। স্বপ্নের দেশে পাঠানোর কথা বলে ভাগ্যান্বেষী যুবকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার তৎপরতা চালায়। প্রতারিত হয় ভাগ্যান্বীরা। অনেকে দালালদের খপ্পড়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে দুর্গম সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারায়। এ কারণে সংবাদ পরিবেশনে মিডিয়াগুলোর সচেতনতা অবলম্বন করা দরকার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট কোন বিলে স্বাক্ষর না করা পর্যন্ত ঐ বিল নিয়ে উচ্ছ্বসিত হবার কিছু নেই।
বক্তারা আরও বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের সতর্ক থাকতে হবে। ভয় না পেয়ে আইনি সহায়তা নিতে হবে। অভিবাসীদের বিরুদ্ধে নতুন কোন আইন হয়নি। কোন অধ্যাদেশও নেই। প্রচলিত আইন নিয়ে অভিবাসী বিরোধী অভিযানে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বেশি তৎপর। অতীতে সংশ্লিষ্ট বিভাগে মিথ্যা তথ্য প্রদানের জন্য বৈধ অভিবাসীরাও গ্রেপ্তার হতে পারেন। আবার তাদের গ্রিনকার্ড বাতিলও হতে পারে। তথ্য গোপন ও অপরাধ করলে কারো নাগরিকত্বও বাতিল হতে পারে। ঝগড়া, প্রতিহিংসা বা পরশ্রীকাতরতায় কেউ কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন না। এমন প্রমাণ পেলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক বয়কটের ডাক দেয়া হবে।
সেমিনারে এটর্নীরা বলেন, অভিবাসীদের আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলেও কোন কিছুর পরিবর্তন হয়নি। অবৈধদের যেমন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করার আইন আছে, তেমনি তাদের এ দেশের রাখারও আইন আছে। সমস্যাগ্রস্থদের এ ব্যাপারে সাহায্য নিতে হবে অভিজ্ঞ এটর্নীদের। সকল এটর্নীরাও সবকিছু জানে, ভাল সার্ভিস দিতে পারে, তাও নয়। অনভিজ্ঞ দালাল বা কোয়াক থেকে সাবধান থাকার পরামর্শ দেন তারা।