নিউজ ডেস্ক:
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে করা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।গতকাল রবিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। অপরদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।
পরে ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়ার সঙ্গে পরামর্শ করে আমরা আজকের দেয়া আদেশের রিভিউ করবো। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন।
গত ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্টে এই আবেদনটি দাখিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ৩২ সাক্ষ্যগ্রহণ বাতিল করে পুনরায় নেয়ার জন্য বিচারিক আদালতে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু ১ ডিসেম্বর সে আবেদন খারিজ হওয়ায় হাইকোর্টে রিভিশন দায়ের করা হয়।
এ মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অপর অভিযুক্তরা হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ঢাকা তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত।