জেলা প্রতিনিধি: মোঃ বায়েজিদ –
গাইবান্ধা ৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের গোপন কক্ষে একাধিক ব্যক্তি প্রবেশ করায় ফুলছড়ি উপজেলার ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, ফুলছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং সাঘাটার রাম নগর উচ্চ বিদ্যালয় সহ ৩টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহন স্থগিত করা হয়েছে। বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবতাব উজ্জামান।ভোট শুরুর পর ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কম হলে বেলা বাড়ার সঙ্গে কেন্দ্র গুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে বলে গণমাধ্যমকর্মী সূত্রে জানা যায়।
কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এবারই প্রথম ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দিচ্ছেন ভোটারগণ। আজ (১২ অক্টোবর) বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর আগে গতকাল (১১ অক্টোবর) মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয় ইভিএমসহ নির্বাচনী সকল সরঞ্জাম। ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে এসব সরঞ্জাম সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে মিলে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন। এ উপ-নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচনে আসনটিতে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মাহমুদ হাসান রিপন,প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রনজু (লাঙল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার, নির্বাচনী মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন পুলিশ সদস্য ও ১২ জন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ভোটের মাঠে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ৯টি টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি ও ৫টি সাদা পোশাকের স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্বে রয়েছেন। তাছাড়া ১৭ জন জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। এছাড়া ১ হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকছে সবগুলো ভোটকেন্দ্র।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি। তার মৃত্যুর পর সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করে জাতীয় সংসদ সচিবালয়।