শিরোনাম :
Logo বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সম্পাদক Logo কচুয়ায় কহলথুড়ি ফুটবল একাডেমীর উদ্যোগে টুর্নামেন্ট উদ্বোধন Logo চুয়াডাঙ্গায় বাইসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত Logo ইবিতে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ Logo জীবননগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু Logo ৪১ ডিগ্রি ছাড়াল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা, গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ Logo ইবিতে শুরু হয়েছে গুচ্ছ এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা Logo অবরুদ্ধ গাজায় একদিনেই নিহত ১০৬ ফিলিস্তিনি Logo ভারতের কাছে পাইলট আটকের প্রমাণ চাইলো পাকিস্তান Logo নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বললেন আসিফ মাহমুদ

ছয় রাজাকারের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল ১২ মার্চ!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৩৬:১৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৬২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার আব্দুল জব্বার মণ্ডলসহ (৮৬) ছয়জনের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিলের জন্য আগামী ১২ মার্চ দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন ২ সদস্যর বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নী। এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর এই ছয়জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে।

এ মামলায় অন্য পাঁচ আসামি হলেন- জাছিজার রহমান  ওরফে খোকা (৬৪), আজগর হোসেন খান (৬৬), মোন্তাজ আলী ব্যাপারী (৬৮), আব্দুল ওয়াহেদ মন্ডল (৬২) ও মো. রনজু মিয়া (৫৯)। এদের মধ্যে শুধু রনজু মিয়া গ্রেপ্তার রয়েছেন। বাকী সবাই পলাতক। এরা সবাই জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় কর্মী বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ২৯ মে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

তাদের বিরুদ্ধে ৪ অভিযোগ :

এক নম্বর অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরে জুন মাসের প্রথম দিকে রাজাকার আজগর হোসেন খানের নেতৃত্বে ৮/১০ জন রাজাকার এবং ১৫/২০ জন পাকিস্তান দখলকার সেনাবাহিনী হিন্দু সম্প্রদায়কে ধ্বংস করার জন্য গাইবান্ধা জেলার সদরের সাহাপাড়া ইউনিয়নের বিঞ্চপুর গ্রামে হামলা করে। তারা অম্বিকা চরন সরকার, দ্বিজেন চন্দ্র সরকার ও আব্দুল মজিদ প্রধানকে নির্যাতন করে। আসামিরা ফুল কুমারী রানী ও তার জা সাধনা রানী সরকার (বর্তমানে মৃত) আটক করে নির্যাতন করে। তারা মুসলমান হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে কপালের সিদুর এবং হাতের শাখা ভেঙে দিয়ে ছেড়ে দেয়।

দ্বিতীয় অভিযোগ : গাইবান্ধা জেলার সদর থানাধীন সাহাপাড়া ইউনিয়নের নান্দিনা গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আবু বক্কর, তারা আকন্দ, আনছার আলী এবং নছিম উদ্দিন আকন্দসহ মোট নয়জনকে গুলি করে হত্যা করে এবং ৪০/৫০টি বাড়ির মালামাল ‍লুণ্ঠন করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।

তৃতীয় অভিযোগ: গাইবান্ধা জেলার সদর থানার সাহাপাড়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে লাল মিয়া বেপারী, আব্দুল বাকী এবং খলিলার রহমানসহ ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করে।

চতুর্থ অভিযোগ : গাইবান্ধার সাহাপাড়া ইউনিয়নের নান্দিনা, মিরপুর, সাহারবাজার, কাশদহ, বিসিক শিল্প নগরী, ভবানীপুর এবং চকগায়েশপুর গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক, ইসলাম উদ্দিন এবং নবীর হোসেনসহ মোট ৭ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ট্যাগস :

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সম্পাদক

ছয় রাজাকারের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল ১২ মার্চ!

আপডেট সময় : ১২:৩৬:১৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার আব্দুল জব্বার মণ্ডলসহ (৮৬) ছয়জনের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিলের জন্য আগামী ১২ মার্চ দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন ২ সদস্যর বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নী। এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর এই ছয়জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে।

এ মামলায় অন্য পাঁচ আসামি হলেন- জাছিজার রহমান  ওরফে খোকা (৬৪), আজগর হোসেন খান (৬৬), মোন্তাজ আলী ব্যাপারী (৬৮), আব্দুল ওয়াহেদ মন্ডল (৬২) ও মো. রনজু মিয়া (৫৯)। এদের মধ্যে শুধু রনজু মিয়া গ্রেপ্তার রয়েছেন। বাকী সবাই পলাতক। এরা সবাই জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় কর্মী বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ২৯ মে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

তাদের বিরুদ্ধে ৪ অভিযোগ :

এক নম্বর অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরে জুন মাসের প্রথম দিকে রাজাকার আজগর হোসেন খানের নেতৃত্বে ৮/১০ জন রাজাকার এবং ১৫/২০ জন পাকিস্তান দখলকার সেনাবাহিনী হিন্দু সম্প্রদায়কে ধ্বংস করার জন্য গাইবান্ধা জেলার সদরের সাহাপাড়া ইউনিয়নের বিঞ্চপুর গ্রামে হামলা করে। তারা অম্বিকা চরন সরকার, দ্বিজেন চন্দ্র সরকার ও আব্দুল মজিদ প্রধানকে নির্যাতন করে। আসামিরা ফুল কুমারী রানী ও তার জা সাধনা রানী সরকার (বর্তমানে মৃত) আটক করে নির্যাতন করে। তারা মুসলমান হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে কপালের সিদুর এবং হাতের শাখা ভেঙে দিয়ে ছেড়ে দেয়।

দ্বিতীয় অভিযোগ : গাইবান্ধা জেলার সদর থানাধীন সাহাপাড়া ইউনিয়নের নান্দিনা গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আবু বক্কর, তারা আকন্দ, আনছার আলী এবং নছিম উদ্দিন আকন্দসহ মোট নয়জনকে গুলি করে হত্যা করে এবং ৪০/৫০টি বাড়ির মালামাল ‍লুণ্ঠন করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।

তৃতীয় অভিযোগ: গাইবান্ধা জেলার সদর থানার সাহাপাড়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে লাল মিয়া বেপারী, আব্দুল বাকী এবং খলিলার রহমানসহ ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করে।

চতুর্থ অভিযোগ : গাইবান্ধার সাহাপাড়া ইউনিয়নের নান্দিনা, মিরপুর, সাহারবাজার, কাশদহ, বিসিক শিল্প নগরী, ভবানীপুর এবং চকগায়েশপুর গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক, ইসলাম উদ্দিন এবং নবীর হোসেনসহ মোট ৭ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।